ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভাঙ্গার নির্দেশ সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি

বিপজ্জনক ডিএসসিসিরই ৫৩, আর পুরান ঢাকার ২৬৬ ভবন ॥ ঝুঁকিতে বসবাস

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ১ মে ২০১৫

বিপজ্জনক ডিএসসিসিরই ৫৩, আর পুরান ঢাকার ২৬৬ ভবন ॥ ঝুঁকিতে বসবাস

মশিউর রহমান ॥ জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দিন যাপন করছে রাজধানীর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) অর্ধশতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বাসিন্দা। ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পরও অজ্ঞাত কারণে ভবনগুলো ভাঙ্গা নিয়ে লুকোচুরি চলছে। দফায় দফায় বৈঠক করে এসব ভবন ভাঙ্গার নির্দেশ প্রদান করা হলেও দায়িত্বপ্রাপ্তদের রহস্যজনক নীরবতার কারণে এসব নির্দেশ বাস্তাবায়ন হতে দেখা যাচ্ছে না। ফলে বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ কাগজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙ্গার ব্যাপারে তালিকা তৈরির পর প্রথমদিকে খুব দ্রুত বাস্তবায়নের কথা বললেও কয়েকদিন পর তা বাস্তবায়ন করতে ভবনগুলোতে বসবাসরত নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের কাছে গেলে রহস্যজনক কারণে ঝিমিয়ে পড়ে। কর্তৃপক্ষের কঠোর নির্দেশের পরও এসব ভবন না ভাঙ্গার ফলে ভূমিকম্পসহ যে কোন দুর্যোগে ঘটে যেতে পারে। কিন্তু এ সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ উদাসীন। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে ডিএসসিসির করা তালিকানুযায়ী তাদের এলাকায় ৫৩টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে। ভবনগুলোর মধ্যে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি ও কর্পোরেশনের রাজস্ব আয় বাড়াতে ওই তালিকার ঝুঁকিপূর্ণ কমিউনিটি সেন্টারগুলো অতি দ্রুত ভেঙ্গে বহুতল মার্কেট, কমিউনিটি সেন্টার, মেডিক্যাল সেন্টার, অফিস ভবন তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলেও তা আজও কল্পনাতেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ কর্পোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে (আনিক) ভবনগুলো ভাঙ্গতে কঠোর নির্দেশ দিলেও আনিকগণ তা বাস্তবায়ন করছেন না। ডিএসসিসির তালিকার ভবনগুলোর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ, অতি ঝুঁকিপূর্ণ, জরাজীর্ণ, এখনই ভবন খালি করতে হবে ও ভবন ভেঙ্গে ফেলা প্রয়োজন এমন আশঙ্কা করে তৈরি করা হয়েছে। ভবনগুলোতে বসবাসরত হাজার হাজার আবাসিক বাসিন্দা, কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন ও ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ডিএসসিসির ৫টি আঞ্চলিক অফিসের মোট ৫৩টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ ২০১৩ সালের জুন মাসে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ১ সপ্তাহের মধ্যেই ভবন মালিক বা ভবনে অবস্থানরতদের নোটিস প্রদানপূর্বক কমপক্ষে ১টি করে ৫ অঞ্চলে ৫টি ভবন সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ (আনিক) নিজ দায়িত্বে এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙ্গে ফেলবেন। ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাধা দিলে বা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ডিএসসিসি ঘোষিত কর্পোরেশনের নিজস্ব বা ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি ভবনও আজ পর্যন্ত ভাঙ্গতে বা এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। তালিকার ভবনগুলোর মধ্যে কয়েকটি ভবনের ক্ষেত্রে জরুরীভাবে খালি করা প্রয়োজন আবার কয়েকটি জরুরী ভিত্তিতে এখনই ভেঙ্গে ফেলা দরকার বলে উল্লেখ করা হয়। আবার কিছু কিছু ভবনের ক্ষেত্রে প্রকৌশলগতভাবে ভবনের বাহ্যিক কাঠামোগত ত্রুটি এবং আপাত দৃষ্টিতে প্রতীয়মান ঝুঁকিপূর্ণতার ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুতকৃত তালিকা করা হয়েছে বলা হয়। তবে ঝুঁকিপূর্ণতার পরিপূর্ণ হার নিরূপণের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা যেমন ভবনের অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত অবস্থা, ভূগর্ভস্থ ফাউন্ডেশনের অবস্থা বিবেচনায় আনা প্রয়োজন। আপাত দৃষ্টিতে ঝুঁকিপূর্ণ নয় এসব ভবনের ব্যাপারে টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ কমিটির দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন বলে মতামত প্রদান করা হয়। ৫৩ টি ভবনের মধ্যে এমন ভবনের সংখ্যা ৭টি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বর্তমান অবস্থার বিবরণে বলা হয়, কোন কোন ভবনে চুন সুরকির গাঁথুনির দ্বারা অনেক আগে নির্মিত, ঢালাই ভেঙ্গে রড দেখতে পাওয়া, দেয়ালের আস্তর খুলে যাওয়া, কলাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, ঢালাই খসে পড়া, ছাদের আস্তর খুলে পড়া, বিভিন্ন স্থানে ছোট ও বড় বড় ফাটল দেখা যাওয়া, অনেক পূর্বের ব্যবহার অনুপযোগী পরিত্যক্ত ভবন, একই সঙ্গে কলাম, বিম ও ছাদে ফাটলযুক্ত ভবনের কথা উল্লেখ রয়েছে। তাছাড়া ওই ভবনগুলোর মধ্যে ৭০ বছর আগে তৈরি থেকে শুরু করে মাত্র ২৫ বছর আগের তৈরি ভবনও রয়েছে। যেগুলো খুব কম সময়ের মধ্যেই নির্মাণ ত্রুটি ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সূত্রে জানা গেছে, শুধু পুরান ঢাকায়ই ২৬৬টি ঝুঁকিপূর্ণ আবাসিক ভবন রয়েছে। এর বাইরে অসংখ্য ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থাকলেও রাজউকের কাছে তার কোন জরিপ নেই। ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবন ঘোষণার পরও তাদের পক্ষ থেকে এগুলো ভাঙ্গতে কোন কার্যক্রম আজও চোখে পড়ে না। সুত্র জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবন ভাঙ্গার দায়িত্ব রাজউক এবং সিটি কর্পোরেশন উভয়েরই। তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন তার আওতাধীন নিজস্ব ভবন নিজ উদ্যোগে ভাঙ্গার কাজ শুরু করতে পারে। এসব ভবন ভাঙ্গার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আবাসিক হলে নিজ দায়িত্বে ও নিজ খরচে ভাঙ্গতে হবে। অন্যথায় ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ ভাঙ্গবে। এছাড়া যেসব ভবনে ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে কর্পোরেশনের বিল্ডিং হলে ওই ব্যবসায়ীদের কর্তৃপক্ষ তাদের মাল সরিয়ে নিতে বলার পাশাপাশি ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করতে উদ্যোগ নেবে। সেক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবনের মালিকের কাছ থেকে কোন প্রকার রাজস্ব আদায় করা যাবে না। ডিএসসিসির সর্বশেষ সিদ্ধান্তে প্রতিটি অঞ্চলে ৭ দিনের মধ্যে অন্তত ১টি করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙ্গে কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়। তবে আজ পর্যন্ত এসব সিদ্ধান্তের একটিও বাস্তবায়ন করা হয়নি বলে ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নিজস্ব প্রকৌশলী দ্বারা তদন্ত পূর্বক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের হালনাগাদ এ তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। তালিকায় শুধুমাত্র অঞ্চল-১ এ ব্যক্তি মালিকানাধীন ৯টি ভবন রয়েছে। তাছাড়া বাকি অঞ্চলগুলোতে ব্যক্তি মালিকানাধীন কোন ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নেই, বলা হয়েছে। ভবনগুলোর মধ্যে অঞ্চল-১ এ ব্যক্তি মালিকানাধীনসহ মোট ১৭টি, অঞ্চল-২ এ ৭টি, অঞ্চল-৩ এ ১৯টি, অঞ্চল-৪ এ ৫টি এবং অঞ্চল-৫ এ ৫টি ভবন রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অফিস ভবন, কর্পোরেশনের ব্যবহৃত আঞ্চলিক কার্যালয়, বিভিন্ন মার্কেট, ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়ি বা বাণিজ্যিক ভবন, বিভিন্ন এলাকার সরকারী কলোনি, নাট্যমঞ্চ, জবাইখানা, লাইব্রেরি, ব্যায়ামাগার, পাবলিক টয়লেট, দাতব্য চিকিৎসালয়, পূর্ব থেকে পরিত্যক্ত ঘোষণাকারী ভবন, সমাজ কল্যাণ কেন্দ্র, শরীরচর্চা কেন্দ্র, রাজস্ব অফিস, স্টাফ কোয়ার্টার, রাস্তাসংলগ্ন বাজার, হকার্স মার্কেট, কলেজের লাইব্রেরি ও একাডেমিক ভবন, কাঁচাবাজার এমনকি থানা কার্যালয় ও র‌্যাবের কার্যালয হিসেবে ব্যবহৃত ভবনও রয়েছে। জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ তালিকার বাসিন্দা বা ভবনের ব্যবসায়ীগণ ওসব ভবন ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও কোনক্রমেই তারা ভবন বা মার্কেট ছাড়তে রাজি হয় না। এমনকি কারিগরিভাবে ভবনকে ঝুঁকিমুক্ত করতে যে সব পদক্ষেপ নিতে বলা হয় তাতেও তারা রাজি হয় না। ফলে প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই তারা বসবাস করছেন এবং মার্কেটে ব্যবসায়ীগণ অধিক লাভের আশায় ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। আইনানুযায়ী, কোন