ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিসিএলে আবারও এনামুলের ব্যাটে ঝলক

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২৪ এপ্রিল ২০১৫

বিসিএলে আবারও এনামুলের ব্যাটে ঝলক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম ইনিংসে ৯৪ রান করেছিলেন জাতীয় দলের ওপেনার এনামুল হক বিজয়। ইনজুরি থেকে ফিরেই রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন তিনি ব্যাটে। ফতুল্লায় দ্বিতীয় ইনিংসেও ৯৬ রান করে অপরাজিত আছেন তিনি। তার ব্যাটিং নৈপুণ্যে তৃতীয় দিনশেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ২১৩ রান তুলে ৩৩০ রানের লিড নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল। এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগের (বিসিএল) তৃতীয় দিনে বিসিবি উত্তরাঞ্চল ২৩৫ রানেই প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায়। আগের দিনই বোঝা গিয়েছিল খুব বেশিদূরে যেতে পারবে না উত্তরাঞ্চল। ১৬১ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলেছিল ৫ উইকেট। ম্যাচের তৃতীয় দিন সেটাই সত্য হলো। আর ৭৪ রান যোগ করতেই বাকি ৫ উইকেট হারাল তারা। সবমিলিয়ে ২৩৫ রানেই ইনিংস শেষ। চারটি করে উইকেট নিয়ে উত্তরাঞ্চলের ইনিংস ধসিয়ে দেন পেসার আলআমিন হোসেন ও অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। ১১৭ রানে এগিয়ে থাকায় বেশ উজ্জীবিতভাবেই দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দক্ষিণাঞ্চল। যদিও ১৪ রানেই ইমরুল কায়েসের উইকেট হারিয়েছিল তারা। দ্বিতীয় উইকেটে এনামুল ও সৈকত আলী ৮৭ রান যোগ করে দলকে ভাল অবস্থানে নিয়ে যান। সৈকত ৫৭ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ রান করে ফিরে গেলেও দিনের শেষ পর্যন্ত অপরাজিতই ছিলেন এনামুল। ইনজুরির কারণে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চলমান স্বল্প পরিসরের সিরিজে খেলতে পারেননি জাতীয় দলের এ ওপেনার। সেখান থেকে সেরে উঠে এখন দুই টেস্টের সিরিজে দলের ফেরার জন্যই যেন ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছেন। ১৫৪ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় এখন পর্যন্ত ৯৬ রান করে অপরাজিত তিনি। তার সঙ্গে ব্যাট করছেন তুষার ইমরান ৪৮ রান নিয়ে। ২ উইকেটে ২১৩ রান তুলে ৩৩০ রানে এগিয়ে গেছে দক্ষিণাঞ্চল। স্কোর ॥ প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল-বিসিবি উত্তরাঞ্চল চারদিনের ম্যাচ দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংস ॥ ৩৫২/১০; ১০৮.৫ ওভার (সোহাগ ১০৮, এনামুল ৯৪, নুরুল ৭৮, জিয়া ৩৮; আরিফুল ৬/৭৫, সাকলাইন ২/৪৫) এবং দ্বিতীয় ইনিংস- ২১৩/২; ৫১ ওভার (এনামুল ৯৬*, সৈকত ৫৪, তুষার ৪৮*; দেলোয়ার ১/৩৫, তাইজুল ১/৬১)। উত্তরাঞ্চল প্রথম ইনিংস ॥ দ্বিতীয় দিনশেষে-১৬১/৫; ৬৪ ওভার (নাঈম ৪২*, জুনায়েদ ৩৫, আরিফুল ১৯*; রাজ্জাক ২/৪০, সোহাগ ১/২৭, আলআমিন ১/৪২) ও তৃতীয় দিন-২৩৫/১০; ৯৭ ওভার (নাঈম ৪৪, আরিফুল ৪২, হামিদুল ৩৯; রাজ্জাক ৪/৬৭, আলআমিন ৪/৬৭)।
×