ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রবাসীদের জন্য পেনশন স্কিম হবে ॥ ড. আতিউর

প্রকাশিত: ০৬:১১, ২০ এপ্রিল ২০১৫

প্রবাসীদের জন্য পেনশন স্কিম হবে ॥ ড. আতিউর

বিডিনিউজ ॥ প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ বিনিয়োগে নিয়ে আসতে ‘পেনশন স্কিম’ চালুর ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর আতিউর রহমান। শনিবার ওয়াশিংটনে বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠকে রেমিটেন্স বিষয়ে এক সেমিনারে প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান। গবর্নর বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তাদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের ‘পেনশনার সঞ্চয়পত্রের’ মতো প্রবাসীদের জন্য ‘পেনশন স্কিম’ চালু করা হবে। সেমিনারের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আতিউর রহমান বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আমাদের প্রবাসীরা অনেক কষ্ট করে টাকা উপার্জন করে দেশে পাঠান। সেই টাকার কিছু অংশ যদি তারা প্রতি মাসে সঞ্চয় হিসেবে পেনশন স্কিমে রাখেন, তাহলে যখন তারা দেশে ফিরবেন তখন সেই টাকা তুলে নিজে চলতে পারবেন, সন্তানদেরও চালাতে পারবেন। ছেটখাটো বিনিয়োগেও লাগাতে পারবেন।’ তাদের সঞ্চয়ের এই অর্থ সরকার অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করতে পারবে। অন্যদিকে প্রবাসীরা শেষ জীবনে ‘ভালভাবে বেঁচে থাকার’ সাহস পাবেন বলে মন্তব্য করেন গবর্নর। বর্তমানে বাজারে থাকা ‘ডলার বন্ডের’ পাশাপাশি এই ‘পেনশনার স্কিম’ চালু করা হবে বলে আতিউর রহমান জানান। ‘বিদেশে ব্যাংকে টাকা রাখলে কোন সুদ পাওয়া যায় না। আমরা যদি ৪/৫ শতাংশ সুদ দেই তাহলে প্রবাসীরা আগ্রহ নিয়ে পেনশনার প্রকল্পে (স্কিম) টাকা রাখবেন।’ সেমিনারে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা রেমিটেন্সকে উন্নয়নের মূল ধারায় নিয়ে আসার কথা বলেন। বাংলাদেশের গবর্নর বলেন, ‘আমরাও সেটা করতে চাই। আর সে কারণেই প্রবাসীদের জন্য পেনশনার স্কিম চালু করা হবে।‘ বিশ্বব্যাংক সদর দফতরে সংস্থার ডেভেলপমেন্ট প্রোসপেক্টাস গ্রুপের পরিচালক আইয়ান কোসের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে আতিউর রহমান উন্নয়ন অর্থায়নে রেমিটেন্স ব্যবহারের বিষয়ে একটি ‘পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন’ উপস্থাপন করেন। বিশ্বব্যাংক সদর দফতরের প্রধান অর্থনীতিবিদ দিলীপ রাথার সঞ্চালনায় সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট’-এর সিনিয়র ফেলো এ্যালান গ্লিড। আতিউর রহমান তাঁর উপস্থাপনায় বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ৮৬ লাখ লোক অবস্থান করছেন। তারা প্রতি বছর ১৪ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠাচ্ছেন যা জিডিপির ৮ শতাংশের মতো। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ‘ঘুরে’ দাঁড়ানোয় এ দেশ থেকে বাংলাদেশে রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়ছে বলেও জানান আতিউর। বিশ্বব্যাংকের আয়োজনে এই সেমিনারে প্রবাস থেকে টাকা পাঠানো এবং বিদেশ যাওয়ার ব্যয় কী ভাবে কমানো যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়। সেমিনারের পরে আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা মুডিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন গবর্নর এবং এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। গবর্নর আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ এবারও মুডিসের রেটিংয়ে ‘ভাল’ অবস্থান ধরে রাখতে পারবে।
×