ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভিত্তি পয়েন্টের নিচে সূচক

প্রকাশিত: ০৪:২১, ১ মে ২০১৫

ভিত্তি পয়েন্টের নিচে সূচক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা লোকসানের হাত থেকে কোনভাবে বাঁচতে পারছে না। কোন কারণ ছাড়াই প্রতিদিনই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো দর হারাচ্ছে। আর পুঁজিবাজার হারাচ্ছে তার সূচক। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয়তায় বিনিয়োগকারীরা আরও দর কমার আতঙ্কে শেয়ার বিক্রির কারণে কমতে কমতে ডিএসইর সার্বিক সূচক নেমে গেছে ভিত্তি পয়েন্টের নিচে। আগের দিনের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক বা ডিএসইএক্স ৫১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৪৭ পয়েন্টে। তবে সপ্তাহের শেষ দিনে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ডিএসইএক্স ও ডিএস৩০ সূচক চালু হয়। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শুধুমাত্র লেনদেনযোগ্য শেয়ার বিবেচনায় এনে এই সূচক গণনা করা হয়। ওই সময় ডিএসইএক্স সূচকের ভিত্তি পয়েন্ট ছিল ৪ হাজার ৫৫। আর ডিএস৩০ ছিল ১ হাজার ৪৬০ পয়েন্ট। ডিএসইএক্স শুধু ভিত্তি পয়েন্টের নিচেই নামেনি, এই সূচকের অবস্থান গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৩ সালের ৪ নবেম্বর এই সূচকের অবস্থান ছিল ৪ হাজার ৮৫ পয়েন্ট। ডিএসইতে ৩৮২ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৬৬ কোটি ১৩ লাখ বেশি। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৩১৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩১১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এরমধ্যে দর বেড়েছে ৫৪টি কোম্পানির, কমেছে ২২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ১২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯৯২ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৪৫ পয়েন্টে। ডিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, এসিআই লিমিটেড, এসিআই ফরমুলেশনস, বিএসআরএম স্টিল, এমজেএলবিডি, ইফাদ অটোস, বিএটিবিসি, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং গ্রামীণফোন। দিনটিতে ঢাকার মতো অপর বাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল। তবে একই ভাবে সেখানে ক্রেতাও ছিল আগের দিনের চেয়ে বেশি। সকালে সূচকের নেতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মোট ৪২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমার কারণে চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের সার্বিক সূচক ১৯১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৪৫৩ পয়েন্টে। সিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২২৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এরমধ্যে দর বেড়েছে ৩৭টির, কমেছে ১৬৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, বিএসআরএম লিমিটেড, এসিআই ফর্মুলেশন, এসিআই, মবিল যমুনা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, সাইফ পাওয়ারটেক, ইউনাইটেড এয়ার ও ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড।
×