ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাসুদা ভাট্টি

সিটি নির্বাচন এবং তারপরের রাজনীতি

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ২৮ এপ্রিল ২০১৫

সিটি নির্বাচন এবং তারপরের রাজনীতি

এই লেখাটি যেদিন প্রকাশিত হবে, সেদিন ঢাকার দুটি এবং চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখনও বোঝা যাচ্ছে না যে, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কেমন হবে। তবে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের স্বাভাবিক রীতি অনুযায়ী মধ্যবিত্ত নাগরিক সমাজ নির্বাচন বিষয়ে ততটা উৎসাহী নয়, যতটা নির্বাচনের আগে তারা প্রার্থীদের সম্পর্কে কথা বলায় আগ্রহী থাকে। সেক্ষেত্রে হয়ত প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকাতেই ভোটার উপস্থিতি স্বাভাবিকের তুলনায় কম হতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করেন। কিন্তু ভোটার উপস্থিতি সারা বিশ্বেই ক্রমশ কমতে শুরু করেছে, বিশেষ করে নির্বাচন নিয়ে বিশ্বে আশাবাদী হওয়ার মতো মানুষের সংখ্যা পড়তির দিকেই। ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচন নিয়ে এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, নির্বাচনের আগে যতই রাজনীতিবিদরা পরবর্তী সরকার নিয়ে তাদের বিতর্ককে সাধারণ্যের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান না কেন, সাধারণ মানুষের আগ্রহ ও অংশগ্রহণ তাতে কমই ঘটে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যত কথাবার্তা, বিশ্লেষণ সবই এখন মিডিয়ার একচ্ছত্র কারবার। মিডিয়ার এই কিছুদিন ব্যস্ততা মানুষকে কখনও কখনও বিরক্ত করে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, নির্বাচন, প্রার্থী এবং নির্বাচনকে ঘিরে রাজনীতিকে প্রচারণায় প্রাথমিক ও প্রধান গণ্য করা ছাড়া মিডিয়ার আর কিছু করারও নেই। কারণ, এই সময় বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনের সময় মিডিয়ার হাতে প্রকাশযোগ্য সংবাদেরও প্রাধান্য খুব একটা থাকে না। এমনকি রাজনীতিকে বাদ দিলে মিডিয়ার জন্য প্রকাশযোগ্য সংবাদ আর কিইবা থাকে এমনটিও গবেষণায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ইউগভ নামে একটি অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন, জনগণের অংশগ্রহণ, মিডিয়া ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যত শীর্ষক এই গবেষণাটি চালিয়েছে। যা হোক, ঢাকা শহর বা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে চিত্রটি ব্রিটেনের চেয়ে অনেকটা ভিন্ন হওয়ার কথা। কারণ, এখনও আমাদের গণতন্ত্র, নির্বাচন ব্যবস্থা ও রাজনীতি সবচেয়ে আগ্রহের জায়গা। আমরা এখনও আশাবাদী এইসব প্রতিষ্ঠানের কাছে। এটা একদিকে অত্যন্ত আনন্দের যে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে এক ধরনের উৎসবময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অনেক হতাশার মাঝে এ এক বিরাট প্রাপ্তি। কিন্তু সব প্রাপ্তিতেই যেমন নানাবিধ বিষাদ আছে, তেমনই বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া আনন্দের মাঝে বিষাদ নিয়ে আসে নির্বাচনী সহিংসতা। প্রতিটি পক্ষই নির্বাচনে ভোটারদের কাছে টানার জন্য শক্তি প্রয়োগের কৌশলকেও প্রাধান্য দিয়ে থাকে। হয়ত এটা প্রমাণ করতে চায় যে, জনসমর্থনের পাশাপাশি তাদের পেশীশক্তিও কম নেই। তারা কৌশলে না হলেও পেশীশক্তি দিয়ে ক্ষমতাকে প্রয়োগ করতে দ্বিধা করবে না। না হলে এই একবিংশ শতকেও নির্বাচনী সহিংসতার কোন অর্থ থাকতে পারে না। জনগণও হয়ত পেশীশক্তিকে বাহবা দেয়। না হলে প্রার্থীরা এটা করবেন কেন? যদি জনগণ স্পষ্টভাবে এই শক্তিমত্তার প্রকাশকে অস্বীকার করত, তাহলে প্রার্থীরাও সচেতনভাবেই সেটা পরিহার করত। কিন্তু সেটা ঘটে না বলেই হয়ত বার বার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা লক্ষ্য করা যায়। আরেকটি বিষয়ও হয়ত সত্য যে, গণতন্ত্র আসলে ততটা সুসংহত আমাদের দেশে হয়নি, যতটা সুসংহত হওয়ার কথা ছিল। নইলে ভয় দেখিয়ে, আতঙ্কিত করে নির্বাচন ব্যবস্থার মতো পদ্ধতিকে কেন প্রভাবিত করার কথা ভাবতে পারেন প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলো? কেনইবা আক্রান্ত হওয়া প্রমাণ করার জন্য উস্কানি দিয়ে আক্রমণের ঘটনা ঘটাতে হবে? এবং পরস্পরবিরোধী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জনগণের সামনে আক্রান্ত