ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

স্বপদে ফিরে আসা নিয়ে নানা প্রশ্ন

আন্দোলনের মুখে দুই মাসের ছুটিতে শাবি ভিসি

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ২৪ এপ্রিল ২০১৫

আন্দোলনের মুখে দুই মাসের ছুটিতে শাবি ভিসি

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অশান্ত হয়ে ওঠার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। আন্দোলনের মুখে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমিনুল হক ভূঁইয়া দুই মাসের ছুটিতে যাচ্ছেন। পারিবারিক কারণ দেখিয়ে তিনি ২৪ এপ্রিল থেকে ছুটিতে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ভিসি ছুটির প্রস্তাব পেশ করেন। ভিসি প্রথমে ৩০ এপ্রিল থেকে ছুটিতে যাওয়ার কথা বললেও আন্দেলনকারীরা তাঁকে সময় নিতে দেননি। অনেকটা বাধ্য হয়ে তাঁকে শুক্রবার থেকে ছুটিতে যেতে হচ্ছে। ভিসির অনুপস্থিতিতে শাবির কোষাধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস উপাচার্য হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন। দু’মাস পর ভিসি কি পুনরায় স্বপদে ফিরে আসবেন? পরিস্থিতি কোনদিকে যাবে- এনিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অবশ্য চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে ভিসি বলেন, ফরেস্ট্রি (এফইএস) বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. নারায়ণ সাহার নেতৃত্বে চার ডীনকে দিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সমাধান করবে। এদিকে, বৃহস্পতিবারও ভিসির পদত্যাগ দাবিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ শাবিতে মানববন্ধন করেছে। দুপুর ১২টায় মানববন্ধনে সমিতির যুগ্মআহ্বায়ক ড. মুস্তাবুর রহমান, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ইয়াসমিন হক, আনোয়ারুল ইসলাম, মোঃ ইউনুস, আব্দুল গণি, সৈয়দ শামসুল আলম, ফারুক উদ্দিন, মোঃ এমদাদুল হকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। একসঙ্গে প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে এত শিক্ষকের পদত্যাগে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এই পর্যায়ে ভিসি ছুটিতে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে বলেই সাধারণ শিক্ষক ও কর্মকর্তারা মনে করছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ উপাচাযের্র অসৌজন্যমূলক আচরণ ও প্রশাসন পরিচালনায় অযোগ্যতার পাশাপাশি নিয়োগে অনিয়ম ও আর্থিক অস্বচ্ছতার বিষয় তুলে ধরে পদত্যাগ দাবিতে মাঠে আন্দোলনে নেমেছেন। উপাচার্য ড. অমিনুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন মেনেই নিয়োগ দিয়েছি। অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, একজন শিক্ষক হয়ে শিক্ষকদের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল আচরণের প্রশ্নই আসে না। আশা করি, শিক্ষকরা তাঁদের পদত্যাগের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দ্রুত নিজ নিজ দায়িত্বে ফিরে আসবেন।
×