ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বান কি মুন প্রধানমন্ত্রীকে ফোনে ফের তারানকো দাওয়াই বাতলালেন

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ৩ মে ২০১৫

বান কি মুন প্রধানমন্ত্রীকে ফোনে ফের তারানকো দাওয়াই বাতলালেন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সিটি নির্বাচনোত্তর রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ফের আলোচনায় অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের ফোনালাপে আবারও সামনে এসেছে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনপূর্ব মধ্যস্থতার চেষ্টাকারী তারানকো। প্রায় ১৫ মিনিটব্যাপী টেলিফোনালাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসের পথ ও জঙ্গীবাদী কর্মকা- পরিত্যাগ করে বিএনপিকে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরে আসার পরামর্শ প্রদানের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জবাবে বান কি মুন বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব তারানকোকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ফোনালাপে জাতিসংঘ মহাসচিবকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে জানান, তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম প্রাণহানি ছাড়া কোন নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে জিতবে না বলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি ভোট বর্জন করেছে। নির্বাচনে ৪৪ শতাংশ ভোট পড়েছে জানিয়ে বান কি মুনকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট সংখ্যা অস্বাভাবিক ছিল না। এ কারণে ভোট নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণকে ‘স্বস্তিকর’ বললেও মাঝপথে তাদের সরে দাঁড়ানোকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। একই সঙ্গে বান কি মুন স্পষ্টভাষায় সন্ত্রাস ও নাশকতামূলক কর্মকা-ের নিন্দা জানান। শুক্রবার বেলা একটা ৪৮ মিনিটে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন এবং তাঁদের মধ্যে প্রায় ১৪ মিনিট কথা হয়। দুই নেতার ফোনালাপের বিষয়ের পরে সাংবাদিকদের জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী। তিনি জানান, নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ এবং মাঝপথে সরে দাঁড়ানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, এ পরিস্থিতিতে সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্য অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। শুধু জাতিসংঘই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও হঠাৎ করেই মাঝপথে নির্বাচন বর্জনের ঘটনা ‘দুঃখজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছে। প্রথমে বিএনপি যে অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচন বর্জন করেছিল, তা যে সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত ছিল ইতোমধ্যেই বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সঙ্গে বিএনপির উত্তর সিটির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল এবং খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী এ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের সঙ্গে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ফোনালাপের অডিও টেপ ফাঁস হয়ে পড়ায় বিএনপির নির্বাচন বর্জনের অজুহাত বুমেরাং হয়ে পড়ে। আর এ কারণেই তিন সিটি নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরও আন্দোলনের কোন কর্মসূচী ঘোষণা করতে পারেনি বিএনপি-জামায়াত জোট। এ ইস্যুতেও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কাছে বিএনপি পরাজিত হলেও হঠাৎ করেই তৎপর হয়ে উঠেছে কূটনৈতিক মহল। স্থানীয় কিংবা যে কোন নির্বাচন কোন দেশের সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা অনেকটাই ‘হস্তক্ষেপমূলক’ মন্তব্য-বক্তব্যে প্রকাশ্য না হলেও ভেতরে ভেতরে বেশ কিছুটা ক্ষুব্ধই আওয়ামী লীগ। কূটনীতিকরা সাংবাদিক সম্মেলন, সভা-সেমিনারের মাধ্যমে আবারও ‘সংলাপ ইস্যু’ সামনে আনতে চাইলেও এ বিষয়ে সরকার পক্ষ যে মোটেও ইতিবাচক নয়, তা স্পষ্টতই তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এ নিয়ে বিদেশীদের কথায় গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই। তিন সিটি নির্বাচনে দেশের মানুষ সন্তুষ্ট। আর সরকার নির্বাচন পরিচালনা করেনি, করেছে নির্বাচন কমিশন। তাই যদি নির্বাচনে কোন ত্রুটি হয়ে থাকে, তবে নির্বাচন কমিশনই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও ১৪ দলের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘসহ বিদেশী কূটনীতিকরা যা বলছেন, তা তাদের রুটিন ওয়ার্ক। বরং বিএনপির নির্বাচন বর্জনে কূটনীতিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আগের পাঁচটি সিটি নির্বাচনে হার থেকে শিক্ষা নিয়ে, ভুল সংশোধন করে পরিকল্পিতভাবে মাঠে নামায় এবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর জয় হয়েছে। নির্বাচনে কোন সমস্যা হয়ে থাকলে কমিশন দেখবে। এ নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কোন সুযোগ নেই। জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ ॥ প্রায় ১৪ মিনিটের ফোনালাপে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন সিটি নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিংকালে বলেন, বিএনপিকে নাশকতা, সন্ত্রাসের পথ ও জঙ্গীবাদী কর্মকা- পরিহার করে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব পরামর্শ দেবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। সাম্প্রতিক সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কিছু অনিয়ম হয়েছে বলে তাঁকে জানানো হয়েছে, জাতিসংঘ মহাসচিব এমন কথা উল্লেখ করলে প্রধানমন্ত্রী জবাবে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী দৃঢ় ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, নির্বাচনে জিতবে না বলেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি ভোট বর্জন করেছে। তাই তিন ঘণ্টা পর বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেও যে ভোট দলটির সমর্থিত প্রার্থীরা পেয়েছেন তাতে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের নামে গত তিন মাসের সহিংসতার কথা তুলে ধরে জাতিসংঘ মহাসচিবকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৫ জানুয়ারি থেকে বিএনপি ৩ মাস ধরে দেশব্যাপী জ্বালাও-পোড়াও এবং নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। তারা পেট্রোলবোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করে ড্রাইভার, হেলপার, নারী-শিশুসহ নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তা জনগণ চায়নি। জনগণ তা মেনে নিতে পারেনি। এ কারণেই মানুষ বিএনপিকে ভোট দেয়নি। আর এটা বুঝতে পেরেই নির্বাচন শুরুর ৩ ঘণ্টার পরই অসৎ উদ্দেশে বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। বান কি মুনকে তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের ডাকে জনগণ আসেনি, দলটির নেতাকর্মীরাও আন্দোলনে থাকেনি। একইভাবে সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়েও নেতাকর্মীদের মাঠে নামাতে পারেনি বিএনপি। এমনকি নেতাকর্মীদের পোলিং এজেন্ট বানিয়ে নির্বাচন কেন্দ্রেও পাঠাতে পারেনি তারা। কারণ তারা জনগণকে হত্যা করে আন্দোলন করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার জনগণকে শান্তি ও নিরাপত্তা দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। একই সঙ্গে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপিকে সন্ত্রাসের পথ থেকে ফেরাতে বান কি মুনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, এ বিষয়ে তারানকোকে বলা হয়েছে। গণতান্ত্রিক পথ সুগম করতে প্রয়োজনে আলোচনা করবেন তিনি। জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, এমডিজি অর্জন, শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। গণতন্ত্র সুসংহত করতে আওয়ামী লীগ সরকারের নিরলস কাজের জন্যও ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে বান কি মুন স্পষ্টভাষায় সন্ত্রাস ও নাশকতামূলক কর্মকা-ের নিন্দা জানিয়ে বলেন, গণতন্ত্রে এ ধরনের কর্মকা-ের কোন স্থান নেই। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব জানান, জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনালাপে বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসা স্বস্তিকর ছিল, কিন্তু মাঝপথে সরে যাওয়া দুঃখজনক। এজন্য উদ্বেগও প্রকাশ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিবকে আরও জানান, সাধারণ মানুষ সুন্দরভাবে ভোট দিয়েছে। নির্বাচনে ৪৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। যে কারণে ভোট নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। নির্বাচন কমিশনের কাছে ৫ শতাংশ অনিয়মের অভিযোগ এসেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা জানান, এই ৫ শতাংশ ভোট বাতিল করেই নির্বাচনের ফল ঘোষণা দেয় কমিশন। টেলিফোনালাপের শেষ পর্যায়ে টেলিফোন করার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের আন্তরিকতারও প্রশংসা করেন বলে প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী জানান। আলোচনায় ফের তারানকো ॥ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও তিন সিটি নির্বাচন পরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আবারও আলোচনায় অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। এর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বাংলাদেশের প্রধান দুই দলকে সংলাপের তাগিদ দিতে ২০১৩ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব। জাতিসংঘ মহাসচিবের টেলিফোনালাপের পর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে ২০১৩ সালে দুই দফা ঢাকা সফরে আসেন তারানকো। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সহিংস আন্দোলনে থাকা বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সরকারের সমঝোতার চেষ্টা চালান তিনি। দু’দলের শীর্ষ নেতাদের এক টেবিলে এনে কয়েক দফা তাদের মধ্যে আলোচনা করাতেও সফল হয়েছিলেন তারানকো। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও সমঝোতার একটি পথ বের করার জন্যও আপ্রাণ চেষ্টা করেন তারানকো। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোটের একগুঁয়েমি এবং নির্বাচন বর্জন করে তা প্রতিহতে ভয়াল-বীভৎস কায়দায় হরতাল-অবরোধের নামে মানুষ হত্যা, দেশের সম্পদ বিনষ্টের কর্মসূচী অব্যাহত রাখলে তারানকোর সমঝোতার উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে যায়। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতাসীন হয় আওয়ামী লীগ। ফলে শূন্য হাতেই ওই সময় ফিরে যেতে হয়েছিল জাতিসংঘের এই সহকারী মহাসচিবকে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জাতিসংঘ মহাসচিবের বক্তব্যে অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দূতিয়ালি করতে আবারও বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন তারানকো। কিন্তু ৫ জানুয়ারির নির্বাচনপূর্ব দেশের যে অবস্থা ছিল, বর্তমানে এখন সে অবস্থা নেই। টানা ৯২ দিন হরতাল-অবরোধের নামে নাশকতা-সহিংসতা ও মানুষ হত্যা করেও কার্যত কোন অর্জন ছাড়াই ব্যর্থ হয়ে শূণ্য হাতেই ঘরে ফিরতে হয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোটকে। আর রাজনৈতিক-প্রশাসনিক দু’ভাবেই দক্ষতার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা দমন করতে সক্ষম হয়েছে। এসব কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে তারানকো আসলেও বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোন ধরনের সমঝোতার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। বাস্তবে ২০১৯ সালে আগামী জাতীয় নির্বাচন ইস্যু ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে এ মুহূর্তে সংলাপ বা সমঝোতার কোনই সম্ভাবনা নেই।
×