ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নির্ভরতার প্রতীক আরাফাত সানি!

প্রকাশিত: ০৬:০০, ১৯ এপ্রিল ২০১৫

 নির্ভরতার প্রতীক আরাফাত সানি!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত বছর ফেব্রুয়ারিতে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদার্পণটা হুট করেই ঘটেনি। দীর্ঘদিন ঘরোয়া ক্রিকেটে আলো ছড়িয়ে নজর কেড়েছেন নির্বাচকদের। বিশেষ করে স্বল্প পরিসরের ক্রিকেটে দুরন্ত হয়ে উঠেছিলেন আরাফাত সানি। শেষ পর্যন্ত গত বছর সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ানডে অভিষেক হয় এ বাঁহাতি স্পিনারের। অভিজ্ঞ আব্দুর রাজ্জাকের পড়তি ফর্ম, ইনজুরি এবং দুর্ধর্ষ সোহাগ গাজীর বোলিং এ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ার কারণে তিনিই অন্যতম পছন্দ হয়ে যান। এরপর নিয়মিতই খেলেছেন। আর সফরকারী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেই নজরকাড়া নৈপুণ্য দেখিয়ে শিকার করলেন ৪৭ রানে ৩ উইকেট। জয়ের পেছনে রাখলেন মুখ্য ভূমিকা। ইতোমধ্যেই ১০ ওয়ানডে খেলে ফেলা আরাফাত হয়ে উঠেছেন এখন টাইগার শিবিরের অন্যতম নির্ভরতা। তবে এর চেয়েও ভাল করার প্রত্যয় জানালেন ২৮ বছর বয়সী এ বাঁহাতি। বাংলাদেশ দলের প্রেক্ষাপটে বেশ পরেই অভিষেক হয়েছে আরাফাতের। আটাশ বছর বয়সে এসেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তবে নিজের সামর্থ্যরে প্রমাণ ঠিকই দিয়েছেন। নিয়মিত নৈপুণ্য দেখিয়ে গেছেন। এর মধ্যে ক্যারিয়ারের সেরা সাফল্য দেখিয়েছেন গত বছর নবেম্বরে জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডেতে যথাক্রমে ২৯ ও ২৭ রানের বিনিময়ে চারটি করে উইকেট শিকার করেছিলেন। ওই সিরিজে তিন ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েই তিনি ১০ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও অপরিহার্য সদস্য হিসেবে সে কারণেই ঠাঁই করে নেন তিনি। তবে এ্যাডেলেইডে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অবিস্মরণীয় বিজয়ের ম্যাচ ব্যতীত আর কোন ম্যাচ খেলেননি। পেসারদের নিয়েই পুরো বিশ্বকাপ খেলেছে বাংলাদেশ কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে। ওই ম্যাচে ভাল বোলিং করলেও উইকেট নিতে পারেননি আরাফাত। ১০ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সেটি ছিল তাঁর দ্বিতীয়বার উইকেটশূন্য থাকা। বিশ্বকাপে দলের দারুণ সাফল্যের অংশ মাঠে খেলে হতে না পারার একটা আক্ষেপ যেন কাজ করছিল। তাই সেটা পুরোপুরিই যেন ত্রাসোদ্দীপক বোলিং করে উপশম করলেন প্রথম ওয়ানডেতে। প্রয়োজনীয় মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করেছেন আরাফাত। তাঁর বোলিংয়ের প্রশংসা করলেন স্বয়ং ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা নিজেই। তিনি বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকবার পাকিস্তানকে হারানোর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেও জিততে পারিনি। কালকেও ওই রকম পরিস্থিতি হয়েছিল (এশিয়া কাপে পাকিস্তানের সঙ্গে ৩২৬ করেও জিততে না পারা)। ওরা যেভাবে জুটি গড়ছিল, একটা পর্যায়ে ওরা ছয় করে রান নিচ্ছিল। সানির ব্রেক থ্রু খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’ সানি নিজেও এখন আত্মবিশ্বাসী ও উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। তিনিও চান নিয়মিত ভাল বোলিং করতে। তিনি বলেন, ‘আমার লক্ষ্য ছিল উইকেট টু উইকেট বল করা। রান আটকাতে পারলেই উইকেট পাওয়া যাবে। সেটা করতে পেরেছি জন্য সফলও হয়েছি। আগামী ম্যাচগুলোতেও এভাবে বোলিং করতে চাই। আশা করি দলের জন্য আরও বড় কিছু করতে পারব।’
×