ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষকের সংখ্যা পাঁচ শিক্ষার্থী ১৫৪

পাকশী চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ এখন নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ২২ এপ্রিল ২০১৫

পাকশী চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ এখন নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত

স্টাফ রিপোর্টার ঈশ্বরদী ॥ এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাকশী চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ নানা সমস্যায় আজ জর্জরিত। ১৯২৪ সালে যোগীন্দ্র চন্দ্র দাশগুপ্তের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ঈশ্বরদীর পাকশী শহরে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্থানীয় বিদ্যানুরাগী ও রেল বিভাগের সহযোগিতায় দিনে দিনে বিদ্যালয়টি উত্তরবঙ্গের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ করে। মনোরম পরিবেশে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানটি একসময় প্রাণচাঞ্চল্যে ছিল ভরপুর। স্বাধীনতা-উত্তর ১৯৮৫ সালে রেলওয়ের আওতায় আসার পর অতীত ঐতিহ্যের ধারক বিদ্যালয়টির নতুন করে পথচলা শুরু হয়। বিজ্ঞান বিভাগসহ নতুন নতুন বিষয়ভিত্তিক বিভাগ চালুর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিস্তার ও বিকাশ ঘটে। কিন্তু পরবর্তীতে রেলওয়ের বিভাগীয় কয়েকটি দফতর পাকশী থেকে রাজশাহীতে স্থানান্তর, ইপিজেড চালু, বসতি কমে যাওয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সঙ্কটসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং অভ্যন্তরীণ সুবিধা অনুপস্থিত থাকায় অতীতের গৌরব ধরে রাখা দায় হয়ে পড়েছে। একসময় এ অঞ্চলে স্কুল বলতে ছিল পাকশী চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ। অতীতে লেখাপড়ার জন্য এ অঞ্চলের মানুষ এই স্কুলের ওপর ছিল নির্ভরশীল। সে কারণে এ অঞ্চলের অনেক বড় মাপের মানুষ এই প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেছেন। পরবর্তী জীবনে এই প্রতিষ্ঠানের অনেক ছাত্র হয়েছেন সরকারী আমলা। কেউ হয়েছেন বড় ডাক্তার। কেউ প্রকৌশলী। বড় মাপের রাজনীতিবিদ। ৯১ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে এখন শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হচ্ছে। বৃষ্টি এলে বই খাতা গুছিয়ে শ্রেণীকক্ষের এক কোণে শিক্ষার্থীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ভাঙ্গা টিনের ছাউনি চুইয়ে শ্রেণী কক্ষের ভেতরে বৃষ্টির পানি পড়ে। বিদ্যালয়ে নেই বিদ্যুত সংযোগ। বিদ্যুত না থাকায় পাখা নেই। এ জন্য গরমের মধ্যে বসে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হয়। শ্রেণী কক্ষের দরজায় পাল্লা নেই। একই অবস্থা জানালার। রেলওয়ের আওতায় নেয়ার সময় শিক্ষকের সংখ্যা ছিল ২৩। ৩০ বছরে কমে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র পাঁচে। পাঁচ শিক্ষককে ৭৪ বিষয়ে ক্লাস নিতে হয়। জরাজীর্ণ ভবনের কারণে কোন অভিভাবক এখানে এখন তাদের সন্তানদের ভর্তি করতে চায় না। শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগে বর্তমানে রয়েছে মাত্র এক শ’ ৫৪ জন। দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক, ৬ সহকারী শিক্ষক, এক ধর্মীয় শিক্ষক, এক মাতৃভাষা শিক্ষক, লাইব্রেরিয়ান, ল্যাবরেটরি এ্যাসিসটেন্ট, ইউডিএ ও নিরাপত্তা প্রহরীর পদ শূন্য আছে। সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত চার আহত চার নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ, ২১ এপ্রিল ॥ সুনামগঞ্জের সদর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে ২ জন নিহত হয়েছেন, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২ জন। আহতদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে হতাহতের এ ঘটনাটি ঘটে। আহতদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা যায়, পৌর শহরের মোহাম্মদপুর আবাসিক এলাকার মৃত নুর উদ্দিনের পুত্র আজিবুর রহমান (৪৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহতরা মাইজবাড়ী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র শুকুর আলী ও মাগুরা গ্রামের মজিদ উল্লার পুত্র আব্দুস সালাম (২৫) গুরুতর আহত হয়েছে। নিজস্ব সংবাদদাতা কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, জেলার হাওড় অধ্যুষিত ইটনায় বজ্রপাতে রতন মিয়া (৬২) ও সাবির মিয়া (৪০) নামে কৃষক নিহত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার দিকে গ্রামের পার্শ্ববর্তী হাওড় থেকে নৌকা করে ধান আনতে গিয়ে পথিমধ্যে হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এ সময় আরও ৩ জন আহত হয়।
×