ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামে পুলিশের তথ্যে ঘাপলা ॥ ১৮ লাখ ভোটারের মধ্যে আতঙ্ক

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ২৩ এপ্রিল ২০১৫

চট্টগ্রামে পুলিশের তথ্যে ঘাপলা ॥ ১৮ লাখ ভোটারের মধ্যে আতঙ্ক

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে ভোট কেন্দ্র নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে ভোটারদের মাঝে। পুলিশের ঘোষণা অনুযায়ী শতকরা ৮৩ ভাগ ভোট কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এ ধরনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে ১৮ লাখ ভোটারের মাঝে। অভিযোগ উঠেছে, যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জরিপ করেছে তা সঠিক নয় বলে মনে করেন প্রার্থীরা। তবে জামায়াত-বিএনপি ঘেঁষা পুলিশের পক্ষ থেকে আতঙ্ক সৃষ্টির কৌশল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু পুলিশের এ ধরনের জরিপকে পুঁজি করেই জামায়াত-বিএনপির প্রার্র্থীরা সেনাবাহিনী ও প্রতিকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা সংস্থাপন করার দাবিতে চাপাচাপি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। উল্ল্যেখ, অতীতের হিসেব অনুযায়ী সরকারদলীয় বা বিরোধীদলীয় সন্ত্রাসীদের আস্ফালন থাকা কেন্দ্রের সংখ্যা দেড় শতাধিক। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ছত্রছায়ায় থাকায় পুলিশ কর্মকর্তাদের পক্ষপাতের কারণে ৭১৯টি ভোট কেন্দ্রের ৮২ দশমিক ৭৫ ভাগ কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ বলে বলা হলেও মূলত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ধরনের জরিপ ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলাসহ প্রার্থীদের মধ্যেও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ফলে বিতর্কিত অবস্থানে রয়েছে পুলিশের এ জরিপ। এ বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের নির্বাচন কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, জরিপটি অস্বাভাবিক। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী ভোট কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ বলে চিহ্নিত করার কোন সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে ভোট কেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ, কম ঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিবিহীন বলে চিহ্নিত করা যাবে। এ ব্যাপারে সিএমপি কমিশনার আবদুল জলিল ম-ল জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, বিশেষ করে ঘিঞ্জি এলাকার ও মূল সড়ক থেকে অতি দূরে থাকা কেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়েছে। কোন প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে এ ধরনের জরিপ করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তিনি বলেন, শুধুমাত্র থানা পুলিশের তথ্যে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্রের জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। গত শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সভাপতি ও ইস্ট ডেল্টা ইউনির্ভাসিটির অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান বলেন, আমরা উভয় পক্ষকেই সংযত করার চেষ্টা করছি। কাউকে উস্কানি দিচ্ছি না। ক্ষমতায় যারা আছেন তাদের বলছি সংযত আচরণ করতে, আর ক্ষমতার বাইরে যারা আছেন তাদের বলছি এমন কিছু না করতে যা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে পারে। সেনাবাহিনী মাঠে থাকলে দুষ্ট লোকরা ভয়ে থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের স্বাভাবিক উপস্থিতি ও ভোট প্রদানে গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে ১৫ থানার পক্ষ থেকে জরিপ করা হয়েছে। এছাড়া নগরীর বাইরে হাটহাজারী থানার আওতায় থাকা বারোটি কেন্দ্রের অবস্থা জানতে জেলা পুলিশের তথ্য নেয়া হয়েছে।
×