ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাল্টে যাচ্ছে রূপগঞ্জের অর্থনৈতিক চিত্র

কর্মমুখর জাহাজ শিল্প

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ২৯ এপ্রিল ২০১৫

কর্মমুখর জাহাজ শিল্প

মীর আব্দুল আলীম, রূপগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর দুই তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে বিশাল জাহাজের চর। উপজেলার ৩ ইউনিয়নজুড়ে গড়ে ওঠা প্রায় ৮০টি জাহাজ কারখানা এখন হাজার মানুষের পদচারণায় এক কর্মমুখর জনপদ। কাটিং জাহাজের শিটে এ অঞ্চলে তৈরি হচ্ছে বালুর ছোট বাল্কহেড থেকে শুরু করে কার্গো জাহাজ ও যাত্রীবাহী বিশাল সব লঞ্চ ও ফেরি, পন্টুন। পাল্টে গেছে এলাকার রূপরেখা। অর্থনৈতিক চিত্র। এ শিল্প থেকে সুবিধা গ্রহণ করছে স্থানীয় ৫০ হাজার মানুষ। তবুও সঠিক পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে রফতানিযোগ্য জাহাজ তৈরিতে এখনও অদক্ষতার পরিচয়ে আছেন শিল্প সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন সরকারী দফতরের বিড়ম্বনা ও হয়রানির ঘটনা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ডেমরা থেকে শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীর ঘেঁষে উত্তরে কালো অজগরের মতো এঁকেবেঁকে গেছে পিচঢালা সড়ক। সেই রাস্তা ধরে মাত্র ৩ কিলোমিটার এগুলোই জাহাজ তৈরির অসংখ্য কারখানার দেখা মিলবে। কোনটি সবে তৈরি হচ্ছে, কোনটি সমাপ্তির পথে। যে কারো চোখ ধাঁধিয়ে যাবে বড় বড় জাহাজ দেখে। ইতোমধ্যেই শীতলক্ষ্যা পাড় এখন এলাকাবাসীর কাছে জাহাজের চর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আর এ জাহাজের গ্রাম রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া। এছাড়া স্থানীয় মুড়াপাড়া ও তারাব পৌরাঞ্চলের শীতলক্ষ্যার পাড়ে গড়ে উঠেছে আরও ছোট বড় অসংখ্য জাহাজ কারখানা। অজোপাড়াগাঁ বলতে যা বোঝাই তাই ছিল কায়েতপাড়া গ্রামটি। অথচ সময়ের ব্যবধানে সেখানে গড়ে উঠেছে অসংখ্য জাহাজ তৈরির শিল্প। হাজার মানুষের পদচারণায় কায়েতপাড়া এখন এক কর্মমুখর জনপদ। কায়েতপাড়ার পূর্বগ্রাম, ভাওয়ালীয়াপাড়া, ডাক্তারখালী, বড়ালু, মাঝিনা, হড়িনা, ও ইছাখালীর চরে রয়েছে প্রায় ৬০টি জাহাজ তৈরির কারখানা। এছাড়া উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের গঙ্গানগর ও দড়িকান্দির চরে রয়েছে আরো ৮/১০টি প্রতিষ্ঠান। আর তারা পৌরসভার রূপসী ও গন্ধর্বপুর এলাকার আরও ১০/১২টি প্রতিষ্ঠান। মাস্টাং ডকইয়ার্ড, খান ডকইয়ার্ড, ফাহিম ডকইয়ার্ড, শামস ডকইয়ার্ড, তালহা ডকইয়ার্ড, আমির ডকইয়ার্ড, মালেক ডকইয়ার্ড, ফটিক ডকইয়ার্ড, ভাই ভাই ডকইয়ার্ড, মনির ডকইয়ার্ড, মাস্টাং ইঞ্জিনিয়ারিং কায়েতপাড়ার জাহাজ কারখানাগুলোর অন্যতম। এছাড়া পূর্বপাড়ের সিটি ডকইয়ার্ড এখানকার অন্যতম বড় কারখানাগুলোর একটি। আড়াইশ’ ফিট থেকে শুরু করে শত ফিটের কোস্টার বা মালবাহী জাহাজ, সরোঙ্গা, ফেরি, জেটি, পল্টন, বালুবাহী ট্রলার, ব্লাকহেট আর ড্রেজার তৈরি হয় শীতলক্ষ্যার এই চরে। তৈরি হচ্ছে