ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ১ মে ২০১৫

উবাচ

রনির মতে ‘জনগণ বজ্জাত’ স্টাফ রিপোর্টার ॥ এমপি (সাবেক) থেকে নগরপিতা হওয়ার স্বপ্নে বিভোর রনি এবার তার সমর্থকদের ওপর ভীষণ চটেছেন। তাঁকে নগরপিতা হিসেবে নির্বাচন না করায় জনগণকে বজ্জাত আখ্যা দিয়ে বলছেন, ঠিক হয়েছে যেমন বজ্জাত জনগণ তাদের জন্য এমন বজ্জাত নেতাই দরকার। রনি প্রদত্ত ফেসবুক স্ট্যাটাসের শুরুটা এভানে করেছেনÑ ফেসবুকের মাধ্যমে জানলাম আমি নাকি এক হাজার ৮৬১টি ভোট পেয়েছি। আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আমাকে উত্তম শিক্ষা প্রদানের জন্য- আর ঢাকাবাসীকে ধন্যবাদ আমাকে উচিত জবাব দেয়ার জন্য। আত্মতৃপ্তির দুয়ার খুলে গেছে উল্লেখ করে রনি লিখছেন, ফেসবুকে, বন্ধু, অনুসরণকারী এবং সমর্থকের সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ যাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রায় দুই থেকে তিন বছরের। সারাদেশে আমার পাঠকের সংখ্যা প্রায় এক কোটি। অন্যদিকে টকশোর দর্শকের সংখ্যা কয়েক কোটি। রাস্তাঘাটে চলতে-ফিরতে গিয়ে এত্তোসব মানুষের আবেগ-উচ্ছ্বাসের বাড়াবাড়ি দেখে আমার মনে হতো, আমি হয়ত কিছু একটা হয়ে গেছি। কিন্তু ভোটের বেলায় এক হাজার ৮৬১টি। এখন নাকি এই রনির মনে হচ্ছে- তিনি হয়ত যাত্রাদলের নটরাজ। এখানেই শেষ নয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারানোর পর রনি বিষয়টি নিয়ে সাক্ষাতকারও দিয়ে বেড়াচ্ছেন। আংটি প্রতীকের রনি এক সাক্ষাতকারে বলছেন, যা হয়েছে ভাল হয়েছে। আমাদের জনগণ যেরকম, সেরকম নেতা নির্বাচিত হয়েছে। নেতা নির্বাচিত হয় আল্লাহর তরফ থেকে। আমাদের জনগণ যেরকম বজ্জাত, সেরকম নেতাই নির্বাচিত হয়েছেন। বজ্জাত জনগণের শাসন করতে সাধু, সন্ন্যাসী দিয়ে তো হবে না। তাই বজ্জাত নেতাই এই জনগণের জন্য ভাল। বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপচারিতার একপর্যায়ে ভোটপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি ভোটার ও জনগণকে ‘বজ্জাত, আহাম্মক’ এমনকি কিছু অকথ্য ভাষায়ও গালমন্দ করেন তিনি। আশাহত রফিক-উল হক স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির নির্বাচন বর্জনের প্রক্রিয়াকে পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে করছেন প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তিনি মনে করেছিলেন, দীর্ঘদিনের অস্থিতিশীলতার পর মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই বড় রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা তৈরি করেছিল। কিন্তু বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে সেই স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পারেনি। রফিক-উল হক বলেন, ভোট শেষ হওয়ার আগেই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে ভাল করেননি। তাঁদের সরে যাওয়া দেখে মনে হচ্ছে, হেরে যাওয়ার ভয়েই তাঁরা এমনটা করেছেন। বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মির্জা আব্বাসের সমর্থনে প্রচার চালিয়েছেন। রবিবার সকালে পল্টন এলাকায় আফরোজা আব্বাসের সঙ্গে প্রচার চালান তিনি। আফরোজা আব্বাস সকাল সাড়ে ৮টায় পুরানা পল্টনের রফিক-উল হকের বাসায় যান। সেখানে তিনি আব্বাসের পক্ষে তাঁর ভোট ও দোয়া প্রর্থনা করেন। এ সময় রফিক-উল হক তাঁকে সমর্থন দেয়ার কথা বলেন। তিনি আফরোজা আব্বাসের