ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাফুফের আগ্রহে আসছেন রিয়াসাত

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ১ মে ২০১৫

বাফুফের আগ্রহে আসছেন রিয়াসাত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সচান রিয়াসাত খাতন (২৬) বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত জার্মান প্রবাসী ফুটবলার। ২০১৩ সালের জুনে বাফুফেতে এসে ট্রায়াল দিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে। তবে সুযোগ পাননি ইনজুরির কারণে (ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ে ডেনমার্কপ্রবাসী জামাল ভুঁইয়ার)। বর্তমানে রিয়াসাত খেলছেন ফিলিপাইনের প্রিমিয়ার লীগের দল পাচাঙ্গা দিলিমান এফসিতে (সর্বশেষ মৌসুমে দলটি ষষ্ঠ হয়)। খেলেন লেফট উইঙ্গার পজিশনে। কয়েকমাস আগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ’-এ বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ তাঁকে সেবার ট্রায়ালে ডাকেননি। তবে এবার রিয়াসাতের ব্যাপারে আগ্রহী তিনি। ইতোমধ্যেই রিয়াসাতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি। যোগাযোগ করেছে বাফুফেও। জার্মানিতে অবস্থান করা তার বাবা-মায়ের কাছে প্রথমে ফোন করা হয়। তখন জানানো হয় রিয়াসাত এখন ফিলিপাইনের লীগে খেলছে। তখন তাদের কাছ থেকে রিয়াসাতের ফোন নম্বর নিয়ে রিয়াসাতকে ফোন করা হয়। রিয়াসাতের কাছে তার পাসপোর্টের কপি চাওয়া হয়। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশের প্রথম খেলা আগামী ১১ জুন কিরগিজস্তানের বিরুদ্ধে। ১৬ জুন খেলা তাজাখস্তানের বিরুদ্ধে। দুটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। ওই ম্যাচের আগে বাংলাদেশ জাতীয় দল অন্তত দুটি প্রস্ততি ম্যাচ খেলবে। সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং মিয়ানামার থেকে যে কোন দুটি দল। ১১ ও ১৬ জুনের খেলা উপলক্ষে সাভারের জিরানির বিকেএসপিতে আগামী ২০ মে (সম্ভাব্য তারিখ) বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প শুরু হবে। বাফুফে চাচ্ছে ট্রায়ালের মাধ্যমে টিকে রিয়াসাত যেন এই ক্যাম্পে যোগ দেন। রিয়াসাতও এতে রাজি। তবে সমস্যা হয়েছে অন্য জায়গায়। ফিলিপাইনে তার প্রিমিয়ার লীগের খেলাই শেষ হবে আগামী ৩১ মে। এর আগে ক্লাবও তাকে ছাড়বে না। ফলে তিনি বাফুফের দেয়া নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশে আসতে পারবেন না। কদিন দেরি হবে। বাফুফে অবশ্য এতে কোন আপত্তি করেনি। শুধু জানিয়েছে রিয়াসাত দেরি হলেও যেন বাংলাদেশে আসেন। সবকিছু ঠিক থাকলে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের খেলার আগেই তার ঢাকা আসা নিশ্চিত। বাফুফের সঙ্গে আলাপে রিয়াসাত জানিয়েছেন যদি ঢাকার কোন ক্লাব তাকে খেলাতে রাজি হয় তবে তিনি দেশের ক্লাবের হয়ে এই মৌসুমেই খেলতে রাজি। রিয়াসাত সম্পর্কে এটাই হচ্ছে সর্বশেষ সমাচার। জার্মান সিসি হেম দম্পতির একমাত্র সন্তান হচ্ছেন রিয়াসাত। জন্ম ঢাকায়। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে পাড়ি দেন সুদূর জার্মানির ফ্রেইবুর্গ শহরে। জার্মানির আর সব শিশুর মতো স্কুলেই শুরু ফুটবল খেলা। শৈশবের ওয়েরহফ স্কুল থেকে এরপর মাত্র ৬ বছর বয়সে নাম লেখান ফ্রেইবার্গার এফসিতে। শুরু করেছিলেন স্ট্রাইকার হিসেবে। সেখানে তার খেলা চোখে পড়ে হানসা রস্টক আরএসসি ফ্রেইবুর্গ টিমের স্কাউটদের। রিয়াসাতকে তারা বেছে নেন নিজ শহর ফ্রেইবুর্গের হয়ে খেলতে। সেখানকার একাডেমিতে দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের পুরস্কারস্বরূপ জায়গা করে নেন ফ্রেইবুর্গ এসসির অনুর্ধ-১৭ দলে।
×