অর্ধশত কোটি টাকা মূল্যের বিশাল যাত্রীবাহী লঞ্চও। জাহাজ তৈরির পদ্ধতি : জাহাজ তৈরিতে মূলত ব্যবহার হয় লোহার প্লেনশীট আর এঙ্গেল। মেশিন সরাসরি আমদানি করতে হয় চীন থেকে। অতিরিক্ত উপাদান বলতে টি-গার্ডার, বিট-গার্ডার, রং, ইট, বালি, সিমেন্ট, গ্যাস সিলিন্ডার, অক্সিজেন, ওয়েল্ডিং রড আর লেদ মেশিনের কিছু খুচরো কাজ। একটি বড় মাপের কোস্টার জাহাজ তৈরির জন্য প্রথমে রাজমিস্ত্রি বেস লাইন তৈরি করে দেন। পরে ঠিকাদারের নির্দেশনাক্রমে ফিটাররা জাহাজের মলিন তৈরি করেন। ওয়েল্ডার ঝালাইয়ের মাধ্যমে জাহাজটির খাঁচা তৈরি নির্মাণ করেন। একটি বডি দাঁড় করানোর পর চলে মেশিন স্থাপন আর রংয়ের কাজ। বড় জাহাজে ৩/৪টি খুপরি বা হেস থাকে। যেখানে ৩/৪শ’ টন পর্যন্ত মাল বহন করা যায়। প্লেনশীট আসে চট্টগ্রাম থেকে। বিদেশী কাটা জাহাজের ৮ থেকে ১২ মিলির শীট ব্যবহার করা হয় জাহার তৈরিতে। ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে শীট কিনতে হয়। আর লোহার অঙ্গেল ৭৫/৭৬ টাকায় পাওয়া যায় স্থানীয় বাজারে। ৮/৯ লাখ টাকায় জাহাজের মেশিন আমদানি করা হয় চীন থেকে আর অন্যান্য মালামাল আছে ঢাকার বংশালে অথবা চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে। সর্বসাকল্যে একটি বড় জাহাজ তৈরিতে ৯/১০ কোটি টাকা খরচা হয়। এরপর মালিকরা সুবিধে মতো লাভ করে তা বিক্রি করেন। একটি জাহাজ ২০/২৫ জন কারিগর মিলে তৈরি করলে সময় লাগে ১২ থেকে ১৫ মাস। সম্পৃক্ততা যাদের : জাহাজ মালিকদের ইতিহাস অধিক প্রাচীন। ইতিহাসের খেরোপাতা থেকে জানা যায়, ১৭৯৯ সালে ব্রিটেন দ্বিতীয় যুদ্ধজোট গঠনের পর জোট থেকে মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের কাছে একটি বার্তা আসে মিত্র হিসেবে ভারতবর্ষ থেকে জাহাজ তৈরির জন্য কিছু শ্রমিক প্রেরণ করার। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সম্রাট আওরঙ্গজেব জাহাঙ্গীর নগর (ঢাকা) থেকে ৩২০ জন শ্রমিক ব্রিটেনে পাঠান। শোনা যায় তারা বর্তমান ঢাকার দোহারের অধিবাসী ছিলেন। সেই থেকে জাহাজ তৈরি দোহারবাসীর আদি ব্যবসা। হালে কাঠের জাহাজের প্রচলন না থাকলেও বাংলাদেশে যারা জাহাজ তৈরি করেন বা জাহাজের ব্যবসা করেন তাদের অধিকাংশের বাড়ি ঢাকার দোহারে। আবার অনেকে মজা করে বলেন বাড়ি আমার দোহার, কাজ করি লোহার। অন্যদিকে যারা জাহাজ তৈরির কারিগর তাদের বাড়ি দোহার, বিক্রমপুর, পিরোজপুর, রাজবাড়ির গোয়ালন্দ, আর নবাবগঞ্জে। রং এবং রাজমিস্ত্রির কাজ করেন স্থানীয়রা। জাহাজ তৈরির জন্য যিনি জমি দেন এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেন তাকে বলা হয় কারখানা মালিক। আর যারা জাহাজটি ফিটিংস করেন তাদের বলা হয় ফিটার। জাহাজে ঝালাইয়ের কাজ করেন ওয়েল্ডার আর পুরো ব্যাপারটা যে নিয়ন্ত্রণ করে সে হলো ঠিকাদার। জাহাজ তৈরির সকল উপকরণ কিনে দেন জাহাজ মালিক। জমির মালিক একটি জাহাজ ফেলার জন্য জমির ভাড়া নেন ২৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। একজন ঠিকাদারের মাসিক বেতন ১৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। একজন