ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইরানী অস্ত্রবাহী জাহাজ আটকানোই লক্ষ্য

ইয়েমেনের দিকে মার্কিন রণতরী

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ২২ এপ্রিল ২০১৫

ইয়েমেনের দিকে মার্কিন রণতরী

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর বিমানবাহী এক জাহাজ এবং নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্রাবাহী এক জাহাজ পারস্য উপসাগর থেকে ইয়েমেনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সোমবার মার্কিন কর্মকর্তারা একথা বলেন। নৌবাহিনী রবিবার বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস থিওডর রুজভেল্ট এবং এসকর্ট জাহাজ ইউএসএস নরম্যান্ডিকে উপসাগর থেকে আরব সাগরে পাঠায়। সোমবার ইউএস টুডে অজ্ঞাতনামা প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, মার্কিন জাহাজগুলো অস্ত্রবাহী ইরানী জাহাজগুলোকে মাঝপথে বাধা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে পেন্টাগনের মুখপাত্র সেনাবাহিনীর কর্নেল স্টিভ ওয়ারেন ইরানের অস্ত্র সরবরাহে বাধা দেয়ার জন্য জাহাজগুলোকে পাঠানোর কথা অস্বীকার করেছেন। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট ও ইয়াহু নিউজের। ইউএসএস থিওডর রুজভেল্ট ও ইউএসএস নরম্যান্ডি হরমুজ প্রণালী অতিক্রম করে আরব সাগর দিয়ে ইয়েমেন অভিমুখে যাচ্ছে। জাহাজ দুটি ইয়েমেন উপকূলের অদূরে অপর ৭টি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ এবং ৩টি নৌবাহিনীর রসক সরবরাহকারী জাহাজের সঙ্গে যোগ দেবে। এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে থিওডর রুজভেল্টকে ইরাক ও সিরিয়া থেকে সরিয়ে নেয়া হলো। জাহাজের বিমানগুলো ওই দুটি দেশে বিমান হামলা চালিয়েছে। পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ওই অঞ্চলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাহাজ চলাচলের পথকে নিরাপদ ও উন্মুক্ত রাখা নিশ্চিত করতে নৌবাহিনী অতিরিক্ত জাহাজগুলো পাঠিয়েছে। মার্কিন নৌবাহিনী ওই অঞ্চলে নিয়মিত টহল দিয়ে থাকে। তবে সৌদি নৌবাহিনী যখন হুতি বিদ্রোহীদের রসদ সরবরাহে বাধা দিতে ইয়েমেনের বন্দরগুলোতে অবস্থান করছে, ঠিক তখনই মার্কিন জাহাজগুলোকে সেখানে পাঠান হলো। ইরানকে বিদ্রোহীদর অস্ত্র সরবরাহের জন্য দোষারোপ করা হয়েছে। দেশটি এ সপ্তাহে ওই অঞ্চলে নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠায়। জাহাজগুলো বাব আল-মান্দার প্রণালীতে অবস্থান করছে। এটা ইয়েমেন ও জিবুতির মধ্যে একটি সংকীর্ণ জলপথ যা লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরকে যুক্ত করেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা অগ্রসরমান ৭টি ইরানী জাহাজবহরকে ঘনিষ্ঠ নজরদারির আওতায় আনার পর মার্কিন জাহাজগুলো তৎপর হয়ে ওঠে। ইরানী জাহাজগুলো, অজানা পণ্য নিয়ে ইরান অভিমুখে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জোশ আর্নেস্ট তেহরান কর্তৃক হুতিদের অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আর্নেস্ট বলেন ‘আমরা প্রমাণ পেয়েছি যে, ইরানীরা ইয়েমেনের হুতিদের অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করছে এবং অন্য ধরনের সমর্থন দিচ্ছে।’ এ ধরনের সাহায্য-সমর্থন ইয়েমেন বৃহত্তর সহিংসতা সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। দেশটি ইতোমধ্যেই অতিমাত্রার সহিংসতায় বিদীর্ণ হয়ে গেছে। শিয়াপন্থী মুসলিম হুতি যোদ্ধারা সেপ্টেম্বরে রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় সরকারকে অপসারিত করে। তারা এখন ইয়েমেনের বিস্তীর্ণ ভূখ- দখল করে আছে। ইয়েমেন সীমান্তের ওপারে রয়েছে তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরব।
×