ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে নেপালের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তির উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৭ এপ্রিল ২০১৫

বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে নেপালের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তির উদ্যোগ

এম শাহজাহান ॥ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে নেপালের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের আওতায় ঢাকা-কাঠমান্ডু সরাসরি বাস সার্ভিস চালু সংক্রান্ত একটি চুক্তি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। ভূমিকম্পে নেপাল বিধ্বস্ত হওয়ার আগের দিন কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত দুই দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের কারিগরি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে নেপালে এখন জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে। চলছে উদ্ধার অভিযান। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনোজ কুমার রায় জনকণ্ঠকে বলেন, দেশটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। ভূমিকম্পের পরই দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। তাই যত দুর্যোগ হোক না কেন, নেপালের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে কাজ এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, ভূমিকম্পের আগের দিন কাঠমান্ডুর বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেছি। নেপালের সরকারী-বেসরকারী খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়েছি। তাদের আতিথেয়তায় আমরা মুগ্ধ। জানা গেছে, নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বা কানেকটিভিটি করতে ভারতের ভূখ- ব্যবহার করতে চায় বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে ভারতকে ট্রানজিট চুক্তি করার জন্য আহ্বান করা হয়েছে। যে চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে। এর ফলে বাস্তবায়ন হবে চার দেশীয় ট্রানজিট। সূত্র মতে, বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশকে ৫০টি পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত বা কাক্সিক্ষত বাজার সুবিধা দেবে নেপাল। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বাজারেও ১০৮টি নেপালী পণ্য এ সুবিধা পাবে। পযর্টন এবং দুই দেশের জনগণের মাঝে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে ঢাকা-কাঠমান্ডু সরাসরি বাস সার্ভিস চালু করা হবে। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন পণ্যের স্ট্যান্ডার্ড, মেট্রোলজি ও কনফারমিটি এ্যাসেসমেন্টের বিষয়ে কারিগরি সহযোগিতা বিষয়ে বিএসটিআইয়ের সঙ্গে নেপালের ডিপার্টমেন্ট অব ফুড টেকনোলজি এ্যান্ড কোয়ালিটি (ডিএফটিকিউসি) এবং নেপাল ব্যুরো অব স্ট্যান্ডার্ডস এ্যান্ড মেট্রোলজির (এনবিএসএম) মধ্যে দুটি খসড়া সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত হয়েছে। এ সমঝোতা স্মারক দুটি স্বাক্ষরিত হলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সহজ হবে বলে উভয়পক্ষই মত প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে দুই দেশের রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য সংস্থাগুলোর মধ্যে বিশেষ করে ট্রেডিং কর্পোরেশন বাংলাদেশ (টিসিবি) ও নেপালের সরকারী সংস্থা এনটিএল এবং এসটিএলের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়েও বৈঠকে প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল। বৈঠকে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ট্রানজিট কার্গো চলাচল এবং বাংলাদেশের মধ্য হয়ে তৃতীয় কোন দেশে নেপালের কার্গো চলাচলের কর্মপন্থা নির্ধারনে দুই পক্ষই ঐকমত্যে পৌঁছায়।
×