ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কলকাতা পৌরসভায় ভোট সম্পন্ন ॥ তৃণমূলের বিরুদ্ধে নীরব সন্ত্রাসের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৫

কলকাতা পৌরসভায় ভোট সম্পন্ন ॥ তৃণমূলের বিরুদ্ধে নীরব সন্ত্রাসের অভিযোগ

জনকন্ঠ ডেস্ক ॥ বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, কেন্দ্র দখল, জালভোট, পোলিং এজেন্টকে দায়িত্ব পালনে বাধা, জোরপূর্বক ভোট নেয়া প্রভৃতি ঘটনার মধ্য দিয়ে শনিবার কলকাতা পৌরসভার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শনিবার সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকাল ৩টায়। নির্বাচনে মোট ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে। নির্বাচনে সহিংসতার দায়ে কলকাতাজুড়ে মোট ৫৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আগামী ২৮ এপ্রিল নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। খবর, এনডিটিভি, ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও আনন্দবাজার অনলাইনের। বিজেপি এবং সিপিএম উভয় দল রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নির্বাচনে নীরব সন্ত্রাস এবং ভোটারদের নির্বিঘেœ ভোটদানে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দলটির মুখপাত্র পার্থ চ্যাটার্জি বলেছেন, নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোট পড়েছে। আর ভোটাররা সুষ্ঠু পরিবেশে এবং উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দিতে পেরেছে বলেই তা সম্ভব হয়েছে। কলকাতায় কোনও সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেনি। অবশ্য দলটির এই নেতা সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছেন, সিপিএম তাদের নারী ক্যাডারদের জড়ো করে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। তিনি দাবি করে বলেন, পূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা কলকাতা পৌরসভার নির্বাচন বিষয়ে গণমাধ্যমের সামনে তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, আজ নির্বাচনে গণতন্ত্রকে ভুলুন্ঠিত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি বলেন, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা প্রাকাশ্যে বিজেপি নেতা এবং সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি এবং সহিংসতার চিত্র ধারণ করতে দেয়া হয়নি বলে দাবি করেন রাহুল সিনহা। কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে শনিবার নামানো হয় প্রায় ৩২ হাজার পুলিশকর্মী, তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নজরদারি ড্রোন। তারপরও শনিবার দুপুরে কাউন্সিল হাউস স্ট্রিটের কংগ্রেস অফিস লক্ষ্য করে বোমা মারে দুষ্কৃতকারীরা। এতে আহত হন তিন কংগ্রেস কর্মী। এছাড়া আতঙ্কের পরিবেশ দেখা যায় উত্তর কলকাতার একাধিক বুথে। শোভাবাজার, শ্যামবাজার, বিডন স্ট্রিট সংলগ্ন একাধিক ওয়ার্ডে সকাল থেকেই বুথ কার্যত ফাঁকা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহার ভাই শান্তনু সিনহাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী তিনি। তার পোলিং এজেন্টকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কলকাতা জাদুঘরের সামনে সিপিএম নেতা ফুয়াদ হালিমকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতকারীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এদিকে বিজেপি নেত্রী তথা অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন অবাধ ভোট হচ্ছে না। শহরের প্রত্যেকটি বুথে ব্যাপক জাল ভোট পড়ছে। তার অভিযোগ পুলিশ এসব দেখেও যেন দেখছে না।
×