ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সকলেই উদ্ধার

ভোলার মেঘনায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবি

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ২২ এপ্রিল ২০১৫

ভোলার মেঘনায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ২১ এপ্রিল ॥ ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরা থেকে গবাদিপশুসহ শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার নোয়াখালী যাওয়ার পথে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঝড়ো বাতাসে ডুবে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় সকল যাত্রীকে উদ্ধার করা হলেও একটি গরু ও ছয়টি ছাগল মারা যায়। মনপুরা থানার ওসি বলেছেন, কোন যাত্রী নিখোঁজ নেই। স্থানীয়রা জানিয়েছে, সকাল ১০টার দিকে মনপুরা উপজেলার হাজীরহাট ইউনিয়নের রিজিরখাল নামক এলাকা থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে রামকৃষ্ণের ট্রলার নোয়াখালীর হাতিয়ার চেয়ারম্যানের ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বেলা ১১টার দিকে মনপুরার চৌধুরীর ঘেরসংলগ্ন মেঘনা নদীতে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাইয়ের কারণে ও ঝড়ো বাতাসে ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে স্থানীয় জেলেরা তাদের সবাইকে জীবিত উদ্ধার করে। মনপুরা থানার ওসি হানিফ সিকদার জানান, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। তার জানামতে সকল যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কালবৈশাখীতে নিহত ১ ॥ আহত অর্ধশত স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কালবৈশাখীতে একজন নিহত ও অর্ধশত লোক আহত হয়েছে। এসময় জেলার কসবা, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, আশুগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে কয়েক হাজার গাছপালা, ফসলি জমিসহ অন্তত ৫০০ বসতভিটা ল-ভ- হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কসবা উপজেলার হাতুরাবাড়ি, শ্যামবাড়ি, নিমবাড়ি, মেহারী, মান্দারপুর, চারগাছ গ্রাম। প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানায়, রাত প্রায় ৯টায় এ ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের কারণে আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের ৩টি ইউনিটের উৎপাদন ১ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ডক্টর মোহাম্মদ হোসেন জানিয়েছেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। নওগাঁয় ক্লাস চলছে গাছতলায় নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ থেকে জানান, রবিবার বিকেলে নওগাঁর নিয়ামতপুরে কালবৈশাখীর তা-বে বিধ্বস্ত পৈলানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের চালা উড়ে গেছে। বিধ্বস্ত হয়ে গেছে স্কুল ভবন। শ্রেণী কক্ষের অভাবে খোলা আকাশের নিচে চলছে শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান। ঝড়ে টিনের চালা উড়ে গিয়ে বিদ্যালয়টি পাঠদানের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ কারণে বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে প্রায় ১৩৬ ছাত্র/ছাত্রীকে ক্লাস করতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদ আলী জানান, আমাদের বিদ্যালয় ২৫ বছর পূর্বে স্থাপিত হলেও আজ পর্যন্ত কোন সরকারী বিল্ডিং তৈরি হয়নি।
×