ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার আরও কমেছে;###;গড় আয়ু বেড়ে ৭ বছর ;###;বিদ্যুত ব্যবহার করে ৬৬ শতাংশ মানুষ;###;বিশুদ্ধ পানি পায় ৯৮.৫ শতাংশ মানুষ;###;স্যানিটারি পায়খানার ব্যবহার ৬৫ শতাংশ মানুষের;###;১৫ বছরের উর্ধে শিক্ষার হার ৬১ শতাংশ;###;জন্মনিয়ন্ত্রণ করে ৬২ শ

উন্নয়নের দশ দিক

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২০ এপ্রিল ২০১৫

উন্নয়নের দশ দিক

হামিদ-উজ-জামান মামুন ॥ দেশের সামাজিক দশ সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। এগুলো হচ্ছে মানুষের গড় আয়ু, পানির ব্যবহার, বিদ্যুতের ব্যবহার, টয়লেট সুবিধা, নির্ভরশীলতার অনুপাত, শিক্ষার হার, শিশুমৃত্যুর হার, মাতৃমৃত্যুর হার, জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার এবং স্থূল প্রতিবন্ধিতা, যা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) লক্ষ্য অর্জনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পরিচালিত মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিটিকস অব বাংলাদেশ এসভিআরএস-২০১৩ জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি। এ বিষয়ে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা জনকণ্ঠকে বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনসহ গুরুত্বপূর্ণ আর্থ-সামাজিক অর্জনের ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমরা নিম্ন আয়ের থেকে মধ্য আয় এবং উন্নত দেশে যাব। এ জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সেসব কার্যক্রমের অর্জিত ফলাফল বিবিএসের এই প্রকল্পের মাধ্যমে উঠে আসে। এক কথায় একটি পরিবারের সামগ্রিক চিত্র, একজন বাস চালক বা মোটর মেকানিক কিভাবে জীবনধারণ করে তা তুলে আনা হচ্ছে। এভাবে সঠিক চিত্র পেলে সরকারের পক্ষে সমন্বিত পরিকল্পনা করা সহজ হবে। সেই সঙ্গে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) মূল্যায়নসহ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক মূল্যায়নে ভূমিকা রাখবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষের গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ বছর ১ মাসে। যা ২০১২ সালের জরিপের প্রতিবেদনে ছিল ৬৯ বছর ৪ মাস। তার আগে ২০১১ সালে ছিল ৬৯ বছর, ২০১০ সালে ৬৭ বছর ৭ মাস এবং ২০০৯ সালে ছিল ৬৬ বছর ১ মাস। পর্যালোচনা করলে দেখা যায় মানুষের গড় আয়ু দিন দিন বাড়ছে। অন্যদিকে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের গড় আয়ু বেশি। এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম জনকণ্ঠকে বলেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। তাছাড়া এখন সুপেয় বিশুদ্ধ পানি প্রাপ্তির হার বেড়েছে। এসব কারণে আগে যেসব প্রাণঘাতী রোগ-বালাই দেখা দিত, বিভিন্ন রোগে মহামারী হয়ে মানুষ মারা যেত এখন সেসব আর নেই বললেই চলে। ফলে মানুষের গড় আয়ু ৪৩ বছর থেকে বেড়ে এখন ৭০ বছর ১ মাস হয়েছে। প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পুরুষের চেয়ে মহিলাদের গড় আয়ু বেশি। পুরুষের গড় আয়ু হচ্ছে ৬৮ বছর ৮ মাস, যা ২০১২ সালে ছিল ৬৮ বছর ২ মাস, ২০১১ সালে ৬৭ বছর ৯ মাস, ২০১০ সালে ৬৬ বছর ৬ মাস এবং ২০০৯ সালে ছিল ৬৬ বছর ১ মাস। অন্যদিকে মহিলাদের গড় আয়ু হচ্ছে, ৭০ বছর ৪ মাস, যা ২০১২ সালে ছিল ৬৯ বছর ৪ মাস, ২০১১ সালে ৬৯ বছর, ২০১০ সালে ৬৭ বছর ৭ মাস এবং ২০০৯ সালে ৬৭ বছর ২ মাস। এ বিষয়ে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা জনকণ্ঠকে বলেন, মানুষের গড় আয়ু এখন যে বেড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা এখন স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার, নিয়মিত টিকা দেয়ার হারসহ নানা সুযোগ-সুবিধা ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হয়েছে। এ ছাড়া মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। সবকিছু মিলে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। এটা অবিশ্বাসের কিছু নেই। প্রতিবেদনে ফলাফলে দেখা যায়। আলোর উৎস ॥ বর্তমানে দেশে বিদ্যুত ব্যবহার করছে শতকরা ৬৬ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০১১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে এ হার ছিল ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ, ৫৪ দশমিক ৬ এবং ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ। কেরোসিনের আলো ব্যবহার করছে ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ, যা ২০১২ সালে ছিল ৩৩ দশমিক ১ শতাংশ। অন্যদিকে সৌর বিদ্যুতসহ অন্যান্য উৎস থেকে আলো ব্যবহার করছে ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ। পানির ব্যবহার ॥ বর্তমানে দেশের মানুষের মধ্যে বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার বেড়েছে। ট্যাপ ও নলকূপের পানির ব্যবহার হার দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ, যা ২০১২ সালে ছিল ৯৮ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পানি বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারের হার ছিল যথাক্রমে ৯৮ দশমিক ২ শতাংশ, ৯৮ দশমিক ১ এবং ৯৮ দশমিক ১ শতাংশ। খাবার পানির বাইরে অন্যান্য কাজে ট্যাপ ও নলকূপের পানির ব্যবহার বেড়েছে। এ হার দাঁড়িয়েছে বর্তমানে ৬৩ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ৬০ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে এ হার ছিল ৬০ দশমিক ৪ শতাংশ, ৫৫ দশমিক ৫ এবং ৫৪ দশমিক ৭ শতাংশ। টয়লেট সুবিধা ॥ মানুষের মধ্যে টয়লেট ব্যবহারের হার বেড়েছে। স্যানিটারি পায়খনা ব্যবহারের হার দাঁড়িয়েছে ৬৪ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ। তার আগের তিন বছর এই হার ছিল পর্যায়ক্রমে ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ, ৬৩ দশমিক ৫ এবং ৬২ দশমিক ৭ শতাংশ। স্যানিটারির ব্যবহার বাড়ায় অন্যান্য পায়খানা ব্যবহারের হার কমেছে। অন্যান্য পায়খানা ব্যবহার করে ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ। যা ২০১২ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছিল পর্যায়ক্রমে ৩৩ দশমিক ৬ শতাংশ, ৩৩ দশমিক ৭, ৩৪ দশমিক ৩ এবং ৩০ দশমিক ১ শতাংশ। নির্ভরশীলতার অনুপাত ॥ বাংলাদেশে নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা কমেছে। বর্তমানে জাতীয়ভাবে শতকরা ৫৫ জন মানুষ নির্ভরশীল (শিশু, প্রতিবন্ধী, বেকার ইত্যাদি)। যা ২০১২ সালে ছিল ৫৬ শতাংশ, তার আগের তিন বছরে এ হার ছিল পর্যায়ক্রমে ৫৭ শতাংশ, ৬৫ শতাংশ এবং ৬৬ শতাংশ। এক্ষেত্রে পল্লী অঞ্চলে নির্ভরশীল মানুষের হার শতকরা ৬০ শতাংশ যা তার আগের বছর ২০১২ সালে ছিল ৬১ শতাংশ এবং শহর এলাকায় এ হার ৪৭ শতাংশ, যা তার আগের বছর ছিল ৪৮ শতাংশ। শিক্ষার হার ॥ দেশে বেড়েছে শিক্ষার হার। প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে শিক্ষার হার (১৫ বছর বা তদুর্ধ মানুষ) মোট ৬১ শতাংশ। যা ২০১২ সালে ছিল ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ, ২০১১ সালে ৫৮ দশমিক ৮ শতাংশ, ২০১০ সালে ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ২০০৯ সালে ছিল ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ। পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পুরুষের ক্ষেত্রে সাক্ষরতার হার দাঁড়িয়েছে ৬৫ দশমিক ১ শতাংশ এবং মহিলার ক্ষেত্রে সাক্ষরতার হার ৫৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এক্ষেত্রে এখনও মহিলারা পিছিয়ে রয়েছে। শিশুমৃত্যুর হার ॥ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পাঁচ বছরের নিচে শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। এ সূচক দাঁড়িয়েছে মোট (ছেলে ও মেয়ে মিলে) হাজারে ৪১ জন, যা ২০১২ সালে ছিল সূচক হাজারে ৪২ জন। ২০১১ সালের সূচক হাজারে ৪৪ জন, ২০১০ সালের সূচক ৪৭ জন এবং ২০০৯ সালের ছিল প্রতি হাজারে ৫০ জন। এক্ষেত্রে ছেলে শিশুমৃত্যুর হারের সূচক দাঁড়িয়েছে প্রতি হাজারে ৪২ জন, ২০১২ সালে সূচক ছিল ৪৩ জন। ২০১১ সালে ৪৫ জন, ২০১০ সালে ৫০ জন এবং ২০০৯ সালে সূচক ছিল ৫২ জন। অন্যদিকে মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রে দেখা যায়, মৃত্যুর হারের সূচক হচ্ছে প্রতি হাজারে ৪০ জন, ২০১২ সালে ছিল ৪১ জন। ২০১১ সালে ৪৩ জন, ২০১০ সালে ৪৩ জন এবং ২০০৯ সালে সূচক ছিল প্রতি হাজারে ৪৮ জন। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এক থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুমৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে জাতীয়ভাবে মোট প্রতি হাজারে ১১ জন, যা ২০১২ সালে ছিল ১২ জন। এক থেকে চার বছর বয়সী শিশুমৃত্যুর হারও কমেছে। এ হার দাঁড়িয়েছে প্রতি হাজারে ২ দশমিক ১ জন, যা ২০১২ সালে ছিল ২ দশমিক ৩ জন। মাতৃমৃত্যুর হার ॥ গুরুত্বপূর্ণ এ সূচকে অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে মাতৃমৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। তার আগের কয়েক বছরে যথাক্রমে এ হার ছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ, ২ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গ্রামে বর্তমানে মাতৃমৃত্যুর হা দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ২ দশমিক ১০ শতাংশ। শহরে এ হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ১ দশমিক ৯০ শতাংশ। জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার ॥ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় বর্তমানে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার বেড়েছে। এ হার দাঁড়িয়েছে ৬২ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ৬২ দশমিক ২ শতাংশ, ২০১১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে এ হার ছিল ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ, ৫৬ দশমিক ৭ এবং ৫৬ দশমিক ১ শতাংশ। অন্যদিকে গ্রামে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যহারের হার দাঁড়িয়েছে ৬০ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ। শহরে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার হার ৬৬ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ৬৬ দশমিক ১ শতাংশ। প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি হলেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে কিছুটা বেড়েছে। এ হার দাঁড়িয়েছে বার্ষিক এক দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল এক দশমিক ৩৬ শতাংশ, ২০১১ সালে ছিল এক দশমিক ৩৭ শতাংশ, ২০১০ সালে ছিল এক দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং ২০০৯ সালে ছিল এক দশমিক ৩৬ শতাংশ। প্রতিবেদন বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক একেএম আশরাফুল হক জনকণ্ঠকে বলেন, সারাদেশ থেকে প্রতিনিয়ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প কেননা এই সূচকগুলোর ওপর ভিত্তি করে এমডিজির লক্ষ্য অর্জনের চিত্র উঠে আসে। তিনি জানান, বর্তমান পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা দায়িত্ব নেয়ার পরই এ প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম পরিদর্শন শুরু করেছেন। ইতোমধ্যেই তিনি রাজধানীর ইস্কাটন এবং পুরান ঢাকায় কার্যক্রম পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ফলে এ প্রকল্পের কার্যক্রমে গতিশীলতা বেড়েছে। সূত্র জানায়, এ প্রকল্পটির কার্যক্রম বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর একটি নিয়মিত ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ১৯৮০ সাল হতে আন্তঃশুমারি সময়ের জনতাত্ত্বিক তথ্য সংগ্রহের জন্য এ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ২০১৩ সাল থেকে ১ হাজার ৫শ’টি নমুনা এলাকায় এ কার্যক্রম চলছে, যেখানে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার পরিবার হতে নিয়মিত জনতাত্ত্বিক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের গড়ে খানার সদস্য সংখ্যা ৪ দশমিক ৫ জন এর ফলে প্রায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার জন এ প্রকল্পের তথ্য সংগ্রহের আওতায় নিয়মিতভাবে পরিবীক্ষণ করা হচ্ছে। বর্তমানে তথ্যের গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য আরও ৫১২টি নমুনা এলাকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং এ বছর থেকেই তার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শুমারি মধ্যবর্তী বছরগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির উপাদানসমূহ যথা- জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে, আগমন, বহির্গমন এবং আর্থ-সামাজিক তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ এবং নিয়মিতভাবে প্রকাশের মাধ্যমে পরিকল্পনাবিদ ও নীতি নির্ধারকগণকে সুষ্ঠু ও তথ্যভিত্তিক জনসংখ্যা পরিকল্পনায় সহায়তা করা। মাঠ পর্যায় হতে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলের ৪৮টির মধ্যে ৪টি ইনডিকেটরসের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে।
×