ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজাকার পুত্রের হুমকিতে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন

মামলার রায় পেয়েও বাড়ির দখল পাচ্ছেন না মুক্তিযোদ্ধা

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২১ এপ্রিল ২০১৫

মামলার রায় পেয়েও  বাড়ির দখল পাচ্ছেন না মুক্তিযোদ্ধা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২০ এপ্রিল ॥ আটঘরিয়া উপজেলার কুষ্টিয়াপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা হারেজ উদ্দিন আদালতের রায় পেয়েও বসতবাড়ির দখল পাচ্ছেন না। এলাকার কুখ্যাত রাজাকার জহিরের দু’ছেলের প্রাণনাশের হুমকিতে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা হারেজ উদ্দিনের দুর্বিসহ জীবন কাটছে। তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানা গেছে, কুষ্টিয়াপাড়া গ্রামের হারেজ উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ শেষে উপজেলার চাঁদভা মৌজার খাঁস খতিয়ানভুক্ত ৭ শতাংশ জমিতে ঘরবাড়ি তুলে বসবাস করে আসছেন। তিনি ২৩ অক্টোবর ১৯৮৯ সালে সরকারী ডিসিআর প্রাপ্ত হন। ওই জমিটি তার নামে আরএস রেকর্ডও হয়। এলাকার কুখ্যাত রাজাকার জহিরের দুই ছেলে আব্দুর রহিম ও সোবাহান চাঁদভা মৌজার আরএস রেকডভুক্ত ২৪১৯ দাগের ৭ শতাংশ জমি দখল করে পাবনা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মুক্তিযোদ্ধা জহিরের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারির মামলা করে। মুক্তিযোদ্ধার বাড়িটি দখলের সময় ১২টি কাঁঠাল গাছ, ২০টি আমগাছ, ৩টি মেহগণি গাছ কেটে নেয়া হয়। এ সময় এ জায়গায় চারচালা ঘর তোলা হয়। সে থেকে মুক্তিযোদ্ধা হারেজ উদ্দিনের এ জায়গার দখল হারিয়ে নানা বিড়ম্বনার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। আদালতে কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ২৯ মার্চ, আদালত মুক্তিযোদ্ধা হারেজ উদ্দিনের পক্ষে রায় দেন। এ রায় পাওয়ার পর হারেজ উদ্দিন জায়গার দখল নিতে পারছেন না। রাজাকার পুত্ররা তাকে হত্যার হুমকিসহ নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে হারেজ উদ্দিন অভিযোগ করেছে। মুক্তিযোদ্ধা হারেজ উদ্দিনের মুক্তিযোদ্ধা নম্বর ৩৬৪১, জাতীয় তালিকা নং ১৬। তিনি ৭নং বালুরঘাট সেক্টরে ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ ও ভোলাহাটে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। আর এলাকার কুখ্যাত রাজাকার পলাতক থেকে মারা যায়। এ বিষয়ে এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস জানিয়েছেন, রাজাকার পুত্রের মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখল ও হত্যার হুমকি লজ্জাজনক। তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আব্দুর রহিম ও সোবাহানের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
×