সঙ্গে পল্টন এলাকায় লিফলেট বিলি করেন। এ সময় ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মির্জা আব্বাসকে সাবেক সফল মেয়র ঘোষণা করে তাঁকে আবারও ভোট দেয়ার আহ্বান জানান ভোটারদের প্রতি। ওটা বিএনপির জন্য হবে আত্মহত্যার শামিল স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিটি নির্বাচন বর্জনের পর এবার বিএনপি কি আবার হরতাল-অবরোধ কর্মসূচীতে যাচ্ছে? আবার কি পেট্রোলবোমা হামলাসহ নাশকতামূলক কর্মসূচী শুরু হবে? এমন প্রশ্ন করছেন এখন অনেকেই। বিএনপির কথিত কিছু বুদ্ধিকজীবীও দিচ্ছেন নানা হুঙ্কার। তবে সিনিয়র সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান বললেন, বিএনপি যদি একটি বারের জন্যও সহিংস কর্মসূচীতে মনোনিবেশ করে, তবে ধরে নিতে হবে তারা আত্মহত্যা করতে চাইছে। যদি তারা আত্মঘাতী ধরনের বোকা হয়, তাহলেই সহিংস কর্মসূচীতে যাবে। নির্বাচন বর্জনের পর বিএনপির সরকারবিরোধী কর্মসূচী নিয়ে টেলিভিশনে আলোচনা অনুষ্ঠানে এমন অবস্থানই তুলে ধরেন নাঈমুল ইসলাম খান। তিনি বিএনপি সম্পর্কে বলেন, বিএনপির আত্মহননের অর্থ শক্তিশালী দলের হত্যা। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরও দল হিসেবে বিএনপির বিলীন হওয়ার কোন সুযোগ নেই, যদি তারা নিজেদের একটি সুসংগঠিত দলে পরিণত করতে পারে। তবে বিএনপি যদি একটি বারের জন্য সহিংসতার কর্মসূচীতে মনোনিবেশ করে, তবে ধরে নিতে হবে তারা আত্মহত্যা করতে চাইছে। তখন আমাদের সকলের দায়িত্ব হবে বিএনপিকে ধরে কোথাও বেঁধে রাখা। কারণ বিএনপির আত্মহননের অর্থ হবে বাংলাদেশে শক্তিশালী বিরোধী দলের হত্যা। আর শক্তিশালী বিরোধী দল ছাড়া কখনই প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। বুধবার সময় টেলিভিশনের ‘সম্পাদকীয়’ অনুষ্ঠানে নাঈমুল ইসলাম খান এ কথা বলেন। মোরশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রতীর নির্বাহী পরিচালক শারমীন মুরশিদ। এদিকে যমুনা টেলিভিশনে এক অনুষ্ঠানে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিএনপি জন্য রাজনীতিতে চমৎকার অনুপ্রবেশ হয়েছে। বিএনপি অতিমাত্রায় বোকা না হলে কোনপ্রকার সহিংস কর্মসূচীতে যাবে না। আর যদি তারা আত্মঘাতী ধরনের বোকা হয়, তাহলেই সহিংস কর্মসূচীতে যাবে। তবে আমার বিশ্বাস, সহিংসতা সংশ্লিষ্ট কোন কর্মসূচীতে বিএনপি প্রবেশ করবে না। এটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে, নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির আদলে বিএনপি আবার ফেরত এসেছে, যা বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য প্রয়োজন ছিল। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা সহিংস কর্মসূচী গ্রহণের মাধ্যমে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও বিপর্যস্ত হয়েছিল তাদের কর্মীরাই। বিভিন্ন আইনী মামলা-মোকদ্দমায় জেলসহ নানান ঘটনায় আহত হয়েছে তারা। ওই ৫ জানুয়ারির হাত ধরে বিগত তিন মাসে আবারও সহিংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেছে তারা। তিনি আরও বলেন, এরপরও বিএনপি যদি আবারও আন্দোলনের নামে কোনপ্রকার সহিংস কর্মসূচীতে যায়, তাহলে তা হবে পুরোপুরি বোকামি। তবে যতদূর সম্ভব তারা আর সহিংস কর্মসূচীতে প্রবেশ করবে না এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবেই তাদের কর্মসূচী পালন করবে। কর্মসূচীর ভেতর অবশ্যই আন্দোলন থাকবে, কিন্তু সহিংসতা নয়।
×