ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিটি নির্বাচন বুয়েট ও আলবদরের ফাঁসি

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২৬ এপ্রিল ২০১৫

সিটি নির্বাচন বুয়েট ও আলবদরের ফাঁসি

সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের ধাক্কায় কোন খবরই টিভি বা খবরের কাগজে গুরুত্ব পাচ্ছে না। কিন্তু অনেক ঘটনা ঘটছে, যেগুলো একেবারে গুরুত্বহীন সংবাদ নয়। এসব ঘটনা সরকারের ভাবমূর্তি শুধু নয়, সরকারকে বিপন্নও করে তুলতে পারে। অনেক সময় ঠাট্টা করে বলি, ঢাকা শহরে দুটি ক্যান্টনমেন্ট আছে, উত্তরে ও দক্ষিণে। একটি সেনা ছাউনি উত্তরে, অন্যটি গণছাউনি দক্ষিণে। উত্তরের ছাউনি রাষ্ট্রের সবচেয়ে বিত্তবান অংশ, যার জবাবদিহিতা নিজের কাছে, অস্ত্রের ভিত্তিতে বা তার সম্মতিতে দেশ পরিচালনা করতে হয়। রাজনীতিবিদরা এখন এমনই বেকায়দায় যে, উত্তরের নেতারা যা দাবি করেন তাই তাদের দিয়ে দিতে হয়। মেট্রোরেল সেনা ছাউনির পাশ দিয়ে যেতে পারবে না, কিন্তু বিশ্ব ঐতিহ্যের পাশ দিয়ে যাবে- এই ডিকটাট তাদেরই। যমুনা রিসোর্ট তাদের দিতে হবে। এমনও হাস্যকর প্রস্তাব হয়েছিল যে, পদ্মা সেতুর দু’পাশে দুটি ক্যান্টনমেন্ট হবে। শিল্পের জন্য যেখানে জমি পাওয়া দুষ্কর, সেখানে সেনা ছাউনির জন্য জমি! ভবিষ্যত এ কারণে আরও সংঘাতময় হয়ে উঠবে। ভোগ করতে হয় সইয়ে সইয়ে। উত্তরে যিনি হওয়ার হবেন, তার তেমন করার কিছু নেই। ঢাকা শহরের অর্ধেক সেনাদের, সেখানে মেয়রের কোন কর্তৃত্ব নেই। বাকি অংশ ঋণখেলাপী বা ব্যাংকের টাকা ও রাষ্ট্রের টাকা নিয়ে বড়লোকদের। রাজনীতি তারাই নিয়ন্ত্রণ করেন। তারা এখন এতই শক্তিশালী যে, জেনারেল মইন ও তার সাঙ্গোপাঙ্গোরা তাদের থেকে অর্থ আহরণ করতে গিয়ে কর্তৃত্ব হারায়। এখন তারা ব্যবসায়ী পার্টনার। সেখানেও মেয়র নিজ ইচ্ছায় কিছু করতে পারবেন না। সেই উত্তর থেকেই সেনা মোতায়েনের দাবি উঠছে। এর একটি কারণ, খালেদা ও বিএনপি নেতারা এখনও বিশ্বাস করেন, শেখ হাসিনা রাজনীতি যেভাবে নিজ নিয়ন্ত্রণে এনেছেন, তা ভাঙতে হলে শক্তির প্রয়োজন, সেনা শক্তির। ১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান যেটি করেছিলেন। কৌশল হচ্ছে, এমন ভাব দেখান যে, তারাই সেনা বন্ধু। যে কারণে প্রাক্তন সেনাধ্যক্ষ জেনারেল মাহবুব বারবার উস্কানি দিচ্ছেন ছাউনির সদস্যদের। প্রাক্তন জেনারেলের স্ত্রীও একই কাজ করছেন। সেটি স্বাভাবিক। উত্তরের বাসিন্দা মওদুদ বা হান্নান শাহ্্ বা তাবিথ আউয়াল বারবার সেই দাবিই করছেন। দক্ষিণের মগপ্রার্থীকেও সে কথা বলতে হচ্ছে। দক্ষিণের আওয়ামী লীগ প্রার্থী তা বলছেন না। উত্তরের আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করছেন, যা উত্তরের প্রার্থীদেরই পরোক্ষ সমর্থন। তবে আনিসুল হক একটি সত্য কথা বলেছেন, খালেদার গাড়িবহরে হামলা তার ভোট নষ্ট করছে, শেখ হাসিনা যে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছেন তাতে চিড় ধরাচ্ছে। ক্রোধ প্রকাশের এটি সময় নয়। উপলক্ষও নয়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বে একটি বালক অংশ আছে, যারা মাঝে মাঝে প্রভাবশালী হয়ে উঠে ক্ষতি ছাড়া ভাল করেনি। বিএনপির কৌশলটি হলো- সেনা মোতায়েন হলে তাকে বিতর্কিত করে ফেলা যাবে। বিএনপির বিপর্যয়ের জন্য এর নেতৃত্ব তারেক রহমান থেকে সেনাবাহিনী বেশি দায়ী বলে মনে করে। তারা সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করে ফেলতে