ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টানা দুই দিন ৫শ’ কোটি টাকার লেনদেন

প্রকাশিত: ০৪:৫২, ২০ এপ্রিল ২০১৫

টানা দুই দিন ৫শ’ কোটি  টাকার লেনদেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবারেও রিপোর্ট দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। দিনশেষে সেখানে লেনদেন হয়েছে ৫৬৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আগের দিনের তুলনায় লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে ২৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারে চলতি বছরে প্রথমবারের মতো ডিএসইতে ৫০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল। ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৫৩৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সেখানে আগের দিনের চেয়ে মোট ৫ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে। এর ফলে চলতি বছরে প্রথমবারের মতো টানা দুই দিন ৫০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলো ডিএসইতে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রবিবারে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে মোট ৩০৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৯টির, কমেছে ১১৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির শেয়ার দর। সকালে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে প্রধান বাজারে লেনদেন শুরু হয়। সেখানে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ারের দর কমতে থাকে। এর বিপরীতে শাহজিবাজার পাওয়ার নামের কোম্পানির দর আবারও সর্বোচ্চ সার্কিটে অবস্থান নেয়। এভাবে একইভাবে সূচকের ওঠানামাও চলতে থাকে। সারাদিন সূচকের ওঠানামার পরে ডিএসইর সার্বিক সূচকটি শূন্য পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে। তবে কমেছে অপর দুই সূচক। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক শূন্য পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৬০ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ১২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৫৬ পয়েন্টে। ডিএসইতে দিনটিতে খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে ছিল জ্বালানি এবং শক্তি খাতটি। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১২৩ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের প্রায় ২৬ ভাগ। এরপরে দীর্ঘদিন পরে সার্বিক লেনদেনের দ্বিতীয় অবস্থানে ফিরে এসেছে বস্ত্র খাতটি। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ৭৫ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের প্রায় ১৬ ভাগ। তৃতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতটি। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৭ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হচ্ছে- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, শাশা ডেনিমস, মবিল যমুনা বাংলাদেশ, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, সাইফ পাওয়ার টেক, ইফাদ অটোস, এসিআই লিমিটেড, সামিট পোর্ট এ্যালায়েন্স এবং বারাকাত পাওয়ার। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, সিএমসি কামাল, এনভয় টেক্সটাইল, অলটেক্স, জাহিন টেক্স, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, সাফকো স্পিনিং, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, জাহিন স্পিনিং ও মেট্রো স্পিনিং। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, প্রগ্রেসিভ লাইফ, জুট স্পিনার্স, রেকিট বেনকিজার, মডার্ন ডাইং, ইউনাটেড ফাইনান্স ও গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স। ঢাকার মতো দেশের অপর বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। সারাদিনে চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের (সিএসই) ৪৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তবে সেখানে সূচকের মিশ্রাবস্থা দেখা দেয়। দিনশেষে সিএসইন সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪৩১ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২২৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৬টির, কমেছে ৭৪টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইউনাইটেড পাওয়ার এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ইউনাইটেড এয়ার, বে´িমকো, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, মবিল যমুনা বাংলাদেশ, গ্রামীণ ফোন, ইফাদ অটোস, শাশা ডেনিমস ও বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড।
×