ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ ভোট, মনজুর বিদায় নিলেন রাজনীতি থেকে

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৯ এপ্রিল ২০১৫

চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ ভোট, মনজুর বিদায় নিলেন রাজনীতি থেকে

মোয়াজ্জেমুল হক/হাসান নাসির/ মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বিক্ষিপ্ত কিছু গোলযোগ, ভোট কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি, আধিপত্য বিস্তারের বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচন। তবে ভোট কেন্দ্রে দৃশ্যমান হাঙ্গামা না থাকলেও বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর ভোটারদের বাধাদান ও পোলিং এজেন্ট ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগ করেছে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মনজুর আলমের চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলন। আর এ অভিযোগে ভোট শুরু হওয়ার মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এম মনজুর আলম। একই সঙ্গে তিনি রাজনীতি থেকেও নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন। ভোট চলাকালে মোট ৭১৯ কেন্দ্রের মধ্যে ৪-৫টি কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যাওয়া ৩ সাংবাদিক আহত হন। এ ছাড়া বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে এ নির্বাচনকে ভোট জালিয়াতি, কেন্দ্র দখল, বহিরাগতদের দিয়ে ব্যালট বাক্সে ব্যালট ঢুকানো এবং প্রতিটি কেন্দ্রে সরকারী দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর পক্ষে আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু এ অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিনের নাগরিক কমিটি। তারা তাদের অপরাজনীতির কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এ নির্বাচনে অংশ নিয়ে একটি নাটক মঞ্চস্থ করেছে বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ ও নাগরিক কমিটি। অপরদিকে, রিটার্নিং অফিসার এমএ বাতেনও দাবি করেছেন, ৭১৯টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যে কেন্দ্র থেকে অভিযোগ এসেছে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে তা নিরসন করা হয়েছে। মনজুর আলম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার ব্যাপারে লিখিত কোন বক্তব্য তিনি পাননি বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকদের। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় যথা নিয়মে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে যায়। শুরুতে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতির হার ছিল কম। কিন্তু ১০টার পর উপস্থিতি বাড়তে থাকে। সোয়া ১১টায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনজুর আলম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর খবর প্রচার হওয়ার পর ভোটারদের মাঝে কিছুটা বিস্ময় সৃষ্টি হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন সমর্থকদের মাঝে স্বস্তি বয়ে আসে। কিন্তু ভোটার উপস্থিতি খানিক সময়ের জন্য থমকে যায়। এ অবস্থায় কাউন্সিলর প্রার্থীদের তৎপরতায় ১২টার পর আবার কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। যা বিকেল তিনটা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। ভোট প্রদানের শেষ সময়য় বিকেল ৪টার আগে ভোট কেন্দ্রগুলোর অধিকাংশে ভোটারের চাপমুক্ত ছিল। প্রায় প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ছিল উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন বুথে ভোটারদের দীর্ঘ লাইনও দেখা যায়। নারী ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়। ভোটার এবং পোলিং এজেন্টদের পক্ষ থেকেও কোন অভিযোগ ছিল না। অনেক কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আ জ ম নাছির ও বিএনপি সমর্থিত এম মনজুর আলমের পোলিং এজেন্টকে পাশাপাশি দেখা যায়। ভোট কেন্দ্রকে ঘিরে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়। তবে বেলা সোয়া ১১টার দিকে এম মনজুর আলম নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে এর প্রভাব পড়ে কেন্দ্রগুলোতে। ফলে ভোটের আমেজ কিছুটা হ্রাস পায়। নির্বাচন অনেকটা একতরফা হয়ে যাওয়ায় আ জ ম নাছিরের হাতি প্রতীকের