মার্কেট বা ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হলে তা থেকে সব প্রকার রাজস্ব আদায় বন্ধ রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট আনিকগণ ডিএসসিসির নির্দেশ পালন না করায় কর্পোরেশনকে আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে। ডিএসসিসির ৫টি অঞ্চলের মধ্যে অঞ্চল-১ এ ভবনগুলোর মধ্যে আবাসিক ৮০, শেরে বাংলা রোড, রায়ের বাজার, ২ তলা ভবনটি বহু পুরনো এবং চুন, সুরকির গাঁথুনি দ্বারা নির্মিত, আস্তর খসে পড়েছে বলা হয়েছে। ধানম-ির ২ নং রোডের ১৩ নং বাড়ি, ৫ তলা এ ভবনটির চিলেকোঠার ঢালাই ভেঙ্গে রড দেখা যাচ্ছে। ২৪ নং গ্রীন রোডের অনেক পুরনো ২ তলা বিল্ডিং এবং ৮৪ ও ৮৫ ক্রিসেন্ট রোড, ৮১/১ কলাবাগান ৪ তলা বিল্ডিং, ৬৬ কাকরাইল, শফি বিক্রমপুরী ভবন, ৫ তলা বিল্ডিং,৮/৪ পরিবাগ, ২ তলা বিল্ডিং, হোল্ডিং নম্বরবিহীন নবাব হাবিবুল্লাহ রোড, পরিবাগের ২ তলা বিল্ডিং, ১৮/ বি পরিবাগ ৩ তলা বিল্ডিং ভবন অনেক পুরনো ও জরাজীর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়েছে। এসব ভবন ব্যক্তি মালিকানাধীন। সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন বৃহৎ ভবনগুলোর মধ্যে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট, ঢাকা নিউমার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, বনলতা মার্কেট, পরিবাগ সুপার মার্কেট (সাকুরা মার্কেট), কাঁঠালবাগান কমিউনিটি সেন্টার (যেটি বর্তমানে কলাবাগান থানা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে), পিডব্লিউডি মালিকানাধীন চানখারপুলের যক্ষা নিয়ন্ত্রণ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পিডব্লিউডি মালিকানাধীন চানখারপুল কর্মচারী কোয়ার্টার। অঞ্চল-২ এ তিলপাপাড়া কমিউনিটি সেন্টার, মুগদা কমিউনিটি সেন্টার, পল্টন কমিউনিটি সেন্টার, বাসাব কমিউনিটি সেন্টার, গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চ, মতিঝিল টিএ্যান্ডটি কলোনি, শাজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি। অঞ্চল-৩ এ গণকটুলি সুপার কলোনিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৫ টি চার তলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন ও মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ১ টি চারতলা আবাসিক ভবন, খলিল সরদার কমিউনিটি সেন্টার, নবাবগঞ্জ পার্কের আউটডোর দাতব্য চিকিৎসালয়, শহীদনগর কমিউনিটি সেন্টার (সেমিপাকা), জাহাঙ্গীর নগর সমাজকল্যাণ কেন্দ্র, লালবাগ (আজাদ মুসলিম) কমিউনিটি সেন্টার, হাজী সরদার গনি কমিউনিটি সেন্টার, বকশিবাজার রাজস্ব অফিস, ইসলামবাগ স্টাফ কোয়ার্টারের ৬ তলা বিশিষ্ট ৪টি ভবন। অঞ্চল- ৪ এ কাপ্তান বাজার রোড সংলগ্ন মার্কেট, সদরঘাট লেডিস পার্ক হকার্স মার্কেট, নবাব ইউসুফ মার্কেট-১ এবং ৫নং ভবন, ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের ৩য় তলা এবং ৫ তলাবিশিষ্ট একাডেমিক ও লাইব্রেরি ভবন। অঞ্চল-৫ এ সূত্রাপুর কাঁচাবাজার, তেলেগু-১ নং ভবন, আউটফল স্টাফ কোয়ার্টার ১৩ নং ভবন, সায়েদাবাদের অঞ্চল-৫ এর পুরাতন অফিস ভবন, সরকারী অর্থায়নে নির্মিত সূত্রাপুরের ২টি (ক এবং খ গ্রুপ), দয়াগঞ্জে ৩টি (গ্রুপ-ক, খ, গ) এবং ধলপুরে ৪টি ক্লিনার কলোনি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি ১ তলা বিশিষ্ট ভবন ও পাবলিক টয়লেটসহ কিছু স্থাপনাও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনছার আলী খান বলেন, ডিএসসিসির সরেজমিনে করা তালিকা অনুযায়ী ৫টি অঞ্চলে মোট ৫৩ টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও ডিএসসিসির আবাসিক স্টাফ কোয়ার্টার রয়েছে। ডিএসসিসি কর্র্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবন ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নিলেও তা প্রকৃতই ঝুঁকিপূর্ণ কিনা এ বিষয়ে সর্বশেষ ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রয়োজন। তাই বার বার উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে সরেজমিনে যাচাইয়ের পর রাজউক কর্তৃপক্ষ ভবনগুলো ভাঙ্গার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমাদের পক্ষ থেকে রাজউক কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। আশা করি, ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষিত এসব ভবন ভাঙ্গতে রাজউক কর্তৃপক্ষ অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে।
×