ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকা সেনানিবাসে আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন স্থাপনা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৩০ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকা সেনানিবাসে আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন স্থাপনা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলানিউজ ॥ ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরে সাধারণ সৈনিকদের জন্য নির্মিত হয়েছে আবাসিক এলাকা নিসর্গ। আরও নির্মিত হয়েছে কর্মকর্তা, জেওসি ও সৈনিকদের জন্য আবাসিক এলাকা নির্ঝর। ৫৭ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের জন্য নির্মিত হয়েছে আধুনিক অফিস ও সৈনিক লাইন। আর সূর্যকন্যা নামে নির্মিত হয়েছে সেনা পরিবার কল্যাণ সমিতির প্রধান কার্যালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরে এই সব নবনির্মিত ভবনের ও আবাসিক এলাকার উদ্বোধন করেন। ক্যান্টনমেন্টের তিনটি স্পটে ঘুরে ঘুরে এগুলো উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সেনা প্রধানগণসহ সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা। সেনানিবাসের ভেতরে অত্যন্ত খোলামেলা পরিবেশে সৈনিক ও কর্মকর্তাদের জন্য নির্মিত আবাসিক এলাকা তৈরি হয়েছে লেক, শিশুদের খেলার মাঠ ও পার্ক, সুবিন্যস্ত সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত করে। নির্ঝর আবাসিক এলাকায় সেনা কর্মকর্তাদের জন্য তিনটি, জেওসিদের জন্য একটি ও সৈনিকদের জন্য দুটি আবাসিক ভবন রয়েছে। নয়নাভিরাম আধুনিক এই ভবনগুলোর মাঝে রয়েছে সুদৃশ্য লেক। যার ওপর দিয়ে তৈরি হয়েছে ১১০ মিটারের ডবল ডেক ব্রিজ। লেকের ভেতরেই তৈরি হয়েছে আধুনিক রেস্টুরেন্ট ত্রিবেনী। এছাড়াও নির্মিত হয়েছে বিশেষায়িত স্কুল, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজ, স্টুডেন্ট হোস্টেল, রেস্ট হাউস। এ সবকিছুরই নামফলক একযোগে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী পর্বে এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিকেরা মাঠ পর্যায়ে একটি সুশৃংখল দেশের জন্য কাজ করেন। কিন্তু তাদের নিজেদের পরিবার নিয়ে থাকার কোন স্থান নেই। এমনকি সৈনিকদের ব্যারাকেও তাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। এর অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যেই তাদের জন্য নির্মিত হয়েছে এই আধুনিক বাসস্থান। শত শত সৈনিকের এসব আবাসিক ভবনে পরিবার নিয়ে বসবাসের সুযোগ হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেনানিবাসের আধুনিকায়ন ও সৈনিকদের বাসস্থান নির্মাণে সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান সেনাপ্রধান। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক (অব), নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী প্রধান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং ঢাকা ও মিরপুর সেনানিবাসের উর্ধতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
×