ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ব্রাদার্স ইউনিয়ন ১- ঢাকা মোহামেডান

ব্রাদার্সের কাছে হার মোহামেডানের

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২২ এপ্রিল ২০১৫

ব্রাদার্সের কাছে হার মোহামেডানের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ম্যাচ হতে পারত প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন, অনুপভোগ্য ম্যাচ, অনুল্লেখযোগ্য। কিন্তু হলো না। হলো না ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেডের জন্যই। মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় এই ম্যাচটি যখন নিশ্চিতভাবেই ড্রয়ের দিকে গড়াচ্ছিল, তখন ৮৫ মিনিটেই বাজিমাত করে ব্রাদার্স গোল করে। ১-০ গোলে হারিয়ে দেয় ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডকে। গোল করেন অগাস্টিন ওয়ালসন। চতুর্থ ম্যাচে এটা ‘গোপীবাগের দল’ ব্রাদার্সের দ্বিতীয় জয়, পয়েন্ট ৭। অবস্থান সপ্তম থেকে চতুর্থ। টপকে গেল ‘সাদা-কালো’ খ্যাত মোহামেডানকে। সমান ম্যাচে এটা তাদের দ্বিতীয় হার। পয়েন্ট ৬। অবস্থান চতুর্থ থেকে পঞ্চম। প্রথমার্ধে দুই দলের খেলা ছিল বিরক্তিকর। কোন পক্ষই গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধেও একই অবস্থা। তবে খেলা শেষ হওয়ার আগে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় ব্রাদার্সের। ম্যাচের তখন ৮৫ মিনিট। বল নিয়ে মোহামেডানের বিপদসীমায় ঢুকে পড়েন ব্রাদার্স অধিনায়ক নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড কেস্টার এ্যাকন। তিনি গোলপোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন। তার শট ঝাঁপিয়ে পড়ে দক্ষতার সঙ্গেই ফিরিয়ে দেন মোহামেডান গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহাল। ফিরতি বলে ব্রাদার্সের হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড অগাস্টিন ওয়ালসন শট নিলে তা আর ফেরাতে পারেননি নেহাল (১-০)। একটু পর ভগ্ন মনোরথে জোসির শিষ্যরা এবং উৎফুল্লচিত্তে নঈমউদ্দিনের শিষ্যরা মাঠ ত্যাগ করে। দুই ‘গঞ্জের’ দ্বৈরথে রহমতগঞ্জ জয়ী মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। প্রতিপক্ষ ফরাশগঞ্জকে তারা হারিয়েছে ২-০ গোলে। তৃতীয় ম্যাচে এটা ‘আইলো’, ‘ডাইলপট্টি’ ও ‘জায়ান্ট কিলার’ খ্যাত রহমতগঞ্জের প্রথম জয়। পয়েন্ট ৪। সমান ম্যাচে টানা তৃতীয় হার ‘নীলকুঠি’ খ্যাত পুরনো ঢাকার ক্লাব ফরাশগঞ্জের। পয়েন্ট শূন্য। ২০১৩-১৪ মৌসুমের প্রিমিয়ার চ্যাম্পিয়নশিপ লীগের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন দল রহমতগঞ্জ ও রানার্সআপ দল ফরাশগঞ্জ ম্যাচে শুরু থেকেই বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল রহমতগঞ্জ। ১৩ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় তারা। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে একক প্রচেষ্টায় প্রতিপক্ষের বিপদসীমায় বল নিয়ে ঢুকে পড়েন রহমতগঞ্জের নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড গিডেওন সলোমন। তাকে প্রতিহত করতে ব্যর্থ হন ফরাশগঞ্জের ডিফেন্ডাররা। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে চমৎকার নৈপুণ্যে গোল করেন সলোমন (১-০)। ২৩ মিনিটে আরেকটি গোল করার সুযোগ পায় রহমতগঞ্জ। কিন্তু সফলকাম হয়নি। বাঁপ্রান্ত থেকে সতীর্থ নুরুল আবসারকে বল দেন সলোমন। নুরুল আবসারের শট ফিরিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। ফিরতি বলে আবারও শট নেন নুরুল আবসার। কিন্তু এবারও গোলরক্ষক বল ফিরিয়ে দেন (কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা)। তবে ৩৩ মিনিটে ঠিকই ব্যবধান দ্বিগুণ করে কামাল আহমেদ বাবুর শিষ্যরা। বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার আচমকা শটে ফরাশগঞ্জের গোলরক্ষক রাফিকে পরাস্ত করেন ফরোয়ার্ড নুরুল আবসার (২-০)। ৪২ মিনিটে গোল করার সুযোগ নষ্ট করে ফরাশগঞ্জ। অধিনায়ক নাইজিরিয়ান মিডফিল্ডার আকিনইয়েলে পিটার গোলপোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন। কিন্তু রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক বল আটকে দিয়ে গোলবঞ্চিত করেন ফরাশগঞ্জকে। দ্বিতীয়ার্ধেও অনেক চেষ্টা করে ব্যবধান কমাতে পারেনি ফরাশগঞ্জ। ফলে রহমতগঞ্জের কাছে পয়েন্ট খুইয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
×