ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

কাঁচাঘর বিধ্বস্ত, বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত: ০৪:০১, ২৫ এপ্রিল ২০১৫

কাঁচাঘর বিধ্বস্ত, বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২৪ এপ্রিল ॥ বৃহস্পতিবার রাতে বরগুনার আমতলী উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে তিন শতাধিক কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। সহস্রাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে পড়ায় ১৪ ঘণ্টা বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ ছিল। খেপুপাড়া ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ঘণ্টায় ৪৪ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী ঝড় আমতলীসহ উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যায়। এর স্থায়িত্ব ছিল ৪ থেকে ৫ মিনিট। বৃষ্টিপাত হয় ২০ মিলি মিটার। দামুড়হুদায় ব্যাপক ক্ষতি সংবাদদাতা, দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা থেকে জানান, দামুড়হুদা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী কালবৈশাখী ঝড় তা-ব চালায়। এতে এলাকার টিনের চাল, মাছের গাছপালা, উঠতি বোরো ধান, আম, লিচু, কলা, পেঁপে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রায় উপজেলার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুতের একাধিক পোল পড়ে গেলে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলা ছিল বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন। কৃষি অফিসার সুফি রফিকুজ্জামান জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে এলাকায় ৭০ হেক্টর জমির আম, ৪০ হেক্টর জমির কলা, ৫০ হেক্টর পেঁপে এবং ১০ হেক্টর জমির লিচুর ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। কেশবপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ল-ভ- নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর থেকে জানান, কাল বৈশাখীতে কেশবপুরে অন্তত ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ে চালের টিন উড়ে যাওয়ার ফলে ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছে না। অনেক প্রতিষ্ঠানে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস করছে। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরের ওপর দিয়ে সম্প্রতি কয়েক দফা বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখীতে অন্তত ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক লাখ টাকার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে ভদ্রাপল্লী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, টিটাবাজিতপুর এম.কে.বি মহিলা কলেজ, টিটাবাজিতপুর এম.কে.বি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, আড়ুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভালুকঘর নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ভা-ারখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাতাইশকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাগদত্তকাটি এস এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হিজলডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চাঁদডাঙ্গী-শ্রীফলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টিটাবাজিতপুর এম.কে.বি মহিলা কলেজ, টিটাবাজিতপুর এম.কে.বি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও আড়ুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সব কক্ষের চাল উড়ে গেছে। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করানো হচ্ছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, সাম্প্রতিক শিলা বৃষ্টি ও কাল বৈশাখীতে ১২/১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সংবাদে জানা গেছে। এগুলোর তালিকা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
×