ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শুল্ক কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের যোগসাজশ

সাতক্ষীরা কাস্টমস মালামাল নিলামে বিক্রি ॥ পুকুর চুরির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ৩০ এপ্রিল ২০১৫

সাতক্ষীরা কাস্টমস মালামাল নিলামে বিক্রি ॥ পুকুর চুরির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ সাতক্ষীরা কাস্টমস গোডাউনে রক্ষিত বিভিন্ন মালামাল নিলামে বিক্রি নিয়ে পুকুর চুরির অভিযোগ উঠেছে। ১৯টি লটের এই মালামাল বিক্রির জন্য শুল্ক বিভাগ ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩৪ হাজার ২৯৩ টাকা মূল্য নির্ধারণ করলেও এই মালামাল মাত্র ৩৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। সাতক্ষীরা শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনারসহ ও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের যোগসাজশে নামমাত্র মূল্যে এসব মালামাল নিলামে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। সাতক্ষীরা শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার মোঃ আবুল কাশেম নিলাম প্রক্রিয়ার অনিয়ম ও তার বিরুদ্ধে অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে নিলামে দাম বেশি না ওঠায় কমমূল্যে নিলাম দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, সাতক্ষীরা কাস্টমস গোডাউনে রক্ষিত বিভিন্ন প্রকার মালামাল বিক্রির জন্য সর্বমোট ১৯টি লট প্রস্তুত করা হয়। ১৯টি লটের বিজিবি নির্ধারিত মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা হলেও কাস্টমে জমা হওয়ার পর শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার এসব মালামালের মূল্য নির্ধারণ করেন ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩৪ হাজার ২৯৩ টাকা। অভিযোগ রয়েছে সাতক্ষীরা শুল্ক গুদামের এসব মালামাল বিক্রিতে সরকারী নিয়মনীতির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়নি এবং সম্প্রতি বদলি হওয়া এক সহকারী কমিশনার ১৬ এপ্রিল এই মালামাল নিলাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছেন। নিলাম বিক্রির পরিসংখ্যানে জানা গেছে, ৬/১৫ নং লটের নির্ধারিত শুল্ক মূল ছিল ৮ লাখ টাকা, নিলামে বিক্রি করা হয়েছে মাত্র ১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ । ২/১৫ নং লটের শুল্ক মূল ছিল ১৪ লাখ ৮২ হাজার ৬০০ টাকা, নিলামে বিক্রি করা হয়েছে মাত্র ২ লাখ ৮২ হাজার টাকা। ৩/১৫ নং লটের শুল্ক মূল ছিল ৭ লাখ ৪ হাজার ৫২০ টাকা, বিক্রি করা হয়েছে মাত্র ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। ৪/১৫ নং লটের শুল্ক মূল ছিল ১০ লাখ ২২ হাজার ৬৩০ টাকা, বিক্রি করা হয়েছে মাত্র ৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। ৫/১৫ নং লটের নির্ধারিত শুল্ক মূল ছিল ১৫ লাখ ৫৯ হাজার ১০০ টাকা, বিক্রি করা হয়েছে মাত্র ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকায়। এভাবে ১৯টি লটের মধ্যে ১৭টি লটের মালামাল নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাতক্ষীরা কাস্টম গোডাউনের এক সদস্য জানান, প্রতিটি নিলামের সময় নিলাম কমিটির সামনে পুরাতন ও জরাজীর্ণ মালামাল হাজির করা হয়ে থাকে। কৌশলগত কারণে তারা নতুন বা ভাল মালামাল নিলাম কমিটির সামনে আদৌ হাজির করেন না।
×