ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কিশোরগঞ্জে সন্ত্রাসীদের হামলা ॥ ১৫ দোকান বাড়ি ভাংচুর

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৫

কিশোরগঞ্জে সন্ত্রাসীদের হামলা ॥ ১৫ দোকান বাড়ি ভাংচুর

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ১৮ এপ্রিল ॥ কিশোরগঞ্জে শুক্রবার রাতে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ঝটিকা হামলা চালিয়ে শহরের শোলাকিয়া, পুরানথানা, বড়বাজার, জাহাঙ্গীরের মোড়সহ বিভিন্ন স্থানের অন্তত ১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ সময় ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। আর বাসাবাড়ির লোকজন ভয়ে বাসা থেকে বের হয়নি। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ সন্দেহভাজন ৬ জনকে আটক করেছে বলে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন জানিয়েছেন। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে ২০-২৫ জনের অপরিচিত সন্ত্রাসী রামদা, হকিস্টিকসহ দেশী অস্ত্র নিয়ে ঝটিকা হামলা চালিয়ে প্রথমে শহরের চরশোলাকিয়া এলাকার হাজীভবন স্টোর নামে একটি মুদি দোকানে হামলা চালায়। এ সময় দোকানের মালামাল তছনছ করে সন্ত্রাসীরা। পরে পাশের চারুকুটির নামে একটি বাসায় হামলা চালিয়ে বাসার গেট দা দিয়ে কুপিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর সন্ত্রাসী দলটি শহরের পুরান থানায় মায়া বেকারি, বড়বাজারে ময়নামতি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরসহ অন্তত ১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। শুক্রবার হওয়ায় শহরের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ থাকায় পৌনে এক ঘণ্টাব্যাপী সন্ত্রাসীদের তা-ব চললেও ব্যবসায়ীরা কোন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, মূলত আতঙ্ক সৃষ্টি করাই ছিল সন্ত্রাসীদের টার্গেট। বাগেরহাটে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিন বসতবাড়ি পুড়ে ছাই স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ কচুয়ায় গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে দুই সহোদর ব্যাংক কর্মকর্তাসহ তিনজনের বসতবাড়ি ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এ সময় আরও দুটি বসতঘর আশিংক পুড়ে যায়। তবে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হয়নি। শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামে এই অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। আগুনে প্রায় ২০ লাখ টাকার মাল পুড়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন। বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কৃষি ব্যাংক কচুয়া উপজেলার গজালিয়া বাজার শাখার কর্মকর্তা সুরেশ কুমার কুন্ডু, তার ছোট ভাই অগ্রণী ব্যাংকের বাগেরহাট সদর উপজেলার দেপাড়া বাজার শাখার কর্মকর্তা কমলেশ কুমার কুন্ডু এবং বড় ভাই ব্যবসায়ী আশীষ কুমার কুন্ডুর বসতঘর পুড়ে গেছে। তাদের চাচাত ভাই বরুণ কুমার কুন্ডু এবং দিপক কুমার কুন্ডুর বসতঘর আংশিক পুড়ে যায়।
×