রাজমিস্ত্রি দৈনিক হাজিরা পান ৪০০ টাকা, তার সহযোগী ৩০০ টাকা। ফিটারের দৈনিক বেতন ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ওয়েল্ডার পায় ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে। রং মিস্ত্রির হাজিরা ৩৫০ টাকা তাদের সহকারীদের বেতন ২৫০ টাকা। আর সকল হেলপারের দৈনিক হাজিরা ২০০ থেকে আড়াইশ’ টাকার মধ্যে। সকল খরচা শেষে একটি জাহাজ পানিতে নামানোর পর জাহাজ মালিক আলোচনার ভিত্তিতে তা বিক্রি করেন। বছরে ৪০/৫০ লাখ টাকার মতো তাদের আয় হয় বলে জানা যায়। এ ছাড়া অত্র এলাকায় শিল্পটি গড়ে ওঠায় এলাকাতে বাড়িভাড়া, গর্দার ব্যবসা, লেদ মেশিন, খুচরো যন্ত্রাংশ আর পান/সিগারেটের দোকান দিয়ে এলাকার মানুষ বাড়তি উপার্জন করছে। সর্বসাকল্য উপজেলার জাহাজ শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৫০ হাজার লোক সুবিধা ভোগ করছে শিল্প থেকে। সুখ দুঃখের সাতকাহন : কথায় বলে “দেশ ভরা যার গোলা, ভাতে মরে তার পোলা। লোহার মতোই কঠিন কাজ করেন যে মানুষগুলো। খুব কিন্তু ভালো নেই তারা। সকলের সঙ্গেই কথা বলে পাওয়া গেল হতাশার সুর। লোহার মতো শক্ত সামর্থ্য শরীর তাদের। কিন্তু তাদের ঘরের খুঁটি অত্যন্ত দুর্বল নড়বড়ে। জীবন জীবিকা আর বাসস্থানের মান নগণ্য। ফিটার সাঈদ, সোনাই, মোক্তার, জয়নাল ওয়েল্ডার পান্নু, আলমাছসহ আরো অনেকে জানান, হিসেব কষে খেয়ে দেয়ে বাকি টাকাটুকু তুলে রাখেন পরিবার পরিজনদের জন্য। তারা বলেন কাজের তুলনায় বেতন অনেক কম তারপরও করার কিছু নেই। এই কাজ ছাড়া অন্য কোন কাজ তারা শিখেননি। এটাই করতে হবে তাদের। আর জাহাজের মালিক ওসমান ঢালী, লতিফ, আনোয়ার হোসেন, কামাল, মাহফুজ, আবদুল মজিদসহ আরও অনেকে বলেন, রোজ হাজিরা, মালামাল কেনা, বিদ্যুত বিল আর জমির ভাড়া এগুলোর ভেতর লুকিয়ে থাকে জাহাজের লাভ লোকসানের ব্যাপার। এ কারণে হিসাব কষে সকলকে টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া মালামালের দাম যে হারে বাড়ছে জাহাজের দাম কিন্তু আগের তুলনায় বাড়েনি। তবে বেশ খুশি বাড়ি ওয়ালা নুরুল হুদা, জন, সাঈদ আহমেদ, হাবিব, সুমন, খোকন, আলী আকবর স্থানীয় ইউপি সদস্য শরিফসহ আরও অনেকে। তাদের এলাকায় জাহাজ শিল্প গড়ে ওঠায় ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে এলাকার মানুষ। শীতলক্ষ্যা পাড়ের জাহাজ মালিক সমিতির সভাপতি এবং মাস্টাং ইঞ্জিনিয়ারিং ও মাস্টাং ডকইয়ার্ডের স্বত্বাধিকারী সাজ্জাদ হোসেন তুহিন আশঙ্কা করেন যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে কায়েতপাড়ার একমাত্র এই শিল্পটি। তিনি জানান, পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্রের জন্য বারবার চাপ দিচ্ছে বিদ্যুত বিভাগ। আর রাজউক ও বিআইডব্লিউটিএর অনাপত্তিপত্র ছাড়া ছাড়পত্র প্রদান করছে না পরিবেশ অধিদফতর। এদিকে নদী বিষয়ক মহামান্য হাইকোর্টে বিআইডব্লিউটিএর একটি রিট পিটিশন থাকায় তারাও অনাপত্তি পত্র দিতে পারছে না। এ কারণে দেখা দিয়েছে জটিলতা। বিদ্যুতনির্ভর জাহাজ শিল্পের যদি বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় তাহলে