ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যাপ্টেন ও ক্রু গ্রেফতার

ভূমধ্যসাগরে নৌযান ডুবিতে আট শ’ অভিবাসীর মৃত্যু ॥ জাতিসংঘ

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২২ এপ্রিল ২০১৫

ভূমধ্যসাগরে নৌযান ডুবিতে আট শ’ অভিবাসীর মৃত্যু ॥ জাতিসংঘ

ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া নৌযানের ক্যাপ্টেন ও এক ক্রুকে মানব পাচারে জড়িত থাকার সন্দেহে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা এ নৌযান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া ২৮ জনের দু’জন। ইতালি কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছে। এদিকে জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা এখন ইতালির বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন। নৌযান ডুবিতে আট শ’ অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা এ খবর নিশ্চিত করেছে। ভয়াবহ এ দুর্যোগের কবল থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলার পর তারা মৃতের এ সংখ্যার কথা জানায়। খবর বিবিসি ও এএফপির। লিবিয়া থেকে ইউরোপ অভিমুখে রওনা হওয়া নৌযানটি শনিবার মধ্যরাতে ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়। ৭০ ফুট লম্বা মাছ ধরার নৌযানটিতে প্রায় এক হাজার আরোহী ছিল। জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা কোস্টগার্ডের জাহাজে করে ইতালির সিসিলিতে এলে ক্যাপ্টেন ও ক্রুকে গ্রেফতার করা হয়। ওই নৌযানের ক্যাপ্টেন তিউনিসিয়ার এবং ক্রু সিরিয়ার অধিবাসী বলে জানিয়েছেন ইতালির কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার ইতালিতে শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘ হাইকমিশনারের নারী মুখপাত্র কার্লোতা সামি বলেন, আমরা বলতে পারি, মর্মান্তিক নৌডুবির ঘটনায় আট শ’ লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ও অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা জানান, তারা এ ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া ২৮ জনের অধিকাংশের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা জানান, পর্তুগালের একটি জাহাজ পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বড় ধরনের ঢেউয়ের আঘাতে তাদের বহন করা নৌযানটি ডুবে যায়। সামি বলেন, নৌযানটিতে শিশুসহ আট শতাধিক যাত্রী ছিল। সেখানে থাকা শিশুদের বয়স ছিল ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। যাত্রীদের বেশির ভাগই সিরিয়া, ইরিত্রিয়া ও সোমালিয়ার নাগরিক।
×