জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের কার্যালয়ের ছাদে বুধবার একটি ছোট অজ্ঞাত পরিচয় ড্রোন পাওয়ার পর পুলিশি তদন্ত শুরু করেছে। খবর এএফপির।
ঘটনার সময় আবে ভবনটিতে ছিলেন না। এশিয়া এবং আফ্রিকার নেতাদের দু’দিনের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়া সফরে গেছেন তিনি।
জাপানী সংবাদমাধ্যম বলেছে, ৫০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য অজ্ঞাত পরিচয় ড্রোনটি রাজধানী টোকিওর প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ছাদে পাওয়া গেছে। চার পাখাযুক্ত ড্রোনটিতে একটি ক্ষুদ্র ক্যামেরা, পানির বোতল এবং ফ্লায়ারের মতো কিছু পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে জাপানের সরকারী সম্প্রচার সংস্থা এনএইচকে। এছাড়া তেজষ্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি জানানোর জন্য যে হুঁশিয়ারি সঙ্কেত ব্যবহার করা হয়, ড্রোনটিতে সেরকম সঙ্কেত আঁকা ছিল। স্যাটেলাইটের তোলা ছবিতে দেখা যায়, জাপানী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পুলিশের দল তল্লাশি চালাচ্ছে। আর ড্রোনটিকে নিল রঙের প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। এ ঘটনা সম্পর্কে আবের দফতরের কর্মকর্তা এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষ এখনও কোন বিবৃতি দেয়নি। আইনগত কোন বিধিানিষেধ না থাকায় জাপানে ড্রোনের ব্যবহার স্বাভাবিক বিষয় হয়ে উঠেছে।
আরও শক্তিশালী টেলিস্কোপ আবিষ্কার
নাসা ও এর আন্তর্জাতিক অংশীদাররা মহা বিশ্বকে আরও অনেক গভীরভাবে দেখার জন্য পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিসম্পন্ন একটি টেলিস্কোপ আবিষ্কার করেছে। এ সপ্তাহে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ আবিষ্কারের ২৫তম বার্ষিকীতে নাসা এ তথ্য জানিয়েছে। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটি (জেডব্লিউএসটি) হাবল টেলিস্কোপের চেয়ে ১শ’ গুণ শক্তিসম্পন্ন হবে এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ২০১৮য়ে এর ব্যবহার শুরু করবেন। মহাবিশ্ব সৃষ্টির প্রথম দিকে যে ছায়াপথগুলোর সৃষ্টি হয়েছিল সেগুলো পর্যবেক্ষণে এক নজিরবিহীন সুযোগ এনে দেবে এ টেলিস্কোপ। নাসা নিজস্ব ওয়েবসাইটে বলেছে, বিগ ব্যাং বা মহাগর্জনের পর প্রায় ২০ কোটি বছর আগের মহাবিশ্বকে দেখা যাবে এ টেলিস্কোপ দিয়ে। অবলোহিত দৃষ্টিপথ অবলোকনে এক শক্তিসম্পন্ন যন্ত্র হিসেবে এ টেলিস্কোপকে উল্লেখ করেছে নাসা। বিশ্বের সূচনালগ্নে অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থা থেকে সৃষ্ট প্রথম তারকারাজি ও ছায়াপথগুলো অবলোকনে এ দূরবিন নিয়ে যাবে আমাদের ১ হাজার ৩শ’ ৫০ কোটি বছরেরও বেশি সময় পেছনের দিকে। শুরুতে এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৩শ’ কোটি ডলার। কিন্তু এর ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮শ’ ৮০ কোটি ডলার।
ওয়েব টেলিস্কোপ মানমন্দির প্রকল্পের বিজ্ঞানী মার্ক ক্ল্যাম্পিন ম্যারিল্যান্ডের গ্রিনবেল্টে নামার গডভার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে বলেছেন, মহাবিশ্বের যে অত্যন্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশে তারকার সৃষ্টি হচ্ছে সেখানটায়ও আমরা অবলোকনে সমর্থ হবে এ টেলিস্কোপের সাহায্যে। -এএফপি