প্রাধান্য নিরঙ্কুশ হয়ে যায়। নগরীর ভোট কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনে হাঙ্গামা ও গোলযোগের দৃশ্যমান চিত্র খুব একটা ধরা পড়েনি। বুথের দিকে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। উপস্থিতির মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আ জ ম নাছিরের হাতি প্রতীকের ব্যাজই বেশি দেখা যায়। এর বাইরে যাদের আলাদা করে চেনা যায় তারা সকলেই বিভিন্ন কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম মনজুর আলমের কমলা প্রতীকের সক্রিয় কর্মী কেন্দ্রগুলোতে দেখা যায়নি বললেই চলে। তবে প্রচুর নীরব ভোটার বিএনপি প্রার্থীকে যে ভোট দিয়েছে তা প্রতীয়মান হয়। সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর অনেক ভোটারই অকপটে বলেন, তারা বুকে ব্যাজ ধারণ করে ভোট কেন্দ্রে আসতে সাহস পাচ্ছেন না। কিন্তু ভোট কেন্দ্রে তাদেরও উপস্থিতি রয়েছে। চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন সকাল ৯টার দিকে ভোট প্রদান করেন নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল কেন্দ্রে। আর বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম মনজুর আলম সকাল পৌনে ১০টার দিকে তাঁর ভোট প্রদান করেন উত্তর কাট্টলী হাজী দাউদ প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। ভোট দেয়ার পর আ জ ম নাছির নির্বাচনে বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অপরদিকে, মনজুর আলম বলেন, সরকার দলীয় ক্যাডাররা অনেক ভোট কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি সংশয় প্রকাশ করেন। মনজুর আলমের ভোট বর্জন ॥ বিএনপি সমর্থিত ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলন মনোনীত হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থী এম মনজুর আলম বেলা সোয়া এগারটার দিকে নগরীর দেওয়ানহাটের নিজ নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দেন। তিনি বলেন, অধিকাংশ কেন্দ্র দখল হয়ে গেছে। মনজুর আলম বলেন, আমি কোন বিশৃঙ্খলা চাই না। অনেক এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলাম। এটাই আমার শেষ নির্বাচন। রাজনীতি থেকেও নিজেকে গুটিয়ে নিলাম। সমাজ সেবা নিয়েই থাকব। এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান এবং মহানগর বিএনপি সভাপতি ও মনজুর আলমের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ভোটের আগে থেকেই সরকারদলীয় কর্মীরা ভোট কেন্দ্রগুলো দখল করে নেয়। আমাদের কোন এজেন্টকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। আর যারা ঢুকেছিল তাদেরও বের করে দেয়া হয়েছে। মনজুর আলম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পূর্বে নিজ বাসভবনে তার প্রধান এজেন্ট নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, সরকার দল সমর্থিত ক্যাডাররা সকাল দশটার মধ্যে ৮০ শতাংশ কেন্দ্র দখল করে নেয়। যে কারণে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেনি। তিনি বলেন, যেখানে সরকারী কর্মকর্তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তারা এক হয়ে নির্বাচনে কারচুপির দায়িত্ব নিয়েছে সেখানে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটার সম্ভাবনা থাকতে পারে না। এরা সকলে ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়েছে। বহু কেন্দ্রে মনজুর আলমের এজেন্ট ঢুকতে দেয়া হয়নি আবার বহু কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। আমীর খসরু জানান, সরকার দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর পক্ষে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ছিল হাজার হাজার সন্ত্রাসীর বিচরণ ক্ষেত্র। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত সন্ত্রাসীর মিলমেলা অতীতে কখনও দেখা যায়নি। তার মতে, আগামীতে আর কখনও এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, কমপক্ষে ৩০ হাজার বহিরাগত সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রামের ৭১৯টি ভোট কেন্দ্রে অবস্থান গ্রহণ করেছে। এদের নোয়াখালী, কুমিল্লা, রাউজান, টেকনাফ, ফেনী, চকরিয়াসহ বিভিন্ন স্থান থেকে এনে জড়ো করা হয়েছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। নির্বাচন বর্জন দুরভিসন্ধি ॥ মনজুর আলমের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর তথ্য মিডিয়ায় প্রচার হওয়ার পরক্ষণেই বেলা সাড়ে ১২টায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে তড়িঘড়ি করে সাংবাদিক সম্মেলন আহ্বান করে জানান, ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিএনপির প্রথম থেকেই প্রচেষ্টা ছিল এ নির্বাচনকে, নির্বাচন কমিশনকে এবং সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। নির্বাচনের আগে বিএনপি নেত্রী উস্কানিমূলক বহু বক্তব্য দিয়েছেন। আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়েছেন। তার আন্দোলনে ১৭০ জন মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। কয়েক হাজারকে জখম করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করে বিএনপি বুঝতে পেরেছে জনগণ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে তাদের পরাজয় নিশ্চিত। মনজুর আলম এবং ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের বিএনপি সমর্থিত দুই প্রার্থীর নির্বাচন বয়কটের ঘোষণার নেপথ্যে রয়েছে এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা। হাছান মাহমুদ বলেন, মনজুর আলম রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে তার অভিযোগ বিএনপির দিকে। বিএনপির নেতাকর্মীরা তার পক্ষে মাঠে নামেনি। তাই তিনি প্রতিটি কেন্দ্রে এজেন্টও দিতে পারেননি। তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও এ নির্বাচন নিয়ে তার কোন বক্তব্য নেই। চট্টগ্রামে তার সামনেই একটি কেন্দ্রে বিএনপির সন্ত্রাসীরা ককটেল চার্জ করেছে এবং চাক্তাই এলাকায় দশ কর্মীকে আহত করেছে। দুই সিটিতে হঠাৎ করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণাকে বিএনপির দুরভিসন্ধিমূলক বলে মন্তব্য করেন। ৩ সাংবাদিক আহত ॥ ভোট চলাকালে নগরীর দুটি কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের চিত্র ধারণ করতে গিয়ে আহত হন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তিন সাংবাদিক। নগরীর দক্ষিণ হালিশহর কেজি এ্যান্ড হাইস্কুলে সকাল দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নাগরিক কমিটির সংবাদ সম্মেলন ॥ বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পর ৫টার দিকে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিনের নাগরিক কমিটি সাংবাদিক সম্মেলন আহ্বান করে। এতে বক্তব্য রাখেন আ জ ম নাছিরের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ ও মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন। জনাকীর্ণ এ সাংবাদিক সম্মেলনে মোসলেম উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ অবাধ ও নিরপেক্ষ করার জন্য সরকার যথেষ্টসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ দিয়েছে। ভোট গ্রহণ সূচারুরূপে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মনজুর আলম মিথ্যা কিছু অভিযোগ এনে সকাল সোয়া এগারোটায় সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এটা সকলকে বিস্মিত করেছে। মোসলেম উদ্দিন জানান, বিএনপির অপরাজনীতির কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই তারা বহু কেন্দ্রে এজেন্ট পর্যন্ত দিতে পারেনি। ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বিএনপি নেতাদের পরামর্শে মনজুর আলম ভোট গ্রহণের অর্ধেক সময়েরও আগে এ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনীতি থেকেও অবসরের কথা জানিয়েছেন। মূলত তাঁর দলের নেতাকর্মীরা তার জন্য কাজ করেননি। পক্ষান্তরে জনগণ বিএনপিকে এবং বিএনপি প্রার্থীদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এ নির্বাচন তাই প্রমাণ করেছে। বিএনপির পক্ষে এ নির্বাচন নিয়ে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যাচারের সামিল বলে মোসলেম উদ্দিন দাবি করেন। চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। মানুষ প্রতিটি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে দুয়েকটি কেন্দ্রে যে সব ঘটনা ঘটেছে তা বিএনপি সন্ত্রাসীরা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন। মনজুর আলম তার গত পাঁচ বছরের মেয়র পদে থাকার সময় এ নগরীকে ডাস্টবিনে পরিণত করা হয়েছিল। এ নির্বাচনে জনগণ উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে যেসব দাবি এখন করা হচ্ছে তা একটি স্রেফ নাটক বলে মন্তব্য করেন।
×