ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শোয়েচলার এসেছেন, ক্রুইফ আসবেন আজ

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২৯ এপ্রিল ২০১৫

শোয়েচলার এসেছেন, ক্রুইফ আসবেন আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ ফুটবলের বাছাইপর্ব সামনে রেখে ডাচ্ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ এবং জার্মান গোলরক্ষক কোচ ক্রিস্টিয়ান শোয়েচলারের ঢাকা আসার কথা ছিল সোমবার ভোরে। তাদের আগমন পিছিয়ে যায় ২৪ ঘণ্টা। মঙ্গলবার সকালে দুই জনের একসঙ্গে আসার কথা থাকলেও এসেছেন একজন। তিনি জার্মান গোলরক্ষক কোচ শোয়েচলার। ক্রুইফের আগমন আবারও পিছিয়ে গেছে। জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান এ কোচ বুধবার ঢাকায় পা রাখবেন বলে নিজেই নিশ্চিত করেছেন। নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘আমি এখন ইস্তাম্বুলের পথে। বুধবার ভোরে ঢাকা পৌঁছব’। দেরি হবার কারণ হিসেবে তিনি এ অঞ্চলে ভূমিকম্পের কথা জানান। আজ বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ঢাকা মোহামেডান-মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মধ্যেকার ‘মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের’ ম্যাচটি দেখার মাধ্যমে শুরু হবে কোচদের বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ ফুটবলের বাছাইপর্বের ক্যাম্পের জন্য খেলোয়াড় বাছাইয়ের কাজ। ৩৬ বছর বয়স্ক (জন্ম : ১৯৭৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর) গোলরক্ষক কোচ ক্রিস্টিয়ান শোয়েচলার। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী জার্মানির এই গোলরক্ষক কোচ ইউরোপিয়ান (উয়েফা), আফ্রিকান (সিএফ) এবং এশিয়ান (এএফসি) সংস্থাগুলোর ক্লাব ও জাতীয় দলগুলোতে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। কাজ করেছেন সুদানের আল-মেরিখ স্পোর্টিং ক্লাব (২০০৯-১০), লেবানন জাতীয় ফুটবল দল (২০১২-১৩) এবং সর্বশেষ সৌদি আরবের ইত্তিফাক ফুটবল ক্লাবে (২০১৩)। আল-মেরিখের হয়ে কাজ করা সময় তার ক্লাব ২০১০ সালে জেতে ‘সুদান কাপ।’ এছাড়া দলটি সিএএফ চ্যাম্পিয়ন্স লীগের মূলপর্বে উত্তীর্ণ হয়। শোয়েচলার ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের মূলপর্বে লেবাননকে উন্নীত করার লক্ষ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত হন ২০১২ সালে। তবে মূলপর্বে লেবানন যেতে না পারলেও দলটি তাদের ইতিহাসের সেরা সাফল্য পায় বাছাইপর্বে ইরানকে ১-০ গোলে হারিয়ে। ইরানের পর্তুগীজ কোচ কালোর্স কুইরোজ লেবানন দলের গোলরক্ষক আব্বাস হাসানের ভূয়সী প্রশংসা করতে বাধ্য হন। প্রকৃতপক্ষে আব্বাসের এই প্রশংসার কৃতিত্ব যায় শোয়েচলারের ঝুলিতেই। শোয়েচলার নিজ দেশের জার্মান স্পোর্ট ইউনিভার্সিটি কলোগনে থেকে পড়াশুনা করেছেন স্পোর্টস সাইন্স বিষয় নিয়ে। জার্মান ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন (ডিএফবি) এবং রয়্যাল ডাচ্ ফুটবল একাডেমি এ্যাসোসিয়েশন (কেএনভিপি) থেকে গোলকিপিং সংক্রান্ত সনদপত্র লাভ করেন। ২০০৮-০৯ পর্যন্ত কাজ করেন জার্মান গোলকিপার স্কুলে। এছাড়া ২০০০-০৮ পর্যন্ত কাজ করেন জার্মান ফুটবল একাডেমিতে। শোয়েচলারের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট ঘেঁটে জানা গেছে তার রয়েছে কোচ হিসেবে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। কিন্তু ২০০৯ সালের আগে কোথায় কাজ করেছেন, তার কোন বিবরণ নেই! এখন দেখার বিষয়, ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ দলের ভাল ফলের জন্য জার্মান গোলরক্ষক কোচ ক্রিস্টিয়ান শোয়েচলারের অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়ে গোলরক্ষক হিসেবে ভাল নৈপুণ্য প্রদর্শন করতে পারেন কি না বাংলাদেশ জাতীয় দলের গোলরক্ষকরা।
×