ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জয়ের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২৬ এপ্রিল ২০১৫

জয়ের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ এবার টাইগারদের ‘গর্জন’ শোনা গেল গণভবনে! আর এ গর্জন পাকিস্তানকে ‘বাংলাওয়াশের’ মতো দেশের জন্য আরও অর্জন ছিনিয়ে আনার প্রত্যয়, আত্মবিশ্বাসের। বিশ্বকাপের মাঠে কিংবা মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টাইগাররা ব্যাটিং-বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে ভূমিকম্পের সৃষ্টি করেছিল, শনিবার গণভবনে অনুভূত সত্যিকারের ভূমিকম্পও বিজয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট খেলোয়াড়দের মনোবলে এতটুকুও চিড় ধরাতে পারেনি। আনন্দ-উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি আগামীতেও রক্তস্নাত জাতীয় পতাকাকে সারাবিশ্বে উড্ডীন করে রাখতে যে কোন দেশের সঙ্গে বিজয়ের এ ধারা অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয়ই ব্যক্ত করলেন মাশরাফি-মুশফিক-সাকিব-তামিমরা। মায়ের মমতায় কাছে টেনে নিয়ে এবং সবার মুখে কেক তুলে দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রতিটি খেলোয়াড়কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছায় স্নাত করে উচ্ছ্বসিত ক্রিকেটপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তোমরা আমাদের সোনার ছেলে, তোমাদের জন্য আমরা গর্বিত। সামনে অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। ইনশা আল্লাহ সেদিন বেশি দূরে নয়, আমরা একদিন বিশ্বকাপও জিতব। পুরো দেশের মানুষ তোমাদের সঙ্গে আছে, তোমরা এগিয়ে যাও।’ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তীর্ণ হওয়া আর পাকিস্তানকে ওয়ানডে সিরিজে ‘বাংলাওয়াশ’ ও একমাত্র টি-টুয়েন্টিতে পরাজিত করার জন্য বাংলাদেশের টাইগাররা নগদ অর্থ পুরস্কারের পাশাপাশি গাড়ি ও ফ্ল্যাট পাচ্ছেন। ক্রীড়ামোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই মাশরাফিদের ‘উইনিং বোনাস’ হিসেবে দিচ্ছেন দুই কোটি টাকা। এরমধ্যে এক কোটি টাকা বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার জন্য আর অপর এক কোটি টাকা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অসামান্য জয়ের জন্য। মঙ্গলবার থেকে অনুষ্ঠেয় টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানের সঙ্গে জিতলে আরও এক কোটি টাকা পাবেন বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা। শনিবার গণভবনে ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাশরাফিদের অভিনন্দন জানিয়ে এসব ঘোষণা দিয়েছেন। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার সফরের একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটাই ক্রিকেটের এই সংস্করণে বাংলাদেশের প্রথম জয়। এর আগে ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচেই দাপটের সঙ্গে সফরকারীদের হারায় মাশরাফিরা। প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার হাতে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির ট্রফি তুলে দিয়ে পুরো দলকে গণভবনে দাওয়াত দিয়েছিলেন। আর সেই দাওয়াত গ্রহণ করতেই শনিবার গণভবনে এসেছিলেন মাশরাফি বাহিনী। বিজয়ী ক্রিকেট খেলোয়াড় ছাড়াও কোচিং স্টাফ, নির্বাচকম-লী, সাবেক জাতীয় খেলোয়াড় এবং বিসিবির কর্মকর্তাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল গণভবন ব্যাংকুয়েট হলটি। প্রতিটি খেলোয়াড় ও কর্মকর্তার চোখে-মুখে ছিল বিজয়ের উচ্ছ্বাস। প্রাণের স্পন্দনে এবং ফুলেল শুভেচ্ছায় স্নাত হন টাইগাররা। মায়ের মমতায় প্রতিটি খেলোয়াড়কে কাছে টেনে নিয়ে কেক কাটেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রতিটি খেলোয়াড়কে একে একে ডেকে নিয়ে তাদের মুখে কেক তুলে দেন তিনি। উপস্থিত খেলোয়াড়দের অনেকেই এ সময় নিজেদের মধ্যে বলতে শোনা গেছে, একজন প্রধানমন্ত্রী এমন ক্রিকেটপ্রেমী হন এবং প্রতিটি বড় ইভেন্টে নিজে ফোন করে খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করার ঘটনা বোধহয় বিশ্বের আর কোন দেশে নজির নেই। প্রধানমন্ত্রী আসার আগেই ক্রিকেট খেলোয়াড়, কোচ, নির্বাচকম-লী এবং বিসিবির কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি হয় গণভবনে। প্রিয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে একটা ছবি বা সেলফি তোলার সুযোগ যেন কেউ-ই নষ্ট করতে চান না। মাশরাফি-সাকিব-মুশফিক-তামিম-তাসকিন কিংবা রুবেলের সঙ্গে একটি ছবি তুলে স্মৃতি ধরে রাখতে উপস্থিত কর্মকর্তা থেকে শুরু করে খোদ সাংবাদিকরাও যেন হুমড়ি খেয়ে পড়েন। টাইগাররা কাউকেই এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেননি। আগ্রহীদের পাশাপাশি টাইগাররা একে অপরের সঙ্গেও সেলফি তুলতেই যেন ব্যক্ত হয়ে পড়েন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে আসার পর ছবি তোলার প্রতিযোগিতা কিছু সময়ের জন্য থমকে যায়। অনুষ্ঠান শেষেও বেশকিছু সময় টাইগারদের সবার ফুলেল শুভেচ্ছায় স্নাত হতে দেখা যায়। বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক নড়াইল এক্সপ্রেস বলে খ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজাকে সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ঘুরে ঘুরে প্রতিটি খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, নির্বাচনম-লী এবং বিসিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং আগামীতেও প্রতিটি খেলোয়াড়কে আরও ভাল খেলার জন্য উৎসাহ দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর মাশরাফিকে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় মঞ্চে তাঁরা দু’জন ছাড়াও উপবিষ্ট ছিলেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি ও নাইমুর রহমান দুর্জয় এমপি। প্রথমেই দেশবাসীর পক্ষ থেকে মাশরাফির হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে পুরো ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিসিবি সভাপতি ও অধিনায়ক মাশরাফি দলের পক্ষ থেকে ক্রিকেটপ্রেমী প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে ভুল করেননি। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ও মাশরাফি। অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়িত করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের শুরুতেই খেলোয়াড়সহ জাতীয় ক্রিকেট দলের সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে জড়িত সবার জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলায় ক্রিকেটারদের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশ যে খেলা খেলেছে তাতে গোটা বিশ্ব অবাক হয়ে গেছে। আমাদের টাইগাররা এবার সত্যিকারের একেকটা টাইগারের মতো খেলেছে। তিনি বলেন, এবার প্রত্যেকে আন্তরিকতা নিয়ে খেলেছে। খেলার সময় সবার মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে যে, আমরা জিতব। এবার আমি সবার মধ্যে এটা দেখেছি। আসন্ন খেলাগুলোতে বাংলাদেশ দল জয়ের ধারা অব্যাহত রাখবে আশা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছর বাকি যে খেলাগুলো আছে, সেখানে সবগুলো ভাল টিম। আমাদের এখন থেকে সেভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। এসব খেলায় আমাদের জিততে হবে। খেলায় হারজিত আছে। তবে আমাদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে হবে। ভাল খেলতে হবে। বাংলাদেশ একদিন ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। খেলাধুলার অগ্রগতিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা যাতে স্কুল থেকে খেলাধুলায় আগ্রহী হয় আমরা সে ব্যবস্থা নিয়েছি, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছি। আমরা প্রতি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি। এছাড়া সাত বিভাগেই আন্তর্জাতিক মানের একটি করে স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। তিনি বলেন, পদ্মার পাড়ে একটা স্টেডিয়াম তৈরির পাশাপাশি সেখানে ‘স্পোর্টস ভিলেজ’ গড়ে তোলা এবং কক্সবাজারে আরেকটা বড় স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে। প্রতিটি খেলোয়াড়কে আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নামার পরামর্শ দিয়ে ক্রিকেটপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের ভেতরে আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে যে, ভাল খেলতে হবে। অন্যরা জিততে পারলে আমরা কেন পারব না? সেই আত্মবিশ্বাস বিশ্বকাপে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে খেলায় আমি টাইগারদের মধ্যে