হওয়ার কাঁদুনি গাইতে হয়? কেনইবা তা খ-ানোর জন্য পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করতে হয়? এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসাটা জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে যত দ্রুত সম্ভব। বেগম জিয়া রাজনীতি করছেন গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে। বহু নির্বাচন দেখেছেন এবং বহু নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তার অভিজ্ঞতা হয়ত তাকে একথা শিখিয়েছে যে, নির্বাচন মানেই আক্রান্ত হওয়ার পলিসি এবং জনগণের সামনে নিজেদের অক্ষমতাকে তুলে ধরা। জনগণের কাছ থেকে দুর্বল হিসেবে সার্টিফিকেট দাবি করা এবং তারপর নির্বাচনে বিজয় লাভ। অথচ তিনি ও তার দল নির্বাচন বিজয়ের সহজ পথটিকে বেছে নেননি। একই পন্থার দু’জন প্রার্থী যে নির্বাচনে ভরাডুবির প্রধান কারণ হতে পারে ভোট ভাগ হওয়ার ফলে সে বিষয়টি বেগম জিয়া বা তার দল হিসেবের মধ্যেই আনেননি। অপরদিকে সরকারী দলও যে কোন মূল্যে নির্বাচনে বিজয় লাভকেই জনসমর্থনের প্রধান প্রমাণ হিসেবে ধরে নিয়েছে। ফলে একের পর এক অঘটন ঘটিয়েছে। দু’পক্ষের কাজকর্মই সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থার জন্য সুখকর নয়Ñ একথা কোন পক্ষ বুঝতে পারছে বলে মনে করি না। কিন্তু বুঝলে আখেরে দু’পক্ষেরই ভাল হতো। কিন্তু সবকিছুর পরও আজকে (২৮ এপ্রিল, ২০১৫) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচন মানেই কোন না কোন পক্ষ বিজয় লাভ করা, কারও না কারও পরাজিত হওয়া। ঢাকার দুটিতে এবং চট্টগ্রামে তিনজন বিজয়ী হবেন মেয়র হিসেবে এবং পরাজিত হবেন অনেকেই। গণতন্ত্রের সৌন্দর্য সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে নির্বাচিত প্রার্থী পরবর্তী পাঁচ বছর এই দুই নগরের রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু এই নির্বাচনকেও সিলেট, রাজশাহী ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মতো এক ধরনের পরীক্ষা হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা চলেছে সকল পক্ষ থেকেই। মিডিয়াও এতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। অনেকেই বলতে চেয়েছেন যে, এই তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থীদের পরাজয় প্রমাণ করে যে, সরকার জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। কিন্তু শুরুতেই যে কথা বলতে চেয়েছি তা হলো, স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচন কোনভাবেই এক নয়। দু’টির ভিন্নতা এর ভোটারদের অবস্থানে, চরিত্রে এবং সিদ্ধান্তে। নির্বাচকম-লী স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন সূচকের আশ্রয় নিয়ে থাকে। নির্বাচন নিয়ে যারা বিশ্লেষণ করেন, তারাই বিষয়টি নিশ্চিত করে থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশে বার বারই এই ভুলটি করা হয়। অনেকটা ইচ্ছাকৃত কি না জানি না; কিন্তু এতে যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকেই পুরোপুরি প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়, সেটা কেউ হয়ত মনেই করেন না। এটা নিশ্চিত যে, নির্বাচনে যে পক্ষই বিজয় লাভ করুক না কেন, অপরপক্ষ বরাবরের মতো নির্বাচনে কারচুপি ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করবে। বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা শক্তিশালী হচ্ছে কি না, তা নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলতে পারি। কিন্তু বিগত তিনটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল আমাদের নির্দেশ করে যে, নির্বাচনে অন্তত সরকারী হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেনি। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ভোট দিতে পেরেছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তাতে লাভটা কি হয়েছে? তিনটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত মেয়ররাই এই মুহূর্তে দায়িত্ব পালনে অক্ষম। নিজেদের রাজনৈতিক অপকর্মের দায় নিয়ে কেউ পলাতক, কেউবা কারাগারে। ফলে ভারপ্রাপ্তদের দ্বারা দায়িত্ব পালিত হচ্ছে। তাতে সবচেয়ে বঞ্চিত হচ্ছে কারা? নগরবাসী নিজেরাই। ভোটের আগে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নির্বাচকম-লীর একথা মনে রাখা উচিত যে, নির্বাচনের আগে শক্তি প্রদর্শনের চাইতে নির্বাচনের পরে প্রশাসক হিসেবে