ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গাইবান্ধায় রাসায়নিক কীটনাশক ছাড়াই পটল চাষে সাফল্য

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ২২ এপ্রিল ২০১৫

গাইবান্ধায় রাসায়নিক কীটনাশক ছাড়াই পটল চাষে সাফল্য

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২১ এপ্রিল ॥ গাইবান্ধা জেলার চরাঞ্চলসহ সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্যাপুর, সদর ও ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় এ বছর রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই জৈব সার প্রয়োগ করে পটল চাষের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। জৈব সার প্রয়োগ করায় এ বছর পটলের পচন রোগের ব্যাপকতা দেখা দেয়নি। বিশেষ করে ফুলছড়ির উড়িয়া ইউনিয়নের কালাসোনার চর পটল চাষীরা রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ না করে শুধুমাত্র জৈব সার প্রয়োগ এবং বালাই দমন ব্যবস্থাপনার আওতায় পটল চাষে সার্বিক সাফল্য অর্জন করেছে বলে জানা গেছে। জেলার ফুলছড়ি উড়িয়া ইউনিয়নের কালাসোনার চরসহ অন্যান্য চরাঞ্চলসহ ও কঞ্চিপাড়া, সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বালাহাটা, মালিবাড়ি, সাদুল্যাপুরের খোর্দ্দকোমরপুর, ধাপেরহাট, সুন্দরগঞ্জের সীচা, পাঁচপীর, ছাপড়হাটি ইউনিয়নের ম-লেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় এ বছর পটলের আবাদ হয়েছে বেশি। তবে চরাঞ্চলগুলোতে ভুট্টা, মরিচ, মিষ্টিকুমড়া, পাটসহ বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা অপেক্ষাকৃত কম জমিতে এ বছর পটল চাষ করেছে বলে জানা গেছে। পটল চাষীরা জানিয়েছে, কার্তিক মাসে জমিতে ৩ থেকে ৪টি চাষ দিয়ে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি মাটির নিচে পটলের লতা (গাছ) রোপণ করা হয়। বৈশাখ মাস হতে আশ্বিন মাস পর্যন্ত ফলন দেয়। কৃষিবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবছর জেলায় ১শ’ ৭৫ হেক্টর জমিতে পটল চাষ করা হয়েছে। পটলের পচন রোধে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের পরিবর্তে জমিতে গোবর সার এবং জৈব সার প্রয়োগের মাধ্যমে চাষীদের পটল চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়। সেইসঙ্গে বালাই দমন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আলোর ফাঁদ পেতে পোকা-মাকড় দমনেরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ পদ্ধতিতে পটল চাষ করে কৃষকরা যেমন পটলের মান বৃদ্ধিতে সক্ষম হয়েছে তেমনি জমিতে বিঘা প্রতি উৎপাদনের হারও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া জৈব সার প্রয়োগ করে পটল চাষ করায় উৎপাদন ব্যয়ও হয়েছে অনেক কম। তানোরে প্রকাশ্যে গাঁজা চাষ, মাজার তৈরির ইচ্ছে চাষীর! স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর তানোরে প্রকাশ্যে গাঁজা চাষ করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর বাধা সত্ত্বেও গাঁজার চাষ করছে উপজেলার কামার গাঁ ইউনিয়নের মৎস্যজীবী পাড়ার তোজাম্মেল শেখ। ওই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শিবনদের ধারের জমিতে তিনি গাঁজার চাষ করছে প্রকাশ্যেই। গাঁজার চাষ করে ‘মাজার তৈরি’র ইচ্ছে তার বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ওই গাঁজাচাষী। স্থানীয়দের অভিযোগ, তোজাম্মেল শেখ শিবনদের ধারে নিজের জমিতে দীর্ঘদিন যাবত গাঁজার চাষ করে আসছে। পুলিশ জেনেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় সেখানে এখন রীতিমতো গাঁজা গাছের বাগান তৈরি হয়েছে। তোফাজ্জল স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের ভাতিজা। ওই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রভাব খাটিয়ে তিনি গাঁজার চাষ করে আসছেন। গ্রামবাসী গাঁজার চাষের প্রতিবাদ জানালেও বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয় তোফাজ্জল। ফলে প্রতিবাদ করার কেউ সাহস পায় না। যোগাযোগ করা হলে তোজাম্মেল শেখ বলেন, গত ৩ মাস আগে বেশ কয়েকটি গাঁজার গাছ রোপণ করা হয়েছিল। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তানোর থানার ওসি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে কেউ গাঁজার চাষ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনীরুজ্জামান ভুঁইঞা জানান, ওই গাঁজাচাষীকে ধরার জন্য ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
×