ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৪ এপ্রিল ২০১৫

উবাচ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়ে বিএনপির অতি আগ্রহ আর নিত্য নতুন দাবির প্রেক্ষিতে এ সংক্রান্ত পদক্ষেপের বিষয় স্পষ্ট করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ বললেন, ‘ভোটারদের মানসিক স্বস্তির জন্যই সেনা মোতায়েন করা হবে। গত ১৯ এপ্রিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করে আমরা জেনেছিলাম, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ বজায় আছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী রাখার প্রয়োজন ছিল না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার কারণে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। তাই ভোটারদের মানসিক স্বস্তির জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে।’ গেল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ‘সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা না দিয়ে সেনা মোতায়েনের উদ্দেশ্য সফল হবে না’ গণমাধ্যমকে দেয়া বিএনপির প্রতিনিধি দলের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী যথেষ্ট কার্যকর। দেশ-বিদেশে আমাদের সেনাবাহিনীর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। আশা করি তারা নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করবে। আর বিচারিক ক্ষমতা আইন মোতাবেক দেয়া হয়। এখনই তো আর আইন পরিবর্তন করা সম্ভব না। এর জন্য ম্যাজিস্ট্রেট আছেন। নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানোর ঘোষণা দিলেও তাদের ক্যান্টনমেন্টের বাইরে আনবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধানমন্ত্রী নয়, আপনারই... স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সদা হাস্যোজ্জ্বল মেয়রপ্রার্থী আনিসুল হক। যিনি আগেই ঢাকাবাসীকে জানিয়ে গিয়েছেন, ‘নাগরিকদের জন্য কাজ করার জন্য আমি পরিবারের কাছ থেকে পাঁচ বছর সময় চেয়ে নিয়েছি।’ এবার নির্বাচনে ভোটারদের সহযোগিতা কামনা করে বললেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সমর্থন দিলেই পাস করা যাবে না, তিনি আমাকে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন করেছেন মাত্র। পাস করার জন্য আপনাদের ভোটের দরকার। আপনারা চিন্তা করে আপনাদের আমানত প্রয়োগ করবেন।’ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কড়াইল বহিমশ এলাকার এরশাদ স্কুল মাঠে এক নির্বাচনী সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি রাজধানীর হাজী ক্যাম্প এলাকার মসজিদের ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। আনিসুল হক বলেন, আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই। আপনারা যদি ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেন, আজ যেভাবে (৬ পৃষ্ঠা ১ কঃ দেখুন) প্রধানমন্ত্রী নয়, (প্রথম পৃষ্ঠার পর) এসেছি আমি সব সময় আপনাদের পাশে থাকব। আমি বিজয়ী হলে আপনাদের জন্য কাজ করব। আমাদের দুর্নাম আছে অনেকে নির্বাচিত হলে আর আসে না। কিন্তু আমি কথা দিচ্ছি নির্বাচিত হলে আমি আপনাদের পাশে থাকব। আপনারা আমাকে পাবেন। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে পুনর্বাসন না করে কড়াইল বহিমশর মানুষকে উচ্ছেদ করা হবে না। কড়াইল বস্তিসহ অনেক বস্তির সমস্যা রয়েছে। বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন না করে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। তারা আমাদের ভাই-বোন। তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব আমাদের। তিনি আরও বলেন, আমি অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছি। আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমি সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম। আপনারা জানেন আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি, আমার কোন দুর্নাম নেই। আমাকে আপনারা বিশ্বাস করুন। এটা হচ্ছে স্থানীয় নির্বাচন এ নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হয় না। আনিসুল হক বলেন, আপনাদের ভোট দেয়ার আগে চিন্তা করতে হবে কাকে ভোট দিলে আপনাদের পাশে থাকবে। আপনারা চিন্তা করে আপনাদের আমানত প্রয়োগ করবেন। আমার কোন শত্রু নেই। কারও বিরুদ্ধে বলারও কিছ নেই। অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছি। এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলেই আমি মেয়র হতে পারব না। তিনি আমাকে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন করেছেন মাত্র। মেয়র হতে হলে আপনাদের ভোট দরকার। যদি ভাল লাগে তাহলে আপনারা আমাকে ভোট দেবেন। রায় পেলে আমি আপনাদের মাঝে ফিরে আসব। আমি কথা দিচ্ছি, আমার ২৫ বছরের সুনাম নষ্ট করব না। আপনারা আমাকে ৫ বছর কাজ করার সুযোগ দিন। সভায় উপস্থিত ছিলেন- সাবেক মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব) ফারুক খান, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিল মফিজুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী খালেদা আক্তার বিউটি প্রমুখ। নো টেনশন... স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রচারে নামার পর যারা সরকারের পরাজয়ের স্বপ্ন দেখছেন তাদের ‘টেনশন’ না করারই পরামর্শ দিলেন সাঈদ খোকন। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ খোকন বলে দিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে প্রচারে নামায় আমি তো আনন্দিত। কারণ বিএনপি নেত্রী প্রচারে নামায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। গেল বুধবার রাজধানীর ঢাকা ট্যানারির মোড়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন এ অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রচারে নামায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমি আনন্দিত। কিন্তু তার প্রচারের সময় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে। এটা আপত্তিকর। সেনাবাহিনী মোতায়েন সম্পর্কে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হলে আমার কোন সমস্যা নেই। এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এ এলাকা দূষণমূক্ত করতে ট্যানারি শিল্পকে অন্য কোথাও সরিয়ে নেয়া হবে। পৃথিবীর অনেক দেশ আমি ঘুরেছি। কিন্তু ঢাকার মতো শহর আর দেখিনি। এ শহরের আবেগ-ভালবাসায় আমি সিক্ত। আমাকে এ শহরে একবার কাজ করার সুযোগ করে দিন। আমি ঢাকার সন্তান। আমার বাবা মেয়র ছিলেন। ঢাকাবাসীর ভোটে আমার হক সবচেয়ে বেশি। আমি তাদের সন্তান হিসেবে ইলিশ মাছ মার্কায় ভোট দিয়ে ঢাকার উন্নয়নের সুযোগ দেয়ার জন্য সবার কাছে বিনীত প্রার্থনা করছি। তিনি বলেন, নগর নিয়ে আমার অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচিত হলে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করাসহ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব। বৃহস্পতিবার সাঈদ খোকন চানখাঁরপুলে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন। এ সময় তিনি লিফলেট বিতরণ করে ভোটারদের কাছে একবারের জন্য মেয়র পদে ঢাকাবাসীর সেবা করার সুযোগ চান। সাঈদ খোকন বলেন, আমার বাবা প্রয়াত ঢাকার মেয়র হানিফ ঢাকাবাসীর জন্য আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। আমাকে একবার সুযোগ দিন। আমি আমার জীবন দিয়ে আপনাদের সেবা করব। সৎ ও নিঃস্বার্থভাবে ঢাকাবাসীর জন্য কাজ করার অঙ্গীকার করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী সাঈদ খোকন বলেন, আমি শুধু একটিবার সুযোগ চাই, আমাকে সুযোগ দিন। ঢাকাবাসীর জন্য কাজের মাধ্যমে আমি তার প্রমাণ রাখব। সাঈদ খোকন হিংসার রাজনীতিমুক্ত, শান্তিপূর্ণ শহর গড়ার সুযোগ চেয়ে ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, আন্দোলনের নামে কিছু দিন আগেও পেট্রোলবোমার আঘাতে অনেক প্রাণ ঝড়ে গেছে। আমরা সেই হিংস্র অবস্থানে আর ফিরে যেতে চাই না।
×