ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ২১ এপ্রিল ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পৃথিবীর মানচিত্রে ঠাঁই করে নেয় বাংলাদেশ নামে একটি নতুন দেশ। সেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে দেশকে ভালবেসে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন অনেক মুক্তিসেনা। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পেরিয়ে গেলেও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হয়েও শহীদ আবদুল করিম আজও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি। যা অত্যন্ত লজ্জাস্কর ও দুঃখজনক। স্থানীয় একাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের আত্মীয়স্বজনদের তথ্য মতে, সেদিন ছিল ১৯৭১ সালের ১১ নবেম্বর। সময় রাত সাড়ে ১০টা। অদম্য সাহসী ৬৮ জন গেরিলাযোদ্ধা প্রশিক্ষণ শেষে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের চোত্তাখোলা হয়ে বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার বেতিয়ারা গ্রাম দিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায়। গাইডদের সবুজ সঙ্কেত পেয়ে ইতিমধ্যে প্রবেশ মুখের দেড়শ গজ সামনে হাইওয়ের দু’পাশে অবস্থায় নেয় ৪ জন করে গেরিলাযোদ্ধা এলএমজি হাতে। এরপর দুটি ভাগে প্রবেশ করছে সশস্ত্র যোদ্ধা। প্রত্যেকের হাতে রাইফেল, পিঠে গুলিভর্তি হ্যাভারসেক (ব্যাগ)। ধানক্ষেতের আইল ধরে এগিয়ে চলা, কিন্তু হঠাৎ বদলে গেল কুয়াশাচ্ছন্ন সেই শীতের রাত। গোপন অবস্থান (বাঙ্কার) থেকে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর করা মুহুর্মুহু গুলি ও গ্রেনেড হামলায় বিধ্বস্ত চিরায়ত মুক্তির সেই অভিযাত্রা। এতে কুমিল্লার তৎকালীন চৌদ্দগ্রামের (বর্তমান নাঙ্গলকোট) ৯ জন গেরিলাযোদ্ধা শহীদ হন। এছাড়া ৩ জনকে ধরে নিয়ে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হয়। তবে পাল্টা আক্রমণে এবং সহযোদ্ধাদের সাহসী প্রতিরোধে ওইদিন বেঁচে যান অন্য ৫৬ জন গেরিলাযোদ্ধা। ৯ জন শহীদের মধ্যে ৪ জনের বাড়িই ছিল কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে। তারা হলেন উপজেলার নারায়ণবাতুয়া গ্রামের আবদুল করিম, আবদুল ওহাব, আবদুস সোবাহান এবং সাতবাড়িয়া গ্রামের আবদুল কাদের। এর মধ্যে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবদুল করিমের নাম আজও গেজেটভুক্ত হয়নি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শহীদ আবদুল করিমের স্ত্রী আমেনা বেগমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের সংসার নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। তিনি তার স্বামীর নাম মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, যুদ্ধকালীন কমান্ডার, জোনাল কমান্ডারকে জানিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তিনি স্বামীর স্বীকৃতিটুকু চান। মুহাম্মদ আলাউদ্দিন নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা ঢ়ৎড়ফরঢ়হবংি@মসধরষ.পড়স মাদকাসক্তি সাধারণত যে সব দ্রব্য পান বা ব্যবহার করলে নেশা তৈরী হয়, আবার অভ্যাসে পরিণত হয় তাকে মাদকাসক্তি বলে। আবার বিশ্ব স্বাস্থ্য প্রদত্ত সংজ্ঞায় বলা হয়েছেÑ ড্রাগ হলো এমন বস্তু যা জীবন্ত জীব গ্রহণ করলে, তার এক বা একাধিক কার্যকলাপের ঈষৎ পরির্বতন ঘটায়। মাদক দ্রব্যের ফলে একটি মানুষ তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যায়। তার প্রধান কারণ বিষণœতা, টেনশন রোগ, অধিক হতাশা, প্রেমের ব্যর্থতা, বেকারত্ব, আর্থিক দৈন্য, নীতি ও আর্দশহীনতা, মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, বড়দের প্রতি ছোটদের শ্রদ্ধাহীনতা, বিভ্রান্ত কুসঙ্গ, অধিক কৌতুহল প্রবণতা, বৈবাহিক ও পারিবারিক কলহ, মাদকের সহজ প্রাপ্তি, ব্যবসায় অধিক লাভের বাসনায়, অত্যাধিক অর্থশালী হওয়া, পাশ্চাত্য সংস্কৃতি, জীবনের প্রতি আস্থাহীনতা, আইনি দুর্বলতা, অবৈধ অর্থ উপার্জনের আধিক্য, ধর্মীয় অনুভূতির অভাব, অপরাধপ্রবণ, মৌলিক সুবিধাবঞ্চিত সামাজিক পরিবেশ, যৌবনের বিদ্রোহী মনোভাব, পারিবারিক অনুশাসন না থাকা, সন্তানকে অতিরিক্ত শাসন করা ইত্যাদি। ধর্মীয় মানবিকতাবোধ জাগরণ, প্রচার মাধ্যমে আন্দোলন, দ্রারিদ্র বিমোচন ও কর্মস্থান, ইচ্ছা শক্তি, মাদকমুক্ত এলাকা গড়ে তোলা, পারিবারিক শান্তি, মাদকের সহজলভ্যতা বন্ধ, পুনর্বাসন ব্যবস্থা, মাদক সেবনকারীর শাস্তি বাস্তবায়ন, চোরাচালান বন্ধ, চোরাচালান রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর, দক্ষ ও প্রশিক্ষণ করে তুলতে হবে, সামাজিক-আন্দোলন, চিকিৎসদের পরার্মশ, মাদকাসক্তি প্রতিরোধে বা প্রতিকারে মাদকের কুফল সম্পর্কে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা প্রসার ঘটানো, এবং জনসচেতনতা বাড়ানো ইত্যাদি। শামীম মিয়া সাঘাটা গাইবান্ধা।
×