ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৬ মাস না যেতেই ভেঙ্গে পড়ল বুড়িভৈরব নদে নির্মিত কালভার্ট

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ২৮ এপ্রিল ২০১৫

৬ মাস না যেতেই ভেঙ্গে পড়ল বুড়িভৈরব নদে নির্মিত কালভার্ট

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ নির্মাণের ৬ মাস পরে ভেঙ্গে পড়ল যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়ার জঙ্গলবাধাল গ্রামে বুড়ি ভৈরব নদের ওপর নির্মিত কালভার্টটি। এতে ৫টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। অভিযোগ উঠেছে নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহার ও অবৈধ পাটার কারণে কালভার্টটি চলতি মাসের ২১ তারিখে ভেঙ্গে পড়ে। জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে যশোর শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে জঙ্গলবাধাল গ্রামের বুড়ি ভৈরবের ওপর ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যরে কালভার্ট নির্মাণ করে উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তার কার্যালয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২০ লাখ ২৩ হাজার টাকা ব্যয়ে মের্সাস সবুর খান ট্রের্ডাসের স্বত্বাধিকারী ঠিকাদার সবুর খান ওই কালভার্টটি নির্মাণ কাজ শেষ করেন ৬ মাস আগে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কালভার্টটিতে ৬ ফুট ফাটল ধরেছে। দেবে গেছে কালভার্টটি। স্থানীয় লোকজন ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে কাঠের মাচা করে তা দিয়ে হাঁটাচলা করছেন। কিন্তু কোন প্রকার যানবাহন নিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। বসুন্দিয়া ইউনিয়নের সদুল্লাপুর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল আজিজ জানান, কালভার্ট নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। গ্রামের লোকজন বাধা দিলেও তারা শোনেনি। জঙ্গলবাধাল গ্রামের বাসিন্দা আবদুল বারিক জানান, কালভার্ট নির্মাণের সময় আমরা দরপত্র দেখিয়ে কাজ করতে বলেছিলাম ঠিকাদারকে। কিন্তু তিনি পুলিশ এনে কোনরকম কাজ শেষ করে চলে যান। কালভার্টটিতে যে এঙ্গেল দেয়া হয়েছে। তাতে কোন রড নেই। কালভার্টটি ভেঙ্গে পড়ায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আরিফ ঘটনা তদন্তে উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল হককে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যর তদন্ত টিম গঠন করেছেন ২২ এপ্রিল। ঠিকাদার সবুর খান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আমি কালভাটঁ নির্মাণ করেছি। সেখানে কোন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোর সদর উপজেলার প্রকল্প (পিআইও) কর্মকর্তা কাজী আনোয়ারুল আলম জানান, কালভার্টটি নির্মাণে কোন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি।
×