ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘বেঙ্গলওয়াশ’ অপেক্ষায় রইলাম!

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২১ এপ্রিল ২০১৫

‘বেঙ্গলওয়াশ’ অপেক্ষায়  রইলাম!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব সভাপতি, বিসিবি পরিচালক, জেলা ফুটবল লীগ কমিটির চেয়ারম্যান মনজুর কাদের। বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক কাদের অভিনন্দন বার্তায় বলেন, টাইগারদের ঐতিহাসিক এই সাফল্যে উৎসবের নতুন উপলক্ষ্য খুঁজে পেয়েছেন দেশের ক্রীড়ামোদীরা। বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়েছে, প্রমাণ বিশ্বকাপেই দিয়েছিল। সাফল্যের এ ধারাবাহিকতা নতুন রূপ পেল টানা দুই ওয়ানডে ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস, অভিজ্ঞতা, মন বলছে বুধবারের শেষ ওডনডেতে পাকিস্তানতে হারিয়ে ‘বেঙ্গলওয়াশ’-অর্থাৎ অর্জনের বৃত্ত পূরণ করবে মাশরাফিরা। বিশ্বমানের আসরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের রেজাল্ট এতদিন খুব একটা ভাল ছিল না। কিন্তু অতীত ইতিহাস মাটিচাপা দিয়ে আমাদের ছেলেরা প্রমাণ করেছে এখন শুধু পাকিস্তান নয়। ক্রিকেটের যে কোন পরাশক্তিতে তারা হারাতে সক্ষম। সাকিব, মুশফিকদের লড়াই করার মানসিকতা প্রশংসার দাবি রাখে। ‘টিম বাংলাদেশ’ হয়ে খেলার এ প্রবণতা ধরে রাখতে পারলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি২০, টেস্টসহ গোটা সিরিজে জাতির প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। একজন সংগঠক, ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ হিসেবে আমি মনে করি এই ক্ষমতা বাংলাদেশ দলের রয়েছে। টানা দুই জয়ে দলের আত্মবিশ্বাসের পারদ এখন তুঙ্গে। এ মুহূর্তে এটা নিচে নামানো পাকিস্তানের পক্ষে আর সম্ভব নয়। মাঠের লড়াই আর মানসিক দিক থেকে প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। দলের পাশাপাশি তামিম ইকবালকে আমার বাড়তি অভিনন্দন। শুভেচ্ছা জানাই বাংলাদেশ ওপেনারকে তার বিরল ‘ব্যক টু ব্যাক’ সেঞ্চুরির জন্য। দলের সাফল্যে ‘ওপেনিং’ জুটির মুখ্য একটা ভূমিকা থাকে। তারা ভাল ব্যাট-রান করতে পারলে, পরবর্তীতে যারা মাঠে নামেন তাদের মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস কাজ করে। ফলে আমি বলব তামিম তার নিজের সেরাটা, এক কথায় ‘ক্যারিয়ার বেস্ট’ যে দায়িত্বটা পালন করেছে সেটা নিজের ও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। এ সিরিজের আগে তামিমকে অনেকেইে কটাক্ষ করেছেন। অনেককে বলতে শুনেছি, তাকে দল থেকে বাদ দেয়া উচিত। আমি নির্বাচকদের ধন্যবাদ জানাই উড়ো কথায় কর্ণপাত না করে এই সেরা ওপেনার তথা ব্যাটসম্যানকে দলে রাখায়। তামিমের জোড়া সেঞ্চুরি সমালোচকদের মোক্ষম একটা জবাব। মুশফিক তো বিশ্বকাপ থেকেই ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলে আসছে। যা অব্যাহত রেখেছে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজেও। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি, দ্বিতীয়টিতে অর্ধশতক অবশ্যই তার মেধা ও মনোবলের বহির্প্রকাশ। আমি বলব মুশফিক অনেক বড় মাপের ব্যাটসম্যান। দলের সেরা পারফর্মার। অভিজ্ঞ আর তারুণ্যের মিশেলে বাংলাদেশের বর্তমান দলটি আগামীতে আরও চমক দেখাতে সক্ষম। সেই প্রত্যাশা সবাই করছেন। আমিও দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং-সাফল্যের জন্য যে ধরনের ‘অলরাউন্ড’ নৈপূণ্য প্রয়োজন এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দল তা খেলে দেখাচ্ছে, তিন বিভাগেই তারা সফল। পরিশেষ বলতে চাই, সাফল্যের জয়রথ চলছে, চলতেই থাকবে। দলের প্রত্যেক ক্রিকেটার, কোচ, কোচিং স্টাফদের প্রতি রইল শুভকামনা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো ইতিহাস সৃষ্টি করা সিরিজ জয় তো হয়েই গেছে। এখন অবশিষ্ট বলতে ওয়ানডে সিরিজের বিপক্ষ দলকে হোয়াইটওয়াশ। তিন ম্যাচের সিরিজে সাফল্যের বৃত্তপূরণ করুক টাইগাররাÑ এ অপেক্ষাতেই রইলাম।
×