ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেড়িবাঁধে তীব্র ভাঙ্গন

ডুমুরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২২ এপ্রিল ২০১৫

ডুমুরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনার ডুমুরিয়ায় ভদ্রা নদীর চাঁদগড় এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। প্রায় ১০ মিটার চওড়া বাঁধের সিংহভাগ ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়েছে। অবশিষ্ট মাত্র ১ থেকে দেড় মিটার বেড়িবাঁধ যে কোন সময়ে নদীতে বিলীন হয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, প্রায় প্রতিবছরই এই এলাকায় নদীর তীর ভাঙছে। একশ্রেণীর ঘের মালিক বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে চিংড়ি ঘেরে নোনা পানি প্রবেশ করানোর ফলে ভাঙ্গন তীব্র হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পাইপ স্থাপনকারীদের নামকাওয়াস্তে নোটিস দেয়া ছাড়া আর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। সোমবার ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সামছু দ্দৌজা, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম ও উপজেলা ত্রাণ কর্মকর্তা শেখ আব্দুল কাদের। এ সময় বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পানি তোলার বিষয়টি তাদের নজরে আসে এবং সকল পাইপ তুলে ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন তারা। ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সামছু দ্দৌজা বলেন, জোয়ারের পানির তোড়ে ১০ মিটার প্রস্থের বেড়িবাঁধের প্রায় সবটুকুই নদীতে ভেঙ্গে গেছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাৎক্ষণিকভাবে ৪০ দিনের কর্মসূচীর শ্রমিকদের দিয়ে ভাঙ্গন এলাকায় বাঁধের পাশে মাটি দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া থোক বরাদ্দের মাধ্যমে ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানান হয়েছে। সাগর উপকূলে দস্যুতা বৃদ্ধি এক সপ্তাহে নিহত ১ অপহরণ ৪৪ নিজস্ব সংবাদদাতা, উখিয়া, ২১ এপ্রিল ॥ কক্সবাজারের বঙ্গোপসাগরের বিভিন্নস্থানে জলদস্যুরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সাগর থেকে জেলেরা আহরণকৃত মাছ উপকূলে নিয়ে আসতেই দস্যুতার শিকার হচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া অপরহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মাঝি-মাল্লাদের। লুট করা হচ্ছে জাল ও ট্রলারের ইঞ্জিন। এতে দিন দিন আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে জেলেরা। এসব জলদস্যু সোনাদিয়ার মোহনা ও কুতুবদিয়া মোহনার অদূরেই অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। গত এক সপ্তাহে জলদস্যুদের হামলায় একজন নিহত ও অপহরণের শিকার হয়েছে ৪৪ জেলে। এদের অধিকাংশ এখনও মুক্তি পায়নি। মৌসুমের শেষে জেলেরা সব সরঞ্জাম নিয়ে উপকূলে ফিরতে শুরু করায় বেড়ে গেছে জলদস্যুদের তৎপরতা। সোনাদিয়া মোহনা ও চট্টগ্রাম মোহনাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ওৎ পেতে থাকে জলদস্যুরা। জানা গেছে, উখিয়া উপকূলের অদূরে গত রবিবার সাগরে সশস্ত্র জলদস্যুরা তা-ব চালিয়ে একটি ফিশিং বোট লুটপাট করে ৬ মাঝি মাল্লাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাত-পা বেঁধে সাগরে ভাসিয়ে দেয়। পরে তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সূত্রটি জানায়, উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের উত্তর সোনারপাড়া গ্রামের ফরিদ আলমের মালিকানাধীন একটি ফিশিং বোট শুক্রবার সন্ধ্যায় সাগর থেকে উপকূলে ফেরার পথে দস্যুতার কবলে পড়ে। জলদস্যুরা এ সময় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন, মাছ ধরার জাল, আহরিত মাছসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
×