আশার আলো দেখেও হতাশায় হাবুডুবু খাবে রূপগঞ্জের জাহাজ শিল্প। আর সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন খান নয়ন জানান, ঝামেলা পাকাচ্ছে গর্দা ব্যবসায়ীরা। মাঝে মধ্যেই তারা জাহাজ মালিকদের সঙ্গে বাতিল মালামাল কেনা নিয়ে ফ্যাসাদে জড়িয়ে পড়ছে। আর এলাকার আর্থিক উন্নতির কারণে অনেকে মাদকসেবন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। নেশার টাকা জোগাতে তারা জাহাজের যন্ত্রাংশ ও বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার অবধি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এড.গোলজার হোসেন জানান, বন্যাকবলিত অবহেলিত কায়েতপাড়ায় জাহাজ শিল্প গড়ে ওঠায় তার ইউনিয়ন ধীরে ধীরে স্বনির্ভর হয়ে উঠছে। জাহাজ কারখানা পরিবেশের কোন দূষণ করছে না বলে তিনি দাবি করেন। শিল্পটি রক্ষা করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আবেদন জানান। স্থানীয় সমাজকর্মী রাসেল আহমেদ জানান, আগে যেখানে অভাবের কারণে অভিবাবকেরা তাদের সন্তানদের স্কুলে দিতে চাইত না। এখন টাকা খরচা করা ভালো পড়াশোনা শেখার জন্য সন্তানদের কিন্ডার গার্টেনে ভর্তি করাচ্ছেন। আরো হতাশার কথা জানালেন মেসার্স কর্ণফুলী শিপিং লাইন্সের ঠিকাদার সিকান্দার আলী। তিনি বলেন, প্রথমেই হয়রানির শিকার হতে হয় জাহাজ নির্মাণের জন্য অনুমতি নিতে গিয়ে। প্রতি মাসে মাসে এসে ঝামেলা করে বিআইডব্লিউটিএর এবং পরিবেশ অধিদফতরের লোকেরা। এছাড়া বিদ্যুত সরবরাহ পাৗয়া যায়না ঠিক মতো। অথব যদি এসব বিষয়গুলো সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করত তাহলে আমরা বিদেশেও আমাদের তৈরি জাহাজ রফতানি করতে পারতাম। পুরনো শীটে আমরা জাহাজ তৈরি করি বলে আমাদের খরচা পড়ে কম। এ কারণে বিক্রিও করি কমদামে। অথচ নতুন শীটের চেয়ে টেকসই এসব শীট। আলোর নিচে যেমন বাস করে অন্ধকার ঠিক তেমনি রাজধানীর কোল ঘেঁষা এই জনপদটি ছিল অবহেলিত। বছরের অর্ধেকটা সময় জুড়ে এলাকাটি থাকত জলমগ্ন। কৃষি নির্ভর এলাকার মানুষ বছরে মাত্র একবার ফসলের মুখ দেখার কারণে তাদের দিন কাটত খেয়ে না খেয়ে। হঠাৎ করেই এলাকার আব্দুল মালেক আর ফটিক খান বন্দর এলাকার সোনাকান্দায় গিয়ে দেখতে পেলেন শীতলক্ষ্যার বুকে জেগে ওঠা সামান্য চরে তৈরি হচ্ছে ট্রলার। তাদের মাথায় চিন্তা ঢুকে তারাও তাদের প্রায় পতিত চরের জমিকে এভাবে কাজে লাগাতে পারেন। ভাবনা থেকেই তারা একাধিকবার দোহারে যান। কথা বলেন জাহাজ মালিকদের সঙ্গে। তারা সম্মত হলে ২০০৫ সালে পূর্বগ্রাম এলাকায় দুটি কারখানা চালু হয়। লাভের মুখ দেখায় একে একে গড়ে উঠল অর্ধশত কারখানা। আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে এলাকার মানুষ। কিন্তু সরকারী কিছু কাগজপত্রের অভাবে কারখানা মালিকদের মাঝে যে হতাশা তা দূর করার দায়িত্ব সরকারেরই। তাই এখনই প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নিয়ে সম্ভাবনাময় শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে। তবেই তো স্বনির্ভর হবে আমাদের বাংলাদেশ।
×