তিনি কতটা যোগ্য ও যৌক্তিক ভূমিকা পালন করতে পারবেন? আমি একথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি না যে, রাজশাহী, খুলনা বা সিলেটের মেয়রদের প্রত্যেকেই অপরাধী। হয়ত সরকারের অসহযোগিতাও এক্ষেত্রে কাজ করতে পারে। কিন্তু চলতি নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের প্রার্থী মির্জা আব্বাসের ক্ষেত্রে বিষয়টি তো আসলে প্রমাণিত। বিশেষ করে তার দুর্নীতির তুলনা তো বাংলাদেশে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি এমনই অপরাধী যে, নিজেকে প্রকাশ্যে আনার মতো সাহসও তার নেই। গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে তিনি পলাতক রয়েছেন এবং তার হয়ে তার স্ত্রী প্রচারণা চালাচ্ছেন। এবং নির্বাচনী জরিপে তিনি এগিয়েও রয়েছেন। বিষয়টি সত্যিই বিস্ময়ের। কারণ, মানুষ একজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ও পলাতক প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছে কেন, তার মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণটি কোন্্ অবস্থান থেকে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন, সেটি আমার জানা নেই। কে জানে, হয়ত পলাতক থেকেই তিনি নির্বাচিত হবেন এবং মানুষ তখন এতে গণতন্ত্রের বিজয়ের গন্ধ আবিষ্কার করে তৃপ্ত থাকবে। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেয়ার যে কথা আমরা অহরহ শুনি তাতে নির্বাচকম-লীর যে সমর্থন নেই। তা মির্জা আব্বাস যদি নির্বাচনে বিজয় লাভ করেন, তার মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হবে আবারও, অতীতেও এরকম ঘটনার নজির রয়েছে। এরপরও নির্বাচকম-লীর বিচার-বিশ্লেষণ ও প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা নিয়ে প্রশ্ন না তোলার কোন অবকাশ থাকে কি? আবার তিনি যদি পরাজিত হন, সেক্ষেত্রেও নির্বাচকম-লীকে ধন্যবাদ দেয়ার প্রশ্নটি যৌক্তিক হয়ে ওঠে। রাজনীতি নয়, গণতন্ত্র নয়, বরং দুর্নীতির বিরুদ্ধেই মানুষ যে অবস্থান নিয়েছে, সেটাই প্রমাণিত হবে সেক্ষেত্রে। ২৮ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তারপর ২৯ এপ্রিল আসবে। মাসব্যাপী আনুষ্ঠানিক আনন্দময় প্রচারণার অবসান ঘটবে। শুরু হবে নতুনতর সমীকরণ। বিজয়ী ও পরাজিত পক্ষের এবং সর্বোপরি সাধারণ জনগণের মধ্যে নতুনতর আলোচনা শুরু হবে। এরপর কি? ফিরে আসবে কি সেই পেট্রোলবোমা আতঙ্ক? আবার অবরোধ শুরু হবে? নাকি পরিবর্তিত হবে বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচি? কী ভাবছেন বিএনপি নেত্রী? আজকে (২৬ এপ্রিল, রবিবার) যে সংবাদ সম্মেলন করলেন বিএনপি নেত্রী তাতে ভবিষ্যত রাজনীতির কোন ইঙ্গিত তিনি দেননি। এমনিতেও থাকে না তার কোন বক্তব্যে। হঠাৎই সিদ্ধান্ত আসে এবং তা পালনে বাধ্য করা হয় নেতাকর্মীদের। সরকারের অবস্থান আমরা জানি। সরকারের করার কিইবা আছে আর? রুটিন অনুযায়ী কাজ করে যাওয়া ছাড়া, পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত? প্রশ্ন তো দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির কাছে। নির্বাচনে তাদের সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হলে তারা কি করবে? প্রার্থী পরাজিত হলেইবা কি করবে? কিংবা একটিতে বিজয়ী, আরেকটিতে পরাজিত হলেইবা পরিস্থিতি কি হবে? নির্বাচনের আগেই সেটি জানা গেলে হয়ত ভাল হতো মানুষের জন্য। কিন্তু নির্বাচনের পরে যদি বেগম জিয়া বা তার দল বা জোট নতুন কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তাহলে তা হবে বেগম জিয়া, তার দল বা জোটের জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করবে তাদের ভবিষ্যত রাজনীতি। ইতোমধ্যে যে ক্ষতি হয়েছে, এই তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সেই ক্ষতিতে সামান্য প্রলেপ বোলানোর সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। বেগম জিয়া ও তার দল বা জোট সে সুযোগ গ্রহণ করে অত্যন্ত সঠিক কাজটি করেছে। এখন নির্বাচন-পরবর্তী সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও সেরকম সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে বেগম জিয়া ও তার দল বা জোটের রাজনীতিও বাঁচবে। না হলে দেশের বড় ধরনের ক্ষতির সঙ্গে তার নিজের, দলের এবং জোটেরও যে অপূরণীয় ক্ষতি হবে, তাতে কোনই সন্দেহ নেই। ২৯ তারিখ সেই সিদ্ধান্তের দিকেই এখন তাকিয়ে রইলাম। ২৬ এপ্রিল, ২০১৫ [email protected]
×