ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মালদ্বীপে সাবিনার ৩৭ গোলের সাফল্য

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২২ এপ্রিল ২০১৫

মালদ্বীপে সাবিনার ৩৭ গোলের সাফল্য

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘মালদ্বীপ পুলিশ ক্লাব এই ফুটসাল টুর্নামেন্টে গত আসরে রানার্সআপ হয়েছিল। এবার আমি নিজের ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে ভূমিকা রাখতে চাই। হতে চাই টুর্নামেন্টের শীর্ষ গোলদাতা।’ মালদ্বীপে ফুটসাল টুর্নামেন্টে খেলতে যাওয়ার আগে গত ৩ মার্চ বাফুফে ভবনে কথাগুলো বলেছিলেন সাবিনা খাতুন। তবে কথার পুরোপুরি বাস্তবায়ন ঘটাতে পারেননি তিনি। সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেও দলকে চ্যাম্পিয়ন করাতে পারেননি। তার দল মালদ্বীপ পুলিশ ক্লাব হয়েছে রানার্সআপ। মালদ্বীপস উইমেন্স ফুটসাল ফিয়েস্তা টুর্নামেন্টের ফাইনালে গত ১৮ এপ্রিল রাতে মালদ্বীপ পুলিশ ক্লাব ৬-২ গোলে হেরে যায় প্রতিপক্ষ ইমেগ্রেশন ক্লাবের কাছে। ফাইনালে সাবিনা এক গোল করলেও তা দলের হার এড়াতে যথেষ্ট ছিল না। বাংলাদেশ মহিলা ফুটবলের গর্ব সাবিনা মঙ্গলবার ফিরেছেন দেশে। দলকে শিরোপা জেতাতে না পারলেও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে ছিলেন সমুজ্জ্বল। করেছেন টুর্নামেন্টের ব্যক্তিগত সর্বাধিক গোল। ৬ ম্যাচে করেছেন ৩৭ গোল। দেশে ফেরার পর সাবিনা তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘মালদ্বীপের তিন ক্লাব আমাকে তাদের হয়ে খেলার প্রস্তাব দিয়েছে। আগামী মাস থেকেই দেশটিতে মহিলা লীগ শুরু হচ্ছে। ৬ ম্যাচ খেলে ৩৭ গোল করেছি। ৫ ম্যাচেই হয়েছি ম্যাচসেরা। তবে আক্ষেপ একটাইÑ ফাইনালে দলকে চ্যাম্পিয়ন করাতে পারিনি।’ অপর এক প্রশ্নে জবাবে সাবিনা বলেন, ‘ওখানে ফুটসাল খেলে মনে হয়েছে আমাদের দেশেও নিয়মিত এ ধরনের টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। বালুতে এ খেলা খেললে খেলোয়াড়দের স্কিল অনেক বেড়ে যায়।’ দেশ ছাড়ার আগে সাবিনা বলেছিলেন, ‘আমি ওখানে ভাল খেলে এটাই প্রমাণ করবÑ বাংলাদেশের মেয়েরা সত্যিই ভাল ফুটবল খেলতে পারে। আমি ভাল খেললে আমাদের দেশের অন্য মহিলা ফুটবলাররাও ভব্যিষতে বিদেশী ক্লাবগুলোতে খেলার সুযোগ পাবে।’ সেই সুযোগের দ্বার খুলে গেছে সাবিনার কল্যাণেই। ইতোমধ্যেই সাবিনার ক্লাব তাকে প্রস্তাব দিয়েছে আগামী মৌসুমে তাদের হয়ে খেললে ১২০০ ডলার পারিশ্রমিক দেয়া হবে তাকে (এবার খেলেছিলেন ৬০০ ডলারে)। শুধু তাই নয়, সাবিনা সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারবেন আরও দুই সতীর্থ স্বদেশীকেও। তারাও পাবেন সমান পারিশ্রমিক। ‘এবারের ফুটসাল টুর্নামেন্টে আমার ক্লাবে আমি ছিলাম একমাত্র বিদেশী খেলোয়াড়। আর চ্যাম্পিয়ন দলে ছিল তিন বিদেশী ফুটবলার।’ বিদেশী কোন ক্লাবে খেলা প্রথম বাংলাদেশী ফুটবলার হলেন বাফুফের বর্তমান সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন। তিনি ১৯৭৫ সালের হংকংয়ের এফসি ক্যারোলিনে খেলেছিলেন।
×