ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

লেনদেন বেড়েছে ১০.৭২ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ২৬ এপ্রিল ২০১৫

লেনদেন বেড়েছে ১০.৭২ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গড়ে প্রতিদিন বেড়েছে লেনদেন। যদিও বেশিরভাগ কোম্পানিরই দর কমেছে সপ্তাহটিতে। যার কারণে সব ধরনের মূল্যসূচক। গত ২০১৪ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণা এবং কোম্পানিগুলোর প্রথম প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশের মাঝেও বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। আলোচিত সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন বেড়েছে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনী হাওয়ার মাঝেও এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারীর দ্রুত মুনাফা তোলার তাগিদের কারণেই পুঁজিবাজারে চলমান দরপতন অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া কিছু নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের অতি আগ্রহের কারণেও এমনটি ঘটেছে। কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই বেশ কিছু নতুন কোম্পানির দর বাড়ছে। অনেকেই হাতে থাকা শেয়ারগুলো বিক্রি করে ওই সব দর বাড়তে থাকা শেয়ারগুলোর দিকে ঝুঁকছেন। নতুন কোম্পানিগুলো আবার ডিএসইর সূচকে অন্তর্ভুক্ত নয়। যার কারণে সূচকে দরবৃদ্ধিগুলোর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে না। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আগের সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইতে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন বেড়েছে ৪৫ কোটি ৮৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকার। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ৪৭৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৭ টাকা। আর আগের সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছিল ৪২৭ কোটি ৫০ লাখ ৭৫ হাজার ৪৬০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯ দশমিক ১৪ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এদিকে, ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ বা ১৮১ দশমিক ১৩ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএস৩০ সূচক কমেছে ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ বা ৭৫ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ বা ৩৬ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩২৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৭টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ২৫৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির। আর লেনদেন হয়নি ৫টি কোম্পানির শেয়ার। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, শাশা ডেনিমস, এসিআই লিমিটেড, মবিল যমুনা বাংলাদেশ, সাইফ পাওয়ার টেক, ইফাদ অটোস, সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড ও গ্রামীণফোন লিমিটেড। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : জেমিনি সী ফুড, ফার কেমিক্যাল ইন্ড্রাস্টিজ লিমিটেড, এএফসি এ্যাগ্রো বায়োটেক, অলটেক্স ইন্ড্রাস্টিজ লিমিটেড, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, পাওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, এনভয় টেক্সটাইল ও ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ঢাকা ব্যাংক, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, ফারইস্ট ফাইন্যান্স এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, এ্যাপেক্স ট্যানারি, ফাস ফাইন্যান্স ও ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, ন্যাশনাল হাউজিং এ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড ও নদার্ন জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
×