ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভূমিকম্পে ফের কাঁপল দেশ, উৎপত্তিস্থল দার্জিলিং

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২৮ এপ্রিল ২০১৫

ভূমিকম্পে ফের কাঁপল দেশ, উৎপত্তিস্থল দার্জিলিং

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আবারও ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ। তবে এবার উৎপত্তিস্থল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে বিভাগ বলছে রিখটার স্কেলে পাঁচ দশমিক এক মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তের নিকটবর্তী পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার মিরিকে, ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। শিলিগুঁড়ি থেকে স্থানটির দূরত্ব মাত্র ৪৭ কিলোমিটার। বাংলাদেশ সময় সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা ৩৫ মিনিটে এই ভূমিকম্পের ধাক্কায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঝাঁকুনি অনুভূত হয়েছে পঞ্চগড়সহ উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে। তবে ক্ষয়ক্ষতির তাৎক্ষণিক খবর পাওয়া যায়নি। স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, বরেন্দ্র অঞ্চলে সন্ধ্যায় আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা ৩৭ মিনিটের দিকে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। এটি প্রায় ২০ থেকে ২৫ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। তবে এ ঘটনায় কোন ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। ভূমিকম্পের সময় রাজশাহীবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ ঘর থেকে আতঙ্কে বেরিয়ে আসে। ঢাকা আবহাওয়া অধিদফতরের বরাত দিয়ে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ১ মাত্রার মৃদু ভূকম্পন অনূভূত হয়েছে। এর আগে রবিবার ও শনিবার কয়েক দফা ভূকম্পন অনুভূত হয়। এদিকে ভূকম্পনের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে এখন নগরীর বহুতল ভবনে উঠতে সাহস পাচ্ছেন না মানুষ। বারবার এমন ভূমিকম্পে জনমনে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে নানা গুজব। নিজস্ব সংবাদদাতা জয়পুরহাট থেকে জানান, সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা ৩৫ মিনিটে জয়পুরহাটের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হাজার হাজার মানুষ বাড়ি-ঘর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। ভূমিকম্পে জয়পুরহাটে কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, নওগাঁ অঞ্চলে আবারও মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এ ভূমিকম্প স্থায়ী ছিল প্রায় ১০ সেকেন্ডের মতো। এমনিতেই গত দুই দিনের কয়েক দফা ভূমিকম্পে জেলাবাসীর আতঙ্ক এখনও কাটেনি। তার ওপর সোমবার সন্ধ্যার এই ভূমিকম্পে জেলাজুড়ে মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। নিজস্ব সংবাদদাতা লালমনিরহাট থেকে জানান, ভূকম্পন অনুভূত হলে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে মসজিদে মসজিদে মাইকে তখন মাগরিবের আযান হচ্ছিল। মানুষ এসময় রাস্তায় নেমে আসে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা ঘরে ফিরে যায়। স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী থেকে জানান, নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলার ওপর দিয়ে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে আবারও ভূকম্পন অনুভূত হয়। বড় ধরনের একটা ঝাঁকুনি দিয়ে ২৫ সেকেন্ড স্থায়ী এই ভূমিকম্পে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। মানুষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িঘর থেকে দ্রুত বের হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। অনেক নারী-পুরুষ ভূমিকম্পনের সময় মাথা চক্করে মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারায় বলে একাধিক স্থান থেকে খবর পাওয়া গেছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনই ইউনিয়নের ফকিরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ক্লাস রুম ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
×