ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনে মাঠে নেমে খালেদা জিয়া নাটক করছেন

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২১ এপ্রিল ২০১৫

নির্বাচনে মাঠে নেমে খালেদা জিয়া নাটক করছেন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষকে যন্ত্রণা দিতে খালেদা জিয়া আবারও নির্বাচনী প্রচারের নামে মাঠে নেমে নাটক শুরু করেছেন। মানুষ যখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে, তখনই তিনি নাটক সৃষ্টি করছেন। জনভোগান্তির এই নাটক বন্ধ করার জন্য তিনি বিএনপি নেত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। সোমবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভায় সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। মাগুরা-১ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে সংসদীয় বোর্ডের এ সভা আয়োজন করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে সংসদীয় বোর্ডের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কাজী জাফরউল্লাহ, অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, উনি (খালেদা) সবকিছুতে নাটক করছেন। ৯১ দিন অফিসে বসে নির্দেশ দিয়ে বোমা-ককটেল মেরে বাস পুড়িয়ে মানুষের জীবনে অশান্তি সৃষ্টি করেছেন। মানুষের জীবনকে স্থবির করে দিয়েছিলেন। যখন জনমনে শান্তি এসেছে তখন খালেদা জিয়া মানুষকে আবার যন্ত্রণা দিতে মাঠে নেমেছেন। তিনি বলেন, উনি কোন নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি। হঠাৎ নির্বাচনী প্রচারে নেমে নাটক সৃষ্টি করছেন। তাঁর সিকিউরিটি ফোর্স বিনা উস্কানিতে গুলি চালায়। তাঁর (খালেদা জিয়া) কাছে নিশ্চয়ই সার্ভে (জরিপ) আছে, সিটি নির্বাচনে তাঁর জেতা সম্ভব নয়। সেই জন্য ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন। নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করছেন। বিএনপি নেত্রীর উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ৯১ দিন অনেক যন্ত্রণা দিয়েছেন, আর অশান্তি সৃষ্টি করবেন না। আপনার নিরাপত্তা কর্মীদের ঠেকান। মানুষের জানমাল নিয়ে আর যেন খেলা না হয়। তিনি বলেন, জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই বিজয়ী হবে। খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় থাকতে আইভি রহমানকে হত্যা করেছেন। আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। রাস্তায় নেমেই আবার জনগণের জীবনে অশান্তি সৃষ্টি করেছেন। মানুষ এসব থেকে রেহাই চায়। এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। নাটক সৃষ্টি না করে দেশের মানুষকে শান্তি দেন। তিন সিটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন মাগুরা মার্কা নির্বাচন হবে না। বিএনপি মাগুরায় যেভাবে নির্বাচন করে নিজেদের প্রার্থীদের জিতিয়ে ছিল, এ নির্বাচন সে রকম হবে না। এ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছেÑ মাগুরা-১ আসনের উপনির্বাচনে দলের মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র আগামী ২২ ও ২৩ এপ্রিল বিক্রি করবে আওয়ামী লীগ। সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছ থেকে মনোনয়নের আবেদনপত্র জমা নেয়া হবে ২৪ এপ্রিল। ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যা সাতটায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভা পুনরায় অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার গ্রহণ শেষে দলের একক প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। তবে মাগুরা-১ আসনে প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শেখর মনোনয়ন দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, গত ৯ মার্চ বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ও মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সিরাজুল আকবর মারা যান। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এ শূন্য আসনের উপনির্বাচন আগামী ৩০ মে। আগামী ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়, যাচাইবাছাই ৪ মে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে। নিয়ম অনুযায়ী কোন আসন শূন্য হলে তার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়।
×