ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মালদ্বীপ থেকে দেশে ফিরে কৃতী ফুটবলার সাবিনা খাতুন

‘লক্ষ্য এবার ইউরোপে খেলা’

প্রকাশিত: ০৬:২২, ২৬ এপ্রিল ২০১৫

‘লক্ষ্য এবার ইউরোপে খেলা’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘মালদ্বীপে গিয়ে ফুটসার টুর্নামেন্টে খেলে নিজেকে প্রমাণ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলের সুনাম বয়ে এনেছি। আগামীতে আমার লক্ষ্য থাকবে ইউরোপে গিয়ে খেলা। নিয়মিত কঠোর অনুশীলন ও ভাগ্য সহায় থাকলে এই স্বপ্নও পূরণ করা সম্ভব’- সাবিনা খাতুনের ভাষ্য। স্থান একই- বাফুফে ভবন। তবে সময় ভিন্ন। ৩ মার্চ এবং ২৫ এপ্রিল। সেদিনও সাবিনাকে যেমন আত্মপ্রত্যয়ী মনে হচ্ছিল, ২৫ এপ্রিল তাকে আরও যেন বেশি আত্মপ্রত্যয়ী মনে হলো। আর কেনই বা হবে না? তবে দলগত শিরোপা জিততে না পারলেও ঠিকই মালদ্বীপ জয় করে এসেছেন তিনি। মালদ্বীপস উইমেন্স ফুটসাল ফিয়েস্তা টুর্নামেন্টের ফাইনালে গত ১৮ এপ্রিল রাতে সাবিনার দল মালদ্বীপ পুলিশ ক্লাব ৬-২ গোলে হেরে যায় প্রতিপক্ষ ইমেগ্রেশন ক্লাবের কাছে। ফাইনালে সাবিনা একটি গোল করলেও তা দলের হার এড়াতে যথেষ্ট ছিল না। বাংলাদেশ মহিলা ফুটবলের গর্ব সাবিনা দেশে ফেরেন গত ২১ এপ্রিল। দলকে শিরোপা জেতাতে না পারলেও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে ছিলেন সমুজ্জ্বল। করেছেন টুর্নামেন্টের ব্যক্তিগত সর্বাধিক গোল। মাত্র ৬ ম্যাচে ৫ হ্যাটট্রিকসহ করেছেন ৩৭ গোল। ৫ ম্যাচেই হয়েছেন ম্যাচসেরা। মজার ব্যাপার হলোÑ সাবিনার পর যিনি দ্বিতীয় সর্বাধিক গোল করেছেন, তিনি করেছেন মাত্র ১৩ গোল (চ্যাম্পিয়ন ইমেগ্রেশন ক্লাবের এক ইন্দোনেশিয়ান)! টুর্নামেন্টে সাবিনা জিতেছেন একাধিক পুরস্কার : ‘বেস্ট ফাইভ প্লেয়ার্স অব দ্য টুর্নামেন্ট’, ‘এল্লিয়েড সালহি গোল স্কোরার’, ‘এডিডাস হ্যাটার্স বুট’, ‘টপ গোল স্কোরার এ্যাওয়ার্ড’। শনিবার দুপুরের দিকে বাংলাদেশে কয়েক দফায় ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্প মানেই আতঙ্ক। গত এক মাসে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের কাছে এমনই ভূমিকম্পের মতো এক মূর্তিমান আতঙ্ক ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের এই সহঅধিনায়ক। হৃদয় রাঙানো উদ্ভাসিত নৈপুণ্যে মাতিয়েছেন মালদ্বীপ। জয় করেছেন সেখানকার দর্শকদের চিত্ত। উল্লেখ্য, ওই ফুটসাল টুর্নামেন্টে মোট তিন দেশের চার বিদেশী ফুটবলার অংশ নেন। যাদের মধ্যে সুইডেনের ২ এবং বাংলাদেশ এবং ইন্দোনেশিয়ার ১ ফুটবলার ছিলেন। মালদ্বীপ পুলিশ ক্লাবের হয়ে সাবিনা খেলতে গিয়েছিলেন ৬০০ ডলারের পারিশ্রমিকে। ‘ক্লাবের কর্মকর্তারা আমার খেলায় খুশি হয়ে আমাকে আরও ১০০ ডলার বোনাস দিয়েছেন’Ñ বলেন তিনি। বিদেশী কোন ক্লাবে খেলা প্রথম বাংলাদেশী পুরুষ ফুটবলার হলেন বাফুফের বর্তমান সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন। তিনি ১৯৭৫ সালের হংকংয়ের এফসি ক্যারোলিনে খেলেছিলেন। এর ৪০ বছর পর বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ফুটবলার হিসেবে বিদেশী কোন ক্লাবের হয়ে (মালদ্বীপ পুলিশ ক্লাব) খেলা প্রথম খেলোয়াড়ে পরিণত হন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের সহঅধিনায়ক এবং ফরোয়ার্ড সাবিনা খাতুন। দেশে ফেরার পর সাবিনা তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘মালদ্বীপের তিনটি ক্লাব আগামী মৌসুমের ফুটসাল আসরে আমাকে তাদের হয়ে খেলার প্রস্তাব দিয়েছে। পারিশ্রমিক দেবে ১৫০০ ডলার। তাছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় দলের গোলরক্ষক সাবিনা আক্তার ও মিরোনাকেও আমার মাধ্যমে খেলার প্রস্তাব দিয়েছেন।
×