ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এক ধমকেই পালালেন বঙ্গবন্ধুর খুনী রাশেদ চৌধুরী

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৬ এপ্রিল ২০১৫

এক ধমকেই পালালেন বঙ্গবন্ধুর খুনী রাশেদ চৌধুরী

বাংলানিউজ ॥ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় এক কর্মসূচীতে দেখা গেছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে। তবে সেখানে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির এক বাংলাদেশী শিক্ষকের ধমক খেয়ে দ্রুত সটকে পড়েন তিনি। নাতিদের নিয়ে ওই কর্মসূচীতে এসেছিলেন রাশেদ চৌধুরী। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ও বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশী শিক্ষক মোঃ আবু নাসের নিজেই টেলিফোনে বিষয়টি নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেন। আবু নাসের জানান, এটি ছিল ক্যালিফোর্নিয়ায় বাংলাদেশী কমিউনিটির বর্ষবরণ উৎসবের প্রস্তুতি কর্মসূচী। ছোট ছোট শিশুরা তাদের নাচ ও গানের অনুশীলনের জন্য সমবেত হয়েছিলো ক্যালিফোর্নিয়ার রাজধানী সাক্রামেন্টোর একটি লাইব্রেরিতে। সেখানেই এক আত্মীয়ের সঙ্গে নিজের নাতনিকে নিয়ে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনী রাশেদ চৌধুরী। আবু নাসের জানান, তিনি যখন নিজের শিশুসন্তানদের নিয়ে সেখানে পৌঁছান তখন দেখতে পান রাশেদ চৌধুরী বসে অন্য দুই-একজনের সঙ্গে হাসাহাসি করছেন। পরিচয় জানতে পেরে তিনি এর প্রতিবাদ করেন। নাসের বলেন, যখন জানতে পারি বঙ্গবন্ধুর খুনী ওই শিশুদের অনুষ্ঠানে রয়েছে আমি মেনে নিতে পারিনি। সঙ্গে সঙ্গেই তার প্রতিবাদ করি। চিৎকার করে ঘোষণা দেই কোন খুনীর এই অনুষ্ঠানে থাকার সুযোগ নেই। আমার এক চিৎকার আর ধমকেই খুনী রাশেদ চৌধুরী মাথা নিচু করে বের হয়ে যান। এরপর কর্মসূচীর আয়োজকরা জানান, তারাও চান না রাশেদ চৌধুরী বা তার কোন বংশধর এই কর্মসূচীতে অংশ নিক, বলেন আবু নাসের। তিনি বাংলানিউজকে আরও বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে সাক্রামেন্টোতে রয়েছি। কমিউনিনির অনুষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত অংশ নেই। কিন্তু আর কখনোই রাশেদ চৌধুরীকে এই দুঃসাহস দেখাতে দেখিনি। রাশেদ চৌধুরী ক্যালিফোর্নিয়ার কনকর্ড এলাকায় ছেলের সঙ্গে থাকেন বলে একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আবু নাসের জানান, একটি সূত্র থেকে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে তখন থেকে অস্থায়ীভাবে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে দেশটিতে রয়েছেন লে. কর্নেল (অব) এম রাশেদ চৌধুরী। তবে তিনি খুব বেশিদিন এক স্থানে অবস্থান করেন না। এর আগে তিনি সানফ্র্যান্সিসকো ও শিকাগোতে ছিলেন। এখনো স্থায়ীভাবে রাজনৈতিক আশ্রয় পান নি রাশেদ চৌধুরী। তবে ইমিগ্রেশনের গোপনীয়তার নীতির কারণে তার সবশেষ অবস্থা কি সেটা জানা সম্ভব হয়নি বলে জানান ওই প্রবাসী বাংলাদেশী শিক্ষক। তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে রাশেদ চৌধুরী বা তার পরিবারের কোন সদস্যকেই শনিবারের কর্মসূচীতে যোগ দিতে দেওয়া হবে না। কেবল তাই-ই নয় তাকে বাংলাদেশী কমিউনিটির যে কোনো কর্মসূচীতে দেখ গেলে প্রতিহত করা হবে। একজন খুনীকে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে এটাই সিদ্ধান্ত। আবু নাসের বলেন, এরা নৈতিকভাবে দুর্বল। তাই সামান্য ধমকেই মাথা নুইয়ে সরে যেতে বাধ্য হয়। রাশেদ চৌধুরীর ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে।
×