ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্জয়-হাতুরা মন কষাকষি সমাধানে আশাবাদী বিসিবি

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ২০ এপ্রিল ২০১৫

দুর্জয়-হাতুরা মন কষাকষি সমাধানে আশাবাদী বিসিবি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপে দারুণ এক মিশন শেষ করেছে বাংলাদেশ দল। কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিদায় নেয়ার পর দলের কোচ চান্দিকা হাতুরাসিংহে দাবি করেছিলেন তার পছন্দের মূল্যায়ন করা হয়নি এবং পুরোপুরি ভাল দল নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে পারেনি বাংলাদেশ দল। তিনি আরও দাবি জানান, সঠিক দল বিশ্বকাপে খেললে অনেকদূর যেত এবার টাইগাররা। পরবর্তীতে হাতুরাসিংহের এ মন্তব্যকে আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয়। এর ফলে একটা শীতল সম্পর্ক তৈরি হয়েছে দুজনের মধ্যে। এমনকি সিরিজ নিয়ে দুর্জয়ের ডাকা সভায় আসেননি কোচ। তবে দ্রুতই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঘরোয়া সিরিজ চলে আসার কারণে সেটা নিয়ে মাথা ঘামায়নি বিসিবি। কিন্তু বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানালেন চলতি সিরিজ শেষেই এটা সমাধানে পদক্ষেপ নেয়া হবে বিসিবির পক্ষ থেকে। বিশ্বকাপের পর দল দেশে ফিরলেও ছুটি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে গিয়েছিলেন হাতুরাসিংহে। সে সময়ই তিনি দল গঠন নিয়ে তার মতামত উপেক্ষা করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু সেটা মনঃপুত হয়নি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান দুর্জয়ের। দল সম্পর্কে কোচের মন্তব্যকে আচরণবিধি ভঙ্গ বলেই অভিযোগ করেছিলেন দুর্জয়। দেশে ফিরে কোচও বৈরিতা টিকিয়ে রেখেছেন। সিরিজ নিয়ে দুর্জয়ের ডাকা ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির সভায় আসেননি তিনি। পরে সংবাদমাধ্যম এই বিষয়ে জানতে চাইলেও এড়িয়ে গেছেন হাতুরাসিংহে। রবিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিতীয় ওয়ানডে চলাকালে কোচ-দুর্জয় দ্বন্দ্ব সম্পর্কে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি পাপন। তিনি আশা করেন দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এই সমস্যাটা দূর হয়ে যাবে। আমাদের অপারেশন্স কমিটির যে প্রধান, তিনি একজন সংসদ সদস্য। তার চেয়ে বড় পরিচয় তিনি বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট দলের অধিনায়ক। উনিও খুব গণ্যমান্য ব্যক্তি। আমাদের যে কোচ আছে, তিনিও অনেক নামকরা। কাজেই দুইজনের মধ্যে কিছু ব্যক্তিত্বের লড়াই থাকতেই পারে। আমি এখনই পারতাম এটা নিয়ে বসতে। তবে এই সিরিজ শেষে তাদের নিয়ে অবশ্যই আমি বসব। আমার বিশ্বাস আধা ঘণ্টার মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।’ কোচের কাজের পরিধি ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির দায়িত্ব সম্পর্কেও কথা বলেন তিনি। এ সম্পর্কে পাপন বলেন, ‘আগেও আমাদের এখানে কোচ ছিল, কোচের কাজ ছিল এক ধরনের। আর নির্বাচকদের কাজ ছিল আরেক ধরনের। নির্বাচকরা যাকে নির্বাচিত করে দিতে, কোচ তাকেই প্রশিক্ষণ দিত। কিন্তু এখনকার যে, কোচ তিনি সব কিছুর মধ্যেই বেশি আগ্রহী।’
×