ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ক্যারিয়ারের দেড় শ’ ওয়ানডে

‘সাকিবের ১৫০’

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ২৩ এপ্রিল ২০১৫

‘সাকিবের ১৫০’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগের ম্যাচেই বাংলাদেশের পক্ষে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ১৫০ ওয়ানডে খেলার গৌরব অর্জন করেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বুধবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমে একই কৃতিত্বের অধিকারী হলেন ওয়ানডের সহঅধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১৫০তম ম্যাচটি বেশ ভাল খেলেছেন সাকিব। এদিন বাংলাদেশের অন্য বোলাররা যখন ছিলেন নিয়ন্ত্রণহীন, সাকিব ঠিকই পাক শিবিরের কাছে আস্থা অর্জন করে ১০ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে দুটি উইকেট শিকার করেছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ১৫০ ওয়ানডের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। এখন পর্যন্ত ১৭৫ ওয়ানডে খেলে তিনিই সবার ওপরে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে। আশরাফুলের পরেই আছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। এ দু’জনই এখন আর জাতীয় দলে নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের অভিষেক ঘটেছিল ২০০৬ সালের ৬ আগস্ট জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে হারারেতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে দিয়ে। এরপর ৯ বছর পার করে ফেলেছেন তিনি বাংলাদেশ দলের হয়ে। ব্যাটে-বলে সমান নৈপুণ্য দেখিয়ে দলের অপরিহার্য ক্রিকেটার হয়ে ওঠা সাকিব কখনই খারাপ ফর্মের কারণে দলের বাইরে থাকেননি। বরং বিশ্বকেও জানান দিয়েছেন তিনি অনেক বড় মাপের ক্রিকেটার। সেই কারণেই দীর্ঘদিন ওয়ানডে ক্রিকেটে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর অলরাউন্ডারের স্থানটা দখল করে রেখেছিলেন। বর্তমানে অবশ্য তিনি দুইয়ে আছেন। বুধবার সাকিব নতুন মাইলফলক ছুঁলেন ১৫০তম ওয়ানডে খেলে। তিনি এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে চতুর্থ ক্রিকেটার। বাংলাদেশের হয়ে ১৫০ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে খেলেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল (১৭৫), আব্দুর রাজ্জাক (১৫৩) ও মাশরাফি বিন মর্তুজা (১৫১)। অবশ্য ১৫০তম ওয়ানডে ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় রয়েছেন বাংলাদেশের আরও এক ক্রিকেটার। সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম বুধবার খেলছেন ১৪৯তম ওয়ানডে। ১৫০তম ওয়ানডে ম্যাচের মাইলফলকে পৌঁছাতে তাকে অপেক্ষা করতে হবে ভারতের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ পর্যন্ত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামার আগে ১৪৯ ম্যাচে সাকিবের সংগ্রহ ৩৪.৮০ গড়ে ৬ সেঞ্চুরি ও ২৮ হাফসেঞ্চুরিসহ ৪,২১১ রান ও ১৯৩ উইকেট। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে এখন পর্যন্ত ১৪ বার ম্যাচসেরা ও ৫ বার সিরিজসেরা হয়েছেন এ কৃতী অলরাউন্ডার। যা বাংলাদেশের পক্ষে এখন পর্যন্ত সেরা অর্জন কোন ক্রিকেটারের। দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন এক সময়। ৪৯ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে দলকে জিতিয়েছেন ২৩ ম্যাচ আর হেরে গেছেন ২৬ ম্যাচে।
×