পারলে প্রমাণিত হবে যে, বিএনপির পূর্ব রাজনীতিই সঠিক। যে সব সেনাকর্মকর্তা ২০০৭ থেকে ছিলেন এবং এখন যারা আছেন তাদের প্রবল শাস্তি দেয়া যাবে এবং মৌলবাদী অংশটুকুকে পুনর্বহাল করা যেতে পারে। এর আগে সবকটি নির্বাচনে সেনাবাহিনী বিতর্কিত হয়েছে। সুখের বিষয়, নির্বাচনের গোলাপী নেশা খানিকটা কমেছে। নেশা কমাতে সেনাবাহিনীর অবস্থান নিয়ে নতুন নির্দেশ দিয়েছে কমিশন এবং গাড়িবহর নিয়ে খালেদাকে প্রচারে নিষিদ্ধ করেছেন কমিশনাররা। দক্ষিণের গণ এলাকাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। এ এলাকায় মোটামুটি এখন চারটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংস্কৃতি কর্মীদের কেন্দ্র। এখানে গণমানুষের অবাধ অধিকার। উত্তরের চিরকর্তৃত্বের প্রধান প্রতিবন্ধক হচ্ছে এই দক্ষিণ। দক্ষিণে অনেক কিছু করার আছে, যদি সাঈদ খোকন জেতেন। করতে পারবেন কিনা সন্দেহ। তার বয়স কম সেটি তাঁর শক্তি, সে কারণে ভিশনারি হননি, সেটি দুর্বলতা। আব্বাসীয় যুগ বা মগের মুল্লুকের সময় আমরা পেরিয়েছি। সেখানে কাঁচকলা ছাড়া বেশি কিছু পাওয়া যায়নি। দক্ষিণের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রগতিশীল নিরস্ত্র শক্তির বড় আধার। মুক্তিযুদ্ধের সরকার আসার পর আমরা আশান্বিত হয়েছিলাম যে, সরকার এ ক্ষেত্রে সমন্বিত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কার্যক্রম হাতে নেবেন। নেননি। নিতে পারেননি। সরকার নিযুক্ত প্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা বিতর্কিত হয়েছেন, নেতৃত্ব দিতে পারেননি। অধ্যাপক হলেই ভাল ভিসি হওয়া যায়, এমন একটা ধারণা হয়ত আছে সরকারের। কিন্তু সেটি ঠিক নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বিভিন্ন সময় জানা গেছে, উপাচার্য প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন, তাদের কিছু করার নেই। আমি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিতর্কিত কাজের কারণ জানতে চাইলে, সবাই প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করেন। তাই যদি হয়, তাহলে মন্ত্রিসভা থাকার কারণটি কী? গত এক দশকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। দলীয়করণের কারণে যেমন কম যোগ্য নিয়োগ পেয়েছেন, তেমনি ‘নিরপেক্ষ’ থাকার ভানে জামায়াত-বিএনপিপন্থীদের অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এমন উপাচার্যও নিয়োগ হয়েছেন, যিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিয়েছিলেন। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির কারণে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন, আঞ্চলিক কারণে তাকে উপাচার্য করা হয় এবং তিনি গত বছরগুলোতে শুধু বিএনপি-জামায়াতকে প্রাধান্য নয়, নিয়োগ কেনাবেচাও করেছেন। এসব কেন হচ্ছে সরকারের একবার ভেবে দেখা উচিত। মঞ্জুরি কমিশনের কিছু করার নেই। এটি থাকারও কী যৌক্তিকতা, তাও বোধগম্য নয়। