ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এলাকাবাসীর দাবি টেকনাফ-শাহপরী দ্বীপ সড়ক

জোয়ারের পানিতে প্লাবিত টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ২১ এপ্রিল ২০১৫

জোয়ারের পানিতে প্লাবিত টেকনাফের  শাহপরী দ্বীপ

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ শনিবার থেকে শুরু হওয়া অমাবশ্যার জোয়ারের পানিতে ব্যাপক হারে প্লাবিত হয়েছে টেকনাফের শাহপরীদ্বীপ এলাকা। সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে ভয়াবহ ভাঙ্গনে শাহপরীদ্বীপের ৩০ হাজার মানুষকে প্রতিমাসে দুইবার করে তাদের আবাসস্থল ত্যাগ করে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় খুঁজতে হয় প্রতিনিয়ত। দিনের বেলায় বসতভিটার অদূরে দাঁড়িয়ে পানি সরে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকলেও তিথির সময় প্রতিরাতে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে অন্যত্র রজনী কাটাতে হচ্ছে। মূল ভূখ-ে বসবাস করেও গত ২ বছর ধরে শাহপরীদ্বীপ বাসিকে যাতায়াত করতে হচ্ছে ইঞ্জিন চালিত নৌযানে। টেকনাফ-শাহপরীদ্বীপ সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর এ পর্যন্তও পুনঃনির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। মৌসুমে ভাঙ্গা-চোরা বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে বিকল্প সড়ক হিসেবে ঝুঁকি নিয়ে হালকা যানবাহনে কোন রকম যোগাযোগ রক্ষা করে এলেও ১৮ এপ্রিল হঠাৎ অমাবশ্যার ‘জো’ এর প্রভাবে সাগরের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়ে শাহপরীদ্বীপ অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি বিকল্প সড়কও বন্ধ হয়ে গেছে। মাছের স্বর্ণের খনি নামে পরিচিত শাহপরীদ্বীপ সর্বনাশা ভাঙ্গনরোধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা ও বেড়িবাঁধ নির্মাণের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আসন্ন বর্ষার মৌসুম নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে দ্বীপবাসী। শাহপরীদ্বীপে ভাঙ্গনরত বেড়িবাঁধ পশ্চিমপাড়া, দক্ষিণপাড়ার দু’তৃতীয়ংশ সাগরবক্ষে চলে গেছে। অবশিষ্ট অংশটুকুও দিবা-রাত্রি ভাঙ্গছে। এলাকার লোকজন জানান, বিগত ১ বছরে পশ্চিমপাড়ার শ’ শ’ ঘরবাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাজারও একর জমি সমুদ্রে বিলীন হয়ে গেছে। গৃহহারা হয়ে অনেকেই দ্বীপ ত্যাগ করে টেকনাফ সদরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বন্যপ্রাণীদের রাজ্যে আপাতত আশ্রয় নিয়েছে। শাহপরীদ্বীপে টেকসই বেড়িবাঁধ ও টেকনাফ-শাহপরীদ্বীপ সড়ক নির্মাণের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দাগণ গত ২ বছর ধরে সভা-সমাবেশ, স্মারকলিপি পেশ, সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে এলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাননি।
×