ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দিনমজুরের ঘর ভেঙ্গে নিল এনজিও

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ৩ মে ২০১৫

দিনমজুরের ঘর ভেঙ্গে নিল এনজিও

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি, (মাদারীপুর), ২ মে ॥ মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার এনায়েতনগর এলাকার কাচারিকান্দি গ্রামে এনজিও আশার ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় নাছিমা বেগম নামের এক দিনমজুরের বসতঘর ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বসতঘর ভেঙ্গে নেয়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে অসহায় পরিবারটি। ভুক্তভোগী পরিবার ও গ্রামবাসী জানায়, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি এনজিও আশার কালকিনি উপজেলার সমিতিরহাট ব্রাঞ্চ থেকে ১৫ হাজার টাকা লোন নেয় উপজেলার কাচারিকান্দি গ্রামের আলিখার স্ত্রী নাছিমা বেগম। কিন্তু ৪ কিস্তি পরিষদের পরে দরিদ্র পরিবারটি আর কিস্তি দিতে না পারায় এনজিও কর্মকর্তারা পরিবারটির ওপর চরমভাবে চাপ প্রয়োগ করে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ে ঋণগ্রস্ত পরিবারটি। ঋণগ্রস্ত নাছিমার মেয়ে লিমা অশ্রুসজল চোখে বলেন আমি এনায়েতনগর স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী এবং আগামীতে আমার এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। কিন্তু মায়ের ঋণের কারণে এনজিওর কর্মীরা কিস্তির টাকার জন্য আমার স্কুলে গিয়ে ধরনা ধরে এবং অন্য ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে বসে সম্মানহানি হয় এমন কথা বলেছে। আর সন্ধ্যার পরে এসে আমাদের ঘরে বসে থাকে। এতে লজ্জায় আমি কয়েকবার আত্মহত্যা করতে গিয়েছি। কিন্তু আমার মা ও বাড়ির লোকজন ফিরিয়ে এনেছে। এখন তারা আমাদের শেষ আশ্রয় বসতঘরও ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। জানিনা পরিবার নিয়ে এখন আমরা কোথায় যাব। এ ব্যাপারে ঋণগ্রস্ত নাছিমা বেগম বলেন কিস্তির টাকা দিতে না পারায় এনজিওর লোকজন কোথা থেকে একজন লোক এনে বলে তোমাদের থাকার ঘর ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। বলেই ঘর ভেঙ্গে নেয় আর আমরা অসহায় হয়ে চোখের সামনে নিজেদের শেষ আশ্রয় নিয়ে যেতে দেখি। এখন কোথায় গিয়ে মাথাগুজব তা জানি না। তারা আমাদের দেয়া ৪ কিস্তির টাকাও ফেরত দেয়নি ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এনজিও আশার সমিতিরহাট ব্রাঞ্চের ম্যানেজার আঃ রউফ ও সহকারী ম্যানেজার নাজমুল হোসেন বলেন ঋণের কিস্তির টাকা শোধ করতে না পারায় সেই পরিবারটিই ঘর বিক্রি করেছে আমরা শুধু ক্রেতা ঠিক করে দিয়েছি।
×