ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

স্বরসতীপুর গ্রামবাসীর মানবেতর জীবন যাপন

প্রকাশিত: ০৪:০১, ২৫ এপ্রিল ২০১৫

স্বরসতীপুর গ্রামবাসীর  মানবেতর জীবন যাপন

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার একটি গ্রাম ‘স্বরসতীপুর’। গ্রামটি সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থিত। গ্রামটিতে ৮৫টি পরিবারের বসবাস। পাশাপাশি বাড়ি হলেও গ্রামের জনসাধারণ দুটি দেশের বাসিন্দা হিসেবে পরিচিত। সে কারণেই উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষীদের কড়া নজরে তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত বসবাস করতে হয়। এভাবেই চলছে তাদের জীবনযাত্রা। সরজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের পাশে জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার আমতলী বাজার হতে ১ কিলোমিটার দক্ষিণে কাঁচা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ সীমানা শেষ হয়। শেষ প্রান্তে স্বরসতীপুর গ্রামটি সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডের ১৫০ গজের মধ্যে অবস্থিত। বাংলাদেশ সীমানায় উক্ত গ্রামে ৫২টি পরিবারের প্রায় ৩শ’ জনসাধারণের বসবাস। অপরদিকে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ থানার সমজিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত সমজিয়া গ্রামের একটি অংশের ৩৩টি পরিরবারের বসবাস নো-ম্যান্স ল্যান্ডের ১৫০ গজের মধ্যে। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হওয়ার সময় এ গ্রামটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে স্বরসতীপুর গ্রামের জনসাধারণ দুটি দেশের বাসিন্দা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। একই বাবার ৫ পুত্র রশিদ, মোতালেব, লতিফ, মনির ও বাতেন। বাবা মফিজউদ্দিন ৩০ বছর পূর্বে মারা গেছেন। বাবার ১৫ একর জমি ছিল। এই জমিগুলো অধিকাংশই নো-ম্যান্স ল্যান্ডের মধ্যে অবস্থিত। ১০ একর জমি বাংলাদেশ সীমানায় এবং ৫ একর জমি ভারতের মধ্যে রয়েছে। ৫ ভাইয়ের মধ্যে ৩ ভাই রশিদ, মোতালেব ও লতিফের বাড়ি বাংলাদেশ সীমানায় এবং মনির ও বাতেনের বাড়ি ভারতের মধ্যে। ৫ ভাইয়ের বাড়ি পাশাপাশি হলেও তারা দুই দেশের নাগরিক বলে পরিচিত। ভৌগোলিক দিক দিয়ে বাবার সম্পত্তি দুই দেশের মধ্যে পড়ার কারণে ভারতের অংশের সম্পত্তি দুই ভাই এবং বাংলাদেশের অংশের সম্পত্তি অপর তিন ভাই ভোগ দখল করছেন।
×