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংস্কার করা উচিত। এই আইন ধর্মগ্রন্থ নয় যে, তাতে হাত দেয়া যাবে না। সংবিধানই সংশোধিত হয়েছে ১৫ বার। বিষয়টি জরুরী। আজকাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যখনই কোন ঝামেলা হয়, তখনই ছাত্রলীগকে দায়ী করা হয়। বস্তুত আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর ছাত্রলীগের যত বদনাম হয়েছে, আওয়ামী লীগেরও এত বদনাম হয়নি। সমস্ত মিডিয়া ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগের নেতৃত্বের ঝোঁক হয়ত এখন অর্থের দিকে বেশি। এটি অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, টেন্ডারবাজি, খুনখারাবির সঙ্গে এই লীগের নেতৃত্বের একাংশ জড়িয়ে পড়েছে এবং ছাত্র নেতৃত্ব ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব তার প্রশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু এই ছাত্রলীগই ছিল গণজাগরণ মঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং হেজাবিরা যখন গণজাগরণ মঞ্চ আক্রমণ করেছিল, তখন গণজাগরণ মঞ্চের বর্তমান নেতারা তা ঠেকাতে পারেননি, ছাত্রলীগই ঠেকিয়েছে। তা হলে সমস্যাটি কোথায়? সমস্যাটি হলো, ছাত্রলীগের একটি অংশ নিজেদের ক্ষমতার দাবিদার মনে করছে এবং এটি অনুধাবন করছে যে, পরবর্তী ধাপ ‘এমপি রাজনীতি’তে যেতে হলে পেশী ও অর্থ লাগবে। এই ধারা শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান। এখন তাতে সব রাজনৈতিক দলই প্রভাবিত। কিন্তু শেখ হাসিনা কি তা চান? বঙ্গবন্ধু কি তা চেয়েছিলেন? না। কিন্তু এখন ছাত্রলীগের একটি অংশ যে দুর্বৃত্তায়নে যাচ্ছে, সেটি রোধ করা যায় এবং রোধ করা জরুরী। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ রক্ষায় বদ্ধপরিকর। সম্প্রতি রাজশাহী ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি ঘটনা ঘটেছে এবং দুটিতেই ছাত্রলীগকে দোষী করা হয়েছে। ছাত্র যদি শিক্ষককে অপদস্থ করে, তাকে কেউই সমর্থন করবে না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সরকারী এক এমপি যেমন ব্যবহার করেছেন তাতে এটি প্রতিভাত হয় যে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব প্রার্থী বাছাইয়ে যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন না। এই ঘটনা কোনভাবেই দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেনি এবং দলের নেতৃত্ব তাকে কিছু না বলে তার কর্মকা-কে সমর্থন করেছেন, যা নিন্দনীয়। ছাত্রলীগ নেতারা উদ্ধত ব্যবহার করেননি, সেটি কেউ বলেননি। সেটি সমর্থনযোগ্যও নয়। কিন্তু, যে অভিযোগ করেছেন সেটি সত্য হলে উপাচার্যও যে সঠিক কাজ করেছেন, এমন কথা বলা যাবে না। রাজশাহী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গত এক দশকে দেখেছি, প্রগতিশীল, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের যাকেই উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়, তিনিই অযাচিত দাক্ষিণ্য দেখান বিএনপি-জামায়াতের প্রতি। এ ধরনের দাক্ষিণ্য যিনি দেখাবেন, তখনই তাকে সরিয়ে দেয়া উচিত। যে আমি গত চার দশকের বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত এবং স্বৈরাচারবিরোধী সব আন্দোলনে যুক্ত, তার মুখে এমন কথা শোভা পায় না, এমন কথা অনেকে বলবেন। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতার কারণেই সে কথা বলছি। বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যালয় নয়। বিশ্বের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় যুগে যুগে প্রগতি ও সংস্কৃতিকে ধারণ করেছে, নিজ দেশের কৃষ্টি, গণতন্ত্র এগিয়ে নিয়েছে। প্রগতিকে ধারণ করে দেখেই বিদ্যালয় হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের দেশ হলো এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। এ ক্ষেত্রে ঢাকা দক্ষিণের গণছাউনির ভূমিকা সবচেয়ে বেশি ও