ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

২০১৬ সালের মধ্যে অনলাইনে মূসক আদায়ের পদ্ধতি চালু হবে

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ২২ এপ্রিল ২০১৫

২০১৬ সালের মধ্যে অনলাইনে মূসক আদায়ের পদ্ধতি চালু হবে

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ ২০১৬ সালের জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইনে মূসক (মূল্য সংযোজন কর) আদায়ের পদ্ধতি চালু হবে। এরই মধ্যে অনলাইন পদ্ধতি চালুর যন্ত্রপাতির প্রকিউরমেন্ট কেনা হয়েছে। আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬ সালের মধ্যে অনলাইন পদ্ধতি চালু করা যাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য খন্দকার আমিনুর রহমান। মঙ্গলবার সিলেটে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ করদাতা উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নগরীর একটি হোটেলে সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট-এর কমিশনার ড. একেএম নূরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, করদাতাদের হয়রানি কমানো এবং রাজস্ব আদায় বাড়াতেই আমরা মূলত এ পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছি। এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করা যাবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কর অঞ্চল সিলেটের মাহমুদুর রহমান এবং সিলেট চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সালাউদ্দিন আলী আহমদ। সভায় বলা হয়, বাংলাদেশে মূল্য সংযোজন কর চালু হয় ১৯৯১ সালে। বিদ্যমান মূসক আইনে মূল্য ঘোষণা, ট্যারিফ মূল্য, করের পৌনঃপুনিকতা, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য, সঙ্কুচিত ভিত্তি মূল্য, খুচরা মূল্যভিত্তিক মূল্য, আমদানি পর্যায়ে এটিভি, টার্নওভার কর ও কুটির শিল্প, সেবার সংজ্ঞা নির্ধারণ, অগ্রিম পরিশোধ পদ্ধতি ইত্যাদি নিয়ে নানা বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয়। এটা পরিহার করতেই মূলত মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ গৃহীত হয়েছে। গরমে দেশীয় ব্র্যান্ডের এসির মার্কেট জমজমাট অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গরমের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে জমজমাট হয়ে উঠছে এয়ারকন্ডিশনের মার্কেট। রাজধানীর স্টেডিয়াম মার্কেটসহ সারাদেশের শো-রুমগুলোতে এয়ারকন্ডিশন (এসি) বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে দেশীয় ব্র্যান্ড। এবারও ওয়ালটন এসির চাহিদা বাজারে সবচেয়ে বেশি। তিন বছরের নিয়মিত ওয়ারেন্টির সঙ্গে এই এসিতে এবার ছয় মাসের রিপ্লেসমন্টে গ্যারান্টি দেয়া হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে দীর্ঘমেয়াদী কিস্তিু সুবিধা। দামে সাশ্রয়ী, টেকসই এবং আন্তর্জাতিক মানের হওয়ায় ক্রেতাদের আগ্রহ দেশে তৈরি এসব এসির প্রতি। এ কারণে কমেছে বিদেশী ব্র্যান্ডের আমদানিও। এছাড়া এসিতে যুক্ত হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির গোল্ডেন ফিন। পরিবেশবান্ধব এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এসি হবে টেকসই, ময়লা জমবে না এবং বাতাস হবে তুলনামূলক বেশি ঠা-া। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মার্চের প্রথম থেকেই এসি বিক্রি শুরু হয়েছে। এপ্রিলের শেষের দিকে ব্যাপক হারে বিক্রি বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মে মাসে এই বিক্রি আরো বাড়বে। একসময় এসি ছিলো পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে উচ্চমান সম্পন্ন এসি। এমনকি বিভিন্ন দেশে রফতানিও হচ্ছে বাংলাদেশী ব্র্যান্ডের এসি। আধুনিক প্রযুক্তিতে বাংলাদেশে তৈরি এসিতে ক্রেতারা পাচ্ছেন সঠিক বিটিইউ (ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট)।
×