ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেষ ম্যাচেও জিতল বাংলাদেশের যুবারা

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২৪ এপ্রিল ২০১৫

শেষ ম্যাচেও জিতল বাংলাদেশের যুবারা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা অনুর্ধ-১৯ দলের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ জিতে গিয়েছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ দল। শেষ ম্যাচেও প্রোটিয়া যুব দলকে হারিয়ে দিয়েছেন স্বাগতিকরা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের সপ্তম ও শেষ ওয়ানডেতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের পর ১ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশের যুবারা। ফলে ৭ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৬-১ ব্যবধানে জিতল স্বাগতিকরা। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা যুব দল। দলীয় ২১ রানেই প্রথম উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়ে দলকে ভাল অবস্থানে নিয়ে যান রিভাল্ডো মুনসামি ও ডিন ফক্সক্রফট। এরপর দ্রুত তিন উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশ যুব দলকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন বাংলাদেশী বোলাররা। ফক্সক্রফট ৯২ বলে ৪ চারে ৪৯ রানে ফিরে যান। পরের দিকে উইয়ান মুল্ডার ৪২ বলে ৩২ রান করেন। তবে ডায়ান গ্যালিয়েমের ইনিংসটাই চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়তে সহায়ক হয়েছে প্রোটিয়াদের জন্য। তিনি ৪৯ বলে ৭ চারে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩২ রানের পুঁজি দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা অনুর্ধ-১৯। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৪৪ রানে দুটি উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে দলীয় ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারালে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে সঠিক পথেই রাখেন পিনাক ঘোষ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। পিনাক দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন। তিনি ৪৭ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪১ রানে ফিরে যাওয়ার পর নাজমুল অর্ধশতক আদায় করেন। তিনি ৯১ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৫ রান করেন। চতুর্থ উইকেটে ৯৯ রানের জুটি গড়ে দলকে অভীষ্ট্য লক্ষ্যে নিয়ে যেতে থাকেন মেহেদী হাসান ও সাইফুদ্দিন। তবে মিডলঅর্ডারে ধস নামে। চার ব্যাটসম্যান দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের শিকার হলে জয় পাওয়াটা দুরূহ হয়ে ওঠে বাংলাদেশের জন্য। মেহেদী ৬৭ বলে ১০ চারে সর্বোচ্চ ৬১ রান করে বিদায় নিয়েছিলেন। একাই সাইফুদ্দিন দলের জয়ের আশা টিকিয়ে রাখেন। শেষ পর্যন্ত দুই বল বাকি থাকতেই দলকে বিজয়ী করে মাঠ ছাড়েন তিনি। ৪০ বলে ৫ চারে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন এ অলরাউন্ডার। ৪৯.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ২৩৬ রান তুলে ১ উইকেটের জয় পায় স্বাগতিকরা।
×