সর্বজনবিদিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন মত থাকতে পারে। আছেও। ঢাকা বা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ছিল। কিন্তু বিএনপি ও জামায়াত রাজনীতিতে রক্ষণশীল তাতো নয়। এটি কলুষপূর্ণ, ষড়যন্ত্রমূলক, চরম প্রতিক্রিয়াশীল, খুনোখুনির রাজনীতি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এদের প্রশ্রয় দিলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশবিরোধী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনীতিতে আমাদের আপত্তি নেই, কিন্তু বাংলাদেশবিরোধী রাজনীতিতে যথেষ্ট আপত্তি আছে। সুতরাং প্রগতিশীলতা, সংস্কৃতি, উদারতা ও গণতন্ত্র এবং অসাম্প্রদায়িকতার স্বার্থে ঐ রাজনীতির কোন বিকাশ ঘটতে দেয়া যায় না। বুয়েট বা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটি অন্য রকম। মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করতে গিয়ে সেখানে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ লাঞ্ছিত বললে কম বলা হবে, বহিষ্কৃত হয়েছেন এবং শিক্ষকদের দ্বারা। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ও শিক্ষকদের। সেখানে দু’পক্ষ প্রতিপক্ষ-একে অপরের প্রতিপক্ষ হলে সে বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। সাম্প্রতিককালে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে ঘটনা ঘটছে, তাতে বুয়েটের ঘটনাটিই ন্যক্কারজনক। বুয়েটের প্রগতিশীলতার রক্ষক, এমন বিশেষণ কেউ এই প্রতিষ্ঠানটির ক্ষেত্রে ব্যবহার করেনি। বুয়েটের প্রগতিশীল ছাত্র সমাজের জন্যই বুয়েটকে দক্ষিণের অন্যতম উপাদান মনে করা হতো। এটি আশ্চর্য যে, একমাত্র বুয়েটের শিক্ষকম-লীর আদর্শ সামগ্রিকভাবে ছিল প্রগতিশীল ছাত্রদের বিরোধী। কারণ, শিক্ষক নিয়োগের ঐ ধারা চলে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সমর্থন করবেন এবং তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখতে হবে, এটি কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। বুয়েটে কী হয়েছিল? আলবদর কমান্ডার কামারুজ্জামানের ফাঁসির পর জাহাঙ্গীর আলম নামক একজন শিক্ষক এর বিরুদ্ধে ফেসবুকে কিছু মন্তব্য দেন। এ মন্তব্যগুলো এরকম- [বাংলা অনুবাদ] জয় মা কালী, জয় ইন্ডিয়া জয় ইন্ডিয়া, জয় মাসল পাওয়ার, জয় পলিটিকস তন্দ্রা চক্রবর্তী নামে এক তরুণী ফেসবুকে এর প্রতিবাদ করায় জাহাঙ্গীর আলম, ‘আমি মা কালীকে পছন্দ করি’। জাহাঙ্গীর আরও বলেন ‘ইয়েস আই লাইক ইন্ডিয়া’। এখানেই শেষ নয়। জাহাঙ্গীর তারপর মন্তব্য করেনÑ জয় বাংলা এখন একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করে। বলুন জয় বাংলাদেশ, যা অরাজনৈতিক। জয় বাংলা দুটি দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। নাজমুন নাহার নামে একজন মন্তব্য করেন, জয় বাংলাÑ এটা মুক্তিযুদ্ধের সেøাগান। জাহাঙ্গীর লেখেন, আমার দেশের নাম বাংলাদেশ, বাংলা নয়। আপনাদের নিরপেক্ষ হওয়া উচিত, নট বায়াস্ড। রাগিব আহসান এ পরিপ্রেক্ষিতে লেখেন, আপনি আমার অনুরোধটা দেখেছেন। খুব দ্রুতই আপনার ধর্মীয় ব্যঙ্গাত্মক মুছে দিবেন বলে আশা করছি। জাহাঙ্গীর আলম : কারেকটেড: জয় ইন্ডিয়া, জয় মাসল পাওয়ার, জয় ন্যাস্টি পলিটিসক, জয় ইন-জাস্টিস,... নেভার উইল ইট বি হ্যাপেন, ওয়েট এ্যান্ড সি, ডে বাই ডে, ইউ অল আর গোয়িং টু বি ওয়ার্স দেন রাজাকারস। ইন জাস্টিস নেভার গুড। (বাকী অংশ আগামীকাল)
×