দেখেছি। এটা ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই আমরা স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে প্রতিযোগিতা করছি। আমার পরিবারের সদস্যরা খেলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। তিনি বলেন, বর্তমান যুগটা হলো আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর। তাই আমাদের প্রশিক্ষণটাও আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর হতে হবে। এজন্য সরকার থেকে যা যা করার আমরা করব। পাকিস্তানের সঙ্গে অবশিষ্ট টেস্ট সিরিজ জেতার ব্যাপারেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে জিতেছি। ইনশা আল্লাহ বাকি টেস্ট সিরিজেও জিতব। সামনে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ভাল দলগুলোর সঙ্গে খেলতে হবে। এসব খেলাতেও বিজয়ী হতে প্রতিটি খেলোয়াড়কে আরও আত্মপ্রত্যয়ী হতে হবে। এখন থেকেই এসব দেশের সঙ্গে খেলার প্রস্তুতি নিতে হবে, জেতার মানসিকতা নিয়েই সবাইকে খেলতে হবে। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ এই তিন ফর্মের খেলার জন্য আলাদা আলাদা টিম গঠন করা যায় কিনা, তা ভেবে দেখার জন্যও কোচ ও নির্বাচকম-লীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী জানান, বিশ্বকাপে ‘উইনিং বোনাস’ হিসাবে এক কোটি এবং আইসিসি থেকে আরও তিন কোটি টাকা পাওয়া গেছে। বিসিবি থেকে দেয়া হবে এক কোটি ২৩ লাখ টাকা। আর বিশ্বকাপে ভাল খেলার জন্য এক কোটি টাকা এবং পাকিস্তানকে ওয়ানডেতে ‘বাংলাওয়াশ’ করা ও টি-টোয়েন্টিতে হারানোর জন্য আরও এক কোটি টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। বেক্সিমকো থেকে আরও এক কোটি টাকা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, জাতীয় দলের যেসব ক্রিকেটারকে আগে গাড়ি দেয়া হয়নি তাদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হবে। ক্রিকেটারদের জন্য ভাল আবাসনের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনার কথা জানানোর পাশাপাশি সবাই যেন কমপক্ষে দুটি করে ফ্ল্যাট পায় সে নির্দেশও দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রতিটি খেলোয়াড় হাততালি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রিকেটের উন্নয়নে যা যা করার তার সবই করা হবে। বাংলাদেশ দলের ভূয়সী প্রশংসা করে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, আমরা এখন যে খেলা খেলছি তাতে পৃথিবীর কোন দলই আমাদের সঙ্গে সহজে জিততে পারবে না। বাংলাদেশের আইসিসি র‌্যাংকিং আরও উপরে ওঠাতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা আমাদের শুরু। আমাদের আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। আগামী বিশ্বকাপের আগে আমাদের র‌্যাংকিং আরও উপরে ওঠাতে হবে। আমরা যেভাবে খেলছি তাতে র‌্যাংকিংয়ে আমরা আরও এগিয়ে যাব। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা তাঁর বক্তব্যে সবার কাছে দোয়া চেয়ে আগামীতে আরও ভাল খেলা উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এ বছর আমাদের আরও খেলা আছে। আশা করি, আমরা অনেক ভাল খেলব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শত ব্যক্ততার মধ্যেও সব সময় ভাল খেলার জন্য আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, মাঠে উপস্থিত থেকে আমাদের উৎসাহ দিয়েছেন। এজন্য তাঁর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী ঘুরে ঘুরে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কুশল বিনিময়কালে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, তাঁর স্ত্রী পেপি সিদ্দিক ও নাতনি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেনÑ বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামিম চৌধুরী, বিশেষ সহকারী ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মাহবুবুল হক শাকিল, এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, ক্রিকেট দলের কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহে, পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক, প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ, বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান, নির্বাচক হাবিবুল বাশার, